শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহারাজা এখন চট্টগ্রামে

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের ৩৮ মণ ওজনের মহারাজা এখন চট্টগ্রমে। দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ লাখ টাকা। ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরুর কথা এখন সবার মুখে মুখে। উপজেলার মধ্যে এ গরুই আকর্ষণীয় ও বড় বলছেন সংশ্লিষ্ট খামারিরা। অন্তত ৫ বছর ধরে মহারাজাকে লালন-পালন করছেন উপজেলার ঘুঘুরাতলী বাজারের খামারী আপেল মাহমুদ। মহারাজার খাবারের তালিকায় রয়েছে নেপিয়ার সবুজ ঘাস, ভেজানো ছোলা, গমের ভুষি, খৈল-মিষ্টি কুমড়াসহ নানা ধরনের পুষ্টিকর খাদ্য। এ গরুকে প্রতিনিয়ত ৩-৪ বার গোসল করাতে হয়। ব্যবহার করা হয় দামি সাবান ও শ্যাম্পু। মশা যাতে কামড় না দেয় সেজন্য স্প্রে করা হয় মশানাশক ওষুধ।

গরুর মালিক আপেল মাহমুদ জানান, গরুর বয়স পাঁচ বছরের উপর হবে। এর নাম রাখছি মহারাজা। গতবারের কুরবানী ঈদে গরুটিকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনলাইনে গরু বিক্রির হওয়ার কারণে এই গরুটির তেমন দাম ওঠেনি। তারপর গরুটিকে আবার বাড়িতে ফেরত নিয়ে আসি। প্রতিদিন এই গরুটির পেছনে ব্যয় আনুমানিক দেড় হাজার টাকার উপর। গরুটির ওজন প্রায় ৩৮ মণ হবে। এর দাম রাখছি ২২ লাখ টাকা। গত বছর গরুটিকে ঢাকা থেকে ফেরত আনার পর অন্তত চার লাখ টাকার উপরে খাবার খাওয়ানো হয়েছে।

মহারাজার পরিচর্যাকারী নিতাই জাগো২৪.নেট-কে বলেন, তিন বছর ধরে আমি এই গরুর সেবা যতœ করে আসছি। দিনে ৫ বার খাওয়াতে হয় গরুটিকে। গতকাল ৮ জুলাই শুক্রবার চট্টগ্রামে অবস্থানরত গরুর মালিক আপেলের নিকট সর্বশেষ অবস্থা জানতে মুঠোফোনে কল করা হলেও রিসিভ না হওয়ায় গরুর বাজার দর জানা যায়নি। অপরদিকে, পুরো উপজেলায় বেশ কয়েকটি হাটে গরু ছাগলের জমজমাট হাট বসছে।

জনপ্রিয়

মহারাজা এখন চট্টগ্রামে

প্রকাশের সময়: ০৫:৫২:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জুলাই ২০২২

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের ৩৮ মণ ওজনের মহারাজা এখন চট্টগ্রমে। দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ লাখ টাকা। ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরুর কথা এখন সবার মুখে মুখে। উপজেলার মধ্যে এ গরুই আকর্ষণীয় ও বড় বলছেন সংশ্লিষ্ট খামারিরা। অন্তত ৫ বছর ধরে মহারাজাকে লালন-পালন করছেন উপজেলার ঘুঘুরাতলী বাজারের খামারী আপেল মাহমুদ। মহারাজার খাবারের তালিকায় রয়েছে নেপিয়ার সবুজ ঘাস, ভেজানো ছোলা, গমের ভুষি, খৈল-মিষ্টি কুমড়াসহ নানা ধরনের পুষ্টিকর খাদ্য। এ গরুকে প্রতিনিয়ত ৩-৪ বার গোসল করাতে হয়। ব্যবহার করা হয় দামি সাবান ও শ্যাম্পু। মশা যাতে কামড় না দেয় সেজন্য স্প্রে করা হয় মশানাশক ওষুধ।

গরুর মালিক আপেল মাহমুদ জানান, গরুর বয়স পাঁচ বছরের উপর হবে। এর নাম রাখছি মহারাজা। গতবারের কুরবানী ঈদে গরুটিকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনলাইনে গরু বিক্রির হওয়ার কারণে এই গরুটির তেমন দাম ওঠেনি। তারপর গরুটিকে আবার বাড়িতে ফেরত নিয়ে আসি। প্রতিদিন এই গরুটির পেছনে ব্যয় আনুমানিক দেড় হাজার টাকার উপর। গরুটির ওজন প্রায় ৩৮ মণ হবে। এর দাম রাখছি ২২ লাখ টাকা। গত বছর গরুটিকে ঢাকা থেকে ফেরত আনার পর অন্তত চার লাখ টাকার উপরে খাবার খাওয়ানো হয়েছে।

মহারাজার পরিচর্যাকারী নিতাই জাগো২৪.নেট-কে বলেন, তিন বছর ধরে আমি এই গরুর সেবা যতœ করে আসছি। দিনে ৫ বার খাওয়াতে হয় গরুটিকে। গতকাল ৮ জুলাই শুক্রবার চট্টগ্রামে অবস্থানরত গরুর মালিক আপেলের নিকট সর্বশেষ অবস্থা জানতে মুঠোফোনে কল করা হলেও রিসিভ না হওয়ায় গরুর বাজার দর জানা যায়নি। অপরদিকে, পুরো উপজেলায় বেশ কয়েকটি হাটে গরু ছাগলের জমজমাট হাট বসছে।