শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:১৬ অপরাহ্ন

খানসামায় রসুন আবাদে ব্যস্ত কৃষক-কৃষাণী

মো. রফিকুল ইসলাম, করেসপন্ডেন্ট, জাগো২৪.নেট, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর)
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২২
আগাম রসুনচাষে লেগে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কৃষক-কৃষাণীরা। চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপকহারে রসুনচাষ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। বাজারে রসুনের মূল্য ভালো থাকায় এমন আগ্রহ চাষিদের মধ্যে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় রসুনচাষে লাভও বেশি পাওয়া যায়। রসুনচাষের আবহাওয়া উপযোগী হওয়ার কারণে ফলনও ভালো হয়। তাই অধিক লাভের আশায় সাদা সোনাখ্যাত রসুনচাষে ঝুঁকে পড়েছেন এ উপজেলার কৃষক-কৃষাণীরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে রসুনচাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৭৮০ হেক্টর জমিতে আগাম রসুন লাগানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে আরো ২ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম রসুন লাগানোর সম্ভবনা রয়েছে। গত বছর উৎপাদিত রসুনের ভালো দাম পাওয়ায় এ বছরও অধিক মুনাফার আশায় কৃষকরা রসুনচাষে ঝুঁকে পড়েছেন। সেচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং অনুকূল আবহাওয়া বিরাজমান করায় এবার উপজেলায় রসুনের ভালো ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।
সরজমিনে উপজেলার ভাবকী, মাড়গাঁও, কায়েমপুর, জোয়ার, জুগীরঘোপা, আগ্রা, গুলিয়ারা, কাচিনীয়া, রামনগর ও গোয়ালডিহি গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে, কেউ কেউ রসুনের বীজ রোপন করছেন। আবার কেউ কেউ রসুন রোপনের জন্য জমি তৈরি করছেন। আবার কেউ কেউ রসুনচাষের জন্যে খড় সংগ্রহের জন্য ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। এছাড়াও গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় জটলা বেঁধে রসুনের বীজ প্রস্তুত করতে কাজ করছেন বাড়ির শিশুসহ মহিলারা।
কয়েকজন কৃষক জানান, অধিক লাভের আশায় অনেকেই জমি বর্গা নিয়ে রসুনচাষ করেছেন। গত দুই বছর আগে যেখানে রসুন প্রতিমণের দাম ৩-৪ হাজার টাকা ছিল সেখানে গত বছর সাড়ে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাজার দর ভালো পাওয়ায় এ বছরও কৃষকরা ব্যাপক হারে রসুরচাষ করছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছরও রসুনের ফলন বেশি হবে বলে আশা করছেন তারা। খামারপাড়া ইউনিয়নের জুগিরঘোপা গ্রামের কৃষক আসলাম আলী জানান, বিঘাপ্রতি জমিতে রসুন লাগাতে জমি তৈরি, বীজ, শ্রমিক, সার, কীটনাশক, নিড়ানি ও উত্তোলন করতে ৪০-৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়। রসুনের ফলন ও বাজারে দাম ভালো থাকলে লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় জানান, বর্তমানে উপজেলার কৃষকদের নিকট রসুন একটি অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল হয়ে উঠেছে। খরচ কম ও অধিক লাভ হওয়ায় বর্তমানে এই ফসলের ব্যাপক হারে চাষও হচ্ছে। রসুনচাষে কৃষককে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। আশা করছি এবারও কৃষকরা রসুনের ভালো ফলন ও দাম পাবেন।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | জাগো২৪.নেট

কারিগরি সহায়তায় : শাহরিয়ার হোসাইন