তিনি আরো জানান- বাঁশ, প্লাস্টিকের ফিতা ও পেরেক দিয়ে দোলনা তৈরি করা হয়। প্রতিমাসে গড়ে তৈরি ২৪০-২৫০টি দোলনা। এগুলো তাঁর কারখানাতেই তৈরি হয়। দোলনাগুলো আকারভেদে বিক্রি হয় ২০০-৩০০ টাকায়। দোলনা তৈরির কারিগর সিরাজুল, তাঁর তিন ছেলে ও নাতিরা মিলে কারখানায় কাজ করেন। ফলে প্রতিমাসে তাঁদের আয় হয় অন্তত ৫০ হাজার টাকা। এ আয় দিয়েই তাঁদের সংসারের প্রায় ২০ জনের ভরণপোষণ হয় এবং আগামীদিনের জন্য কিছু টাকা জমা করা হয়। তাঁর কারখানায় উৎপাদিত দোলনা খানসামা উপজেলার পাশাপাশি দিনাজপুর, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, রংপুরসহ কয়েকটি জেলা ও উপজেলায় পাইকারি দরে বাজারজাত করেন তিনি।
সিরাজুল ইসলাম আরো বলেন, ‘দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবত আমি এ কাজের সাথে সম্পৃক্ত। এতে আমি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছি। পাশাপাশি আমার ছেলেদেরও কর্মসংস্থান হয়েছে। তবে বর্তমানে দোলনা তৈরির উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভের পরিমাণ অনেক কমেছে।’
ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন লিটন বলেন, হাতে তৈরি বাঁশের দোলনার ঐতিহ্য ধরে রাখতে সিরাজুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। গ্রাম-বাংলার এ ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে তাঁর কাজ প্রশংসার দাবী রাখে। আর্থিক কোনো সহায়তা পেলে তাঁর এ কাজের পরিধি আরো বৃদ্ধি পাবে এবং অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
মো. রফিকুল ইসলাম, করেসপন্ডেন্ট, জাগো২৪.নেট, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) 























