তোফায়েল হোসেন জাকিরঃ যে জাতি যত শিক্ষিত, সে জাতি তত উন্নত ও সমৃদ্ধ। তাই সমাজের জন্য প্রয়োজন শিক্ষার আলো। এ শিক্ষা শুধু পাঠ্যপুস্তকে সীমাবদ্ধতা নয়, জ্ঞান চর্চার জন্য অন্যান্য লেখকদের বই পড়ার গুরুত্বও অপরিসীম। এমনি এক চিন্তা থেকে নিভৃত পল্লী গ্রামের একঝাঁক শিক্ষিত তরুণ গড়ে তুলেছে একটি পাঠাগার। ধীরে ধীরে এই পাঠাগারটি যেনো মানুষের জ্ঞানভাণ্ডার হয়ে দাঁড়াতে শুরু করছে।
শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের মাদরাসা বাজার নামক স্থানে দেখা গেছে ‘‘আলোকিত জীবন ও সমাজ কল্যাণ’’ নামের এই পাঠাগারটির চিত্র। সেখানে বেশ কিছু পাঠক অধির মনোযোগ দিয়ে পড়ছিলেন নানা লেখকদের বই।
জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে ওই ইউনিয়নের পাতিল্যাকুড়া গ্রামের মৃত আব্দুর জোব্বার মিয়ার ছেলে মাহিন মিয়ার উদ্যোগে ‘‘আলোকিত জীবন ও সমাজ কল্যাণ’’ নামের পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করে। এরপর তার সঙ্গে আরও বেশকিছু শিক্ষিত তরুণ যুক্ত হয়ে যৌথ প্রচেষ্ঠায় এই পাঠাগার পরিচালিত হয়েছে চলেছে। প্রাথমিকভাবে ২০ টি বই নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও, বর্তমানে সাহিত্য, জীবনী, গল্প-কবিতা, চলচ্চিত্র, সাধারণ জ্ঞান, ধর্মীয়সহ অন্যান্য প্রায় ২ শতাধিক বই রয়েছে এখানে। আর এইসব বই পড়ে জ্ঞান আহরণ করতে প্রতিদিন আসেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বইপ্রেমি মানুষরা। পাঠকদের উন্নত মানসিকতার সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে পাঠাগারটি। এটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ক্রমান্বয়ে পাঠকপ্রিয় হয়ে উঠছে বইপ্রেমি মানুষদের।
বর্তমানে গত এক বছরের এই পাঠাগার সমাজের জন্য সত্যিকার অর্থে আলো বয়ে আনতে পারবে । শুধু তায় নয়,পাঠাগারটির আয়োজনে বিভিন্ন জাতীয় দিবস, সামাজিক সচেতনা বৃদ্ধি, শিক্ষামূলক প্রতিয়োগীতা অনুষ্ঠান, এলাকার উন্নয়নমূলক কাজসহ একাধিক সামাজিক কাজের স্বচিত্র প্রতিবেদন দেখিয়ে এলাকায় এক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তবে এই পাঠাগারে আরও বেশ কিছু বই, আসবাপত্র, নিয়মিত পত্রিকাসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের অভাব রয়েছে বলে পাঠক সুত্রে জানা গেছে।
বই পড়তে আসা সুমন প্রধান জানায়, গ্রাম এলাকায় বসবাস করায় দূরের ভালো কোনো পাঠাগার বা গ্রন্থাগারে বই পড়ার সুযোগ হয় না। ফলে এ পাঠাগারে বই পড়ে জ্ঞান আহরণ করা হচ্ছে।
স্থানীয় আমিনুল ইসলাম নামের এক প্রধান শিক্ষক জাগো২৪.নেট-কে জানান, পাঠাগারটি মানুষকে আলোকিত করার যে স্বপ্ন দেখেছেন, তরুণদের স্বপ্নকে টিকিয়ে রাখতে হলে সবার সহযোগিতা আবশ্যক।
পাঠাগারটির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ বলেন, পাঠাগার এমন একটি জায়গা যেখানে মানুষ পৃথিবীর বিচিত্র সব জ্ঞানভাণ্ডারের সঙ্গে পরিচিত হবার সুযোগ পায়। নিত্যনতুন উপলব্ধি আর অভিজ্ঞতায় নিজেকে বিকশিত করা যায়।
আলোকিত জীবন ও সমাজ কল্যাণ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহিন মিয়া জাগো২৪.নেট-কে জানান, এটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ক্রমান্বয়ে পাঠকপ্রিয় হয়ে উঠছে। পাঠকদের উপস্থিতই বলে দেয় পাঠাগারকে কানায় কানায় সুশোভিত করেছেন। সবার সহযোগিতায় এই পাঠাগার এগিয়ে যাবে বহুদূর এবং বিভিন্ন অপকর্ম থেকে দূরে থাকবে তরুণ সমাজ।

তোফায়েল হোসেন জাকির, জাগো২৪.নেট: 






















