শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টমেটো চাষির মুখভরা হাসি  

তোফায়েল হোসেন জাকিরঃ নিভৃত গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দা বেলাল মিয়া। বয়স প্রায় ৫০ বছর। কৃষক পরিবারই জন্ম। যুবক বয়স থেকে কৃষি ফসল উৎপাদন করায় নেশা ও পেশা তার। এরই মধ্যে আবাদ করেছে উন্নত জাতের টমেটো। ফলনও হয়েছে ভালো। বাজারে ন্যায্য দাম থাকায় অধিক লাভের স্বপ্নে মুখভরা হাসি ফুটেছে বেলালের।

সম্প্রতি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ভাষারপাড়া গ্রামের দেখা যায় সবুজ পাতার ফাঁকে থোকা থোকা টমেটো ঝুলে থাকার দৃশ্য। লাল-সবুজ রঙের টমেটোর সমাহারে দৃষ্টি কাড়ছে পথচারিদের।

জানা যায়, ভাষারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বেলাল মিয়া। নিজস্ব তিন বিঘা জমি রয়েছে তার। এসব জমিতে আবাদ করছিলেন ধান। এতে লাভ কম হওয়ায় ঝুঁকে পড়ে শাক-সবজি চাষে। এরপর অনেকটাই লাভবান হন। আরও লাভের আশায় চলতি রবি মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল ‘বাহুবলি’ জাতের টমেটো আবাদ করা হয়। কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় দুই বিঘা জমির এই টমেটো ক্ষেতে বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হচ্ছে এই কাঙ্খিত ফসল। পরিপক্ক টমেটো বিক্রি করে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছেন এই কৃষক। গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়া কৃষি মাঠ দিবসে অন্যান্য কৃষকের মাঝে উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল বেলাল মিয়া।

কৃষক বেলাল মিয়া জাগো২৪.নেট-কে জানান, দুই বিঘা জমিতে টমেটো টাষে বীজ-সার-শ্রমিকসহ অন্যান্যভাবে ৭৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। ইতোমধ্য ৭০ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়েছে। বর্তমান দাম অনুযায়ী আরও প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকা বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ধান আবাদের চেয়ে সবজি উৎপাৎন অনেকটাই লাভজনক। তাই টমেটোসহ অন্যান্য শাক-সবজি চাষ করে আমার সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরছে। তাই দরিদ্রতাকে গুডবাই জানিয়েছি।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক বেলাল উদ্দিন জাগো২৪.নেট-কে জানান, বেলাল মিয়া একজন আদর্শ কৃষক। পরিকল্পিতভাবে টমেটো আবাদ করেছে। ফলনও হয়েছে ভালো। তাকে লাভবান করতে সর্বাত্নকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

টমেটো চাষির মুখভরা হাসি  

প্রকাশের সময়: ০২:২৯:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০২২

তোফায়েল হোসেন জাকিরঃ নিভৃত গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দা বেলাল মিয়া। বয়স প্রায় ৫০ বছর। কৃষক পরিবারই জন্ম। যুবক বয়স থেকে কৃষি ফসল উৎপাদন করায় নেশা ও পেশা তার। এরই মধ্যে আবাদ করেছে উন্নত জাতের টমেটো। ফলনও হয়েছে ভালো। বাজারে ন্যায্য দাম থাকায় অধিক লাভের স্বপ্নে মুখভরা হাসি ফুটেছে বেলালের।

সম্প্রতি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ভাষারপাড়া গ্রামের দেখা যায় সবুজ পাতার ফাঁকে থোকা থোকা টমেটো ঝুলে থাকার দৃশ্য। লাল-সবুজ রঙের টমেটোর সমাহারে দৃষ্টি কাড়ছে পথচারিদের।

জানা যায়, ভাষারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বেলাল মিয়া। নিজস্ব তিন বিঘা জমি রয়েছে তার। এসব জমিতে আবাদ করছিলেন ধান। এতে লাভ কম হওয়ায় ঝুঁকে পড়ে শাক-সবজি চাষে। এরপর অনেকটাই লাভবান হন। আরও লাভের আশায় চলতি রবি মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল ‘বাহুবলি’ জাতের টমেটো আবাদ করা হয়। কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় দুই বিঘা জমির এই টমেটো ক্ষেতে বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হচ্ছে এই কাঙ্খিত ফসল। পরিপক্ক টমেটো বিক্রি করে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছেন এই কৃষক। গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়া কৃষি মাঠ দিবসে অন্যান্য কৃষকের মাঝে উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল বেলাল মিয়া।

কৃষক বেলাল মিয়া জাগো২৪.নেট-কে জানান, দুই বিঘা জমিতে টমেটো টাষে বীজ-সার-শ্রমিকসহ অন্যান্যভাবে ৭৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। ইতোমধ্য ৭০ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়েছে। বর্তমান দাম অনুযায়ী আরও প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকা বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ধান আবাদের চেয়ে সবজি উৎপাৎন অনেকটাই লাভজনক। তাই টমেটোসহ অন্যান্য শাক-সবজি চাষ করে আমার সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরছে। তাই দরিদ্রতাকে গুডবাই জানিয়েছি।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক বেলাল উদ্দিন জাগো২৪.নেট-কে জানান, বেলাল মিয়া একজন আদর্শ কৃষক। পরিকল্পিতভাবে টমেটো আবাদ করেছে। ফলনও হয়েছে ভালো। তাকে লাভবান করতে সর্বাত্নকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।