শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঁধ-সড়ক ভাঙন শঙ্কায় লক্ষাধিক মানুষ

বন্যা থেকে ঘরবাড়ি ও ফসল রক্ষায় নির্মাণ করা হয় বাঁধ। এরপর এই বাঁধটি দিয়ে চলাচলের জন্য রাস্তাও করা হয়। কিন্তু সেই বাঁধের রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে অর্ধশত গর্ত। এসব গর্তগুলো ধীরে ধীরে বড় আকারে হয়ে ভাঙনের রূপ নিয়েছে। যেন কোন মুহূর্তে বাঁধের রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছে লক্ষাধিক মানুষ।

সম্প্রতি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া থেকে বেলকা-কাপাসিয়া পর্যন্ত দেখা যায় ভাঙা এই বাঁধের রাস্তার ভয়াবহ দৃশ্য। এই বাঁধ-রাস্তাটির বড় বড় গর্তের পাশ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করছে সাধারণ মানুষ।

স্থানীয়রা জানায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আটটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষকে বন্যা থেকে রক্ষায় ঘগোয়া থেকে বেলকা-কাপাসিয়া পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার বাঁধ-সড়ক নির্মাণ করা হয়। এরপর এখানে সৃষ্টি হয়েছে অর্ধশত গর্ত। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় ভাঙন হুমকিতে রয়েছে বাঁধের রাস্তাটি। একই সঙ্গে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। তারা এ পথে চলতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। সেই সাথে চলতি এই বর্ষায় বাঁধ-সড়কটি ভেঙে গেলে তলিয়ে যেতে পারে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি। নষ্ট হবে কৃষি ফসলাদি।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাঁধটি সংকুচিত হওয়ায় যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে। কৃষকদের উৎপাদিত ফসল ও মালামাল নিয়ে অতিরিক্ত ২০ কিলোমিটার পথ ঘুরে সুন্দরগঞ্জ থেকে সদরে যাতায়াত করতে হচ্ছে আটটি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের। এছাড়াও প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা। এতে অনেকের জীবন হয়েছে দূর্বিষহ।

স্থানীয় সবুজ মিয়া জানান, এ ভাঙা পথে চলতে গিয়ে কয়েকবার দুর্ঘটনা কবলে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে বিকল্প সড়কে চলছেন। এই ভাঙা বাঁধের রাস্তাটি মেরামতের দাবি জানান তিনি।

বেলকা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ এ সমস্যার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বাঁধ ও সড়ক মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্টকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন, ইতোমধ্যে পরিদর্শন করে ৫০টি গর্ত চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি ও জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছে।

 

জনপ্রিয়

বাঁধ-সড়ক ভাঙন শঙ্কায় লক্ষাধিক মানুষ

প্রকাশের সময়: ০৫:৪৪:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুন ২০২২

বন্যা থেকে ঘরবাড়ি ও ফসল রক্ষায় নির্মাণ করা হয় বাঁধ। এরপর এই বাঁধটি দিয়ে চলাচলের জন্য রাস্তাও করা হয়। কিন্তু সেই বাঁধের রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে অর্ধশত গর্ত। এসব গর্তগুলো ধীরে ধীরে বড় আকারে হয়ে ভাঙনের রূপ নিয়েছে। যেন কোন মুহূর্তে বাঁধের রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছে লক্ষাধিক মানুষ।

সম্প্রতি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া থেকে বেলকা-কাপাসিয়া পর্যন্ত দেখা যায় ভাঙা এই বাঁধের রাস্তার ভয়াবহ দৃশ্য। এই বাঁধ-রাস্তাটির বড় বড় গর্তের পাশ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করছে সাধারণ মানুষ।

স্থানীয়রা জানায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আটটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষকে বন্যা থেকে রক্ষায় ঘগোয়া থেকে বেলকা-কাপাসিয়া পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার বাঁধ-সড়ক নির্মাণ করা হয়। এরপর এখানে সৃষ্টি হয়েছে অর্ধশত গর্ত। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় ভাঙন হুমকিতে রয়েছে বাঁধের রাস্তাটি। একই সঙ্গে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। তারা এ পথে চলতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। সেই সাথে চলতি এই বর্ষায় বাঁধ-সড়কটি ভেঙে গেলে তলিয়ে যেতে পারে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি। নষ্ট হবে কৃষি ফসলাদি।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাঁধটি সংকুচিত হওয়ায় যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে। কৃষকদের উৎপাদিত ফসল ও মালামাল নিয়ে অতিরিক্ত ২০ কিলোমিটার পথ ঘুরে সুন্দরগঞ্জ থেকে সদরে যাতায়াত করতে হচ্ছে আটটি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের। এছাড়াও প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা। এতে অনেকের জীবন হয়েছে দূর্বিষহ।

স্থানীয় সবুজ মিয়া জানান, এ ভাঙা পথে চলতে গিয়ে কয়েকবার দুর্ঘটনা কবলে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে বিকল্প সড়কে চলছেন। এই ভাঙা বাঁধের রাস্তাটি মেরামতের দাবি জানান তিনি।

বেলকা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ এ সমস্যার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বাঁধ ও সড়ক মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্টকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন, ইতোমধ্যে পরিদর্শন করে ৫০টি গর্ত চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি ও জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছে।