শিক্ষাপদ্ধতি নিয়ে রবীন্দ্রনাথের ভাবনা তুলে ধরে রবীন্দ্র বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম বলেছেন, রবীন্দ্রনাথকে চর্চা করতে গেলে দেখা যাবে তারমধ্যে একটি বাণী আছে, একটা উপদেশনা আছে। সবগুলোকে মিলে আমরা মনে করি রবীন্দ্র দর্শন। এ দর্শনকে ধারণ করতে পারলে আমরা শিক্ষার সংকটটি অনেকাংশে কাটিয়ে উঠতে পারবো।
সোমবার (২৩ মে) বিকেলে বিশ^বিদ্যালয়ের গাহি সাম্যের গান মঞ্চে ‘চিরকালের রবীন্দ্রনাথ : শিক্ষা ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, পদ্ধতিগত শিক্ষার প্রতি মানুষ যখন খুব অনুরক্ত হচ্ছেন তখন রবীন্দ্রনাথ বলছেন- শিক্ষা যন্ত্রে নজর না দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রে নজর দাও। শতবছর আগে রবীন্দ্রনাথ বলে গেছেন, আমাদের যে সার্টিফিকেট, জিপিএ ,যা দিয়ে কোনমতে কাজ চলে হয়ত, কিন্তু বিকাশ লাভ হয় না। আমরা এখন বলি আমাদের কর্মমুখী শিক্ষা, প্রয়োগিক শিক্ষা ও জীবনমুখী শিক্ষা করতে হবে, সেটির ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন গ্রন্থ জগত ও বসতি জগত বলে। এ দুটোর মধ্যে আমরা যদি সমন্বয় করতে না পারি তাহলে সে শিক্ষা গুণগত মানে সমৃদ্ধ শিক্ষা হতে পারে না।
রবীন্দ্রনাথের দর্শনের কথা তুলে ধরে রবীন্দ্র বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, রবীন্দ্রনাথের যে চিন্তা ভাবনা তা কিন্তু দেশ মাতৃকাকে নিয়ে, বাংলাকে নিয়ে। খুব পরিষ্কার করে বললে, বাংলাদেশ কেন্দ্রীক বিষয়গুলোকে। রবীন্দ্রনাথের যে দর্শন তা কিন্তু আমাদের এই দেশমাতৃকা কেন্দ্রীক ছিল। তা আমি দ¦্যার্থহীন কণ্ঠে বলতে পারি।
সভাপতির বক্তব্যে নজরুল বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, রবীন্দ্রনাথের জীবন থেকে শুধু এটুকুই শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন, কথা ও কাজের সম্মিলন। রবীন্দ্রনাথ বাঙালিদের জন্য সে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। যাতে তার ভাবনা ও কর্মের সুউচ্চ সম্মিলন ঘটেছে। এই সম্মিলনের জন্য আমাদের যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। সম্মিলনের দিক থেকে সংস্কৃতি হচ্ছে সবচেয়ে বড় সহায়। রবীন্দ্র ও নজরুলই সবচেয়ে বড় সহায়। রবীন্দ্র ও নজরুল বিশ^বিদ্যালয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যুগ্ম অভিযাত্রার প্রত্যাশা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।
অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচনা করেন শিক্ষাবিদ ও রবীন্দ্র গবেষক প্রফেসর শফি আহমেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন,সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম,কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. সুজন আলী, বঙ্গবন্ধু-নীলদলের সহসভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস,কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী মো. জোবায়ের হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহŸায়ক প্রফেসর ড. মো. জাহিদুল কবীর।
এর আগে সকালে প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর-এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্রাবিড় সৈকত। আলোচনা করেন শিক্ষাবিদ ও রবীন্দ্র গবেষক প্রফেসর শফি আহমেদ। তৃতীয় পর্বে গাহি সাম্যের গান মঞ্চে সঙ্গীতানুষ্ঠান, নৃত্যনাট্য ‘চÐালিকা’ ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী করা হয়।

স্টাফ করেসপন্ডেন্টে, জাগো২৪.নেট 






















