মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিরিরবন্দরে দুই পা বিশিষ্ট গরুর বাছুরের জন্ম

দিনাজপুরের  চিরিরবন্দরে জন্ম নিয়েছে দুই পায়ের একটি গরুর বাছুর। স্বাভাবিকভাবে গরুর ৪টি পা থাকে। কিন্তু জন্ম নেয়া বাছুরটির পিছনের দুটি পা নেই। শুধুমাত্র সামনের দুটি পা নিয়েই জন্মগ্রহণ করেছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বাছুরটিকে একনজর দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে উৎসুক জনতা।
সম্প্রতি উপজেলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সুকদেবপুর গ্রামে মো. দুলাল হোসেনের বাড়িতে এ গরুর বাছুরটি জন্ম নেয়। দুই পা নিয়ে দাঁড়াতেই পারছে না বাছুরটি। এ বাছুরটি দেখতে আসা প্রতিবেশি আশরাফ আলী বলেন, ‘দুই পা-ওয়ালা বাছুর আমি আগে কখনো দেখিনি। যখন শুনলাম এখানে দুই পা-ওয়ালা গরুর বাছুর হয়েছে তখন দেখার জন্য এলাম।
গরুর মালিক দুলাল হোসেন বলেন, বাছুরটি দুই পা নিয়ে জন্মেছে। লাল রঙের বাছুরটি ৪টি পায়ের মধ্যে পিছনের ২টি পা নেই। আবার লেজটুকু ও একটি কান খুব ছোট আকৃতির। তবে নাক, চোঁখ ঠিক থাকলেও মুখ একটু বাঁকা। জিহবা স্বাভাবিকের চেয়ে বড়। বাছুরটি দেখার জন্য অনেক দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন দেখতে আসছে। আমি তো কাউকে আসার জন্য মানাও করতে পারছি না। তবে বাছুরটি বর্তমানে অসুস্থ আছে। মায়ের দুধ খাচ্ছে না। বোতলে করে খাওয়ানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের উপ সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (প্রজনন) মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, এটাকে মেডিকেলের ভাষায় বলা হয় কনজেনিটাল এনোমালিস। এটা একটা জিনগত সমস্যা। আমাদের শরীরের সব কিছুর জন্য যেমন, কোনো না কোনো জিন দায়ী। তেমনি বাছুরটির সামনের পা বৃদ্ধির জন্য যে জিন দায়ী, সেই জিনটির কোনো সমস্যা থাকায় ভ্রুণ অবস্থায় বাছুরটির পায়ের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটেনি। সৃষ্টিকর্তার উপরে কারো হাত নাই। সৃষ্টিকর্তা চাইলে সব সম্ভব।’
জনপ্রিয়

চিরিরবন্দরে দুই পা বিশিষ্ট গরুর বাছুরের জন্ম

প্রকাশের সময়: ০৭:২৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২
দিনাজপুরের  চিরিরবন্দরে জন্ম নিয়েছে দুই পায়ের একটি গরুর বাছুর। স্বাভাবিকভাবে গরুর ৪টি পা থাকে। কিন্তু জন্ম নেয়া বাছুরটির পিছনের দুটি পা নেই। শুধুমাত্র সামনের দুটি পা নিয়েই জন্মগ্রহণ করেছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বাছুরটিকে একনজর দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে উৎসুক জনতা।
সম্প্রতি উপজেলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সুকদেবপুর গ্রামে মো. দুলাল হোসেনের বাড়িতে এ গরুর বাছুরটি জন্ম নেয়। দুই পা নিয়ে দাঁড়াতেই পারছে না বাছুরটি। এ বাছুরটি দেখতে আসা প্রতিবেশি আশরাফ আলী বলেন, ‘দুই পা-ওয়ালা বাছুর আমি আগে কখনো দেখিনি। যখন শুনলাম এখানে দুই পা-ওয়ালা গরুর বাছুর হয়েছে তখন দেখার জন্য এলাম।
গরুর মালিক দুলাল হোসেন বলেন, বাছুরটি দুই পা নিয়ে জন্মেছে। লাল রঙের বাছুরটি ৪টি পায়ের মধ্যে পিছনের ২টি পা নেই। আবার লেজটুকু ও একটি কান খুব ছোট আকৃতির। তবে নাক, চোঁখ ঠিক থাকলেও মুখ একটু বাঁকা। জিহবা স্বাভাবিকের চেয়ে বড়। বাছুরটি দেখার জন্য অনেক দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন দেখতে আসছে। আমি তো কাউকে আসার জন্য মানাও করতে পারছি না। তবে বাছুরটি বর্তমানে অসুস্থ আছে। মায়ের দুধ খাচ্ছে না। বোতলে করে খাওয়ানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের উপ সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (প্রজনন) মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, এটাকে মেডিকেলের ভাষায় বলা হয় কনজেনিটাল এনোমালিস। এটা একটা জিনগত সমস্যা। আমাদের শরীরের সব কিছুর জন্য যেমন, কোনো না কোনো জিন দায়ী। তেমনি বাছুরটির সামনের পা বৃদ্ধির জন্য যে জিন দায়ী, সেই জিনটির কোনো সমস্যা থাকায় ভ্রুণ অবস্থায় বাছুরটির পায়ের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটেনি। সৃষ্টিকর্তার উপরে কারো হাত নাই। সৃষ্টিকর্তা চাইলে সব সম্ভব।’