মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫ টাকায় পেটভরে খাবার 

পাবনার ঈশ্বরদীর প্রায় ৩০০ হতদরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষ ৫টাকার পেটভরে দুপুরের খাবার খেলেন। গতকাল দুপুর ২টায় শহরের রেলগেটে পাঁচ টাকার বিনিময়ে খাবার আয়োজন করে ঈশ্বরদী ক্রিকেট একাডেমি।
সরেজমিন দেখা যায়, রেলগেটের পাশেই শামিয়ানা টানিয়ে চেয়ার-টেবিল সাজিয়ে দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। দুপুর ২টার আগেই খাবারের জন্য পাঁচ টাকার টোকন সংগ্রহ করে অপেক্ষা করছেন সুবিধাবঞ্চিত শিশু, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ভিক্ষুক ও ছিন্নমূল মানুষজন। মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে পেটভরে খিচুড়ি ও মুরগির মাংস খান তারা।
এ আয়োজনের প্রশংসা করে রিকশাচালক উমির উদ্দিন বলেন, ‘মাঝেমধ্যেই ক্রিকেট একাডেমি এ ধরনের আয়োজন করে। আমরা যারা অল্প আয়ের মানুষ তারা এ খাবার পেয়ে খুবই খুশি। খিচুড়ি-মাংস রান্না খুব ভালো হয়েছিল। তৃপ্তি সহকারে খেলাম।’
ঈশ্বরদী ক্রিকেট একাডেমির কোচ মারুফ হাসান বলেন, এ খাবারকে কেউ যেন ফ্রি খাবার বা ভিক্ষাবৃত্তি মনে না করেন সেজন্য পাঁচ টাকা করে নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, আমরা কোনো টুর্নামেন্টে জয়ী হলে সেখান থেকে প্রাপ্ত টাকা হতদরিদ্র মানুষদের খাবারের জন্য রেখে দেই। পাশাপাশি আমাদের বেশ কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন তারাও সহযোগিতা করেন। সবার সহযোগিতায় আমরা মাঝেমধ্যে হতদরিদ্র মানুষদের খাবারের আয়োজন করে থাকি।
ঈশ্বরদী ক্রিকেট একাডেমির শুভাকাঙ্ক্ষী নাসির উদ্দিন বলেন, হতদরিদ্র মানুষদের খাবার আয়োজনে সহযোগিতা করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগে। আমি দূরে দাঁড়িয়ে মানুষগুলোর খাওয়া দেখছিলাম। তারা খুব তৃপ্তি সহকারে খেয়েছেন।
উন্নয়নকর্মী মোস্তাক আহমেদ কিরণ বলেন, ঈশ্বরদী ক্রিকেট একাডেমি খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এই মহতী উদ্যোগে ঈশ্বরদীর বিত্তবানরা এগিয়ে এসে সহযোগিতা করবেন প্রত্যাশা করি।
জনপ্রিয়

৫ টাকায় পেটভরে খাবার 

প্রকাশের সময়: ০৮:৪৩:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২
পাবনার ঈশ্বরদীর প্রায় ৩০০ হতদরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষ ৫টাকার পেটভরে দুপুরের খাবার খেলেন। গতকাল দুপুর ২টায় শহরের রেলগেটে পাঁচ টাকার বিনিময়ে খাবার আয়োজন করে ঈশ্বরদী ক্রিকেট একাডেমি।
সরেজমিন দেখা যায়, রেলগেটের পাশেই শামিয়ানা টানিয়ে চেয়ার-টেবিল সাজিয়ে দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। দুপুর ২টার আগেই খাবারের জন্য পাঁচ টাকার টোকন সংগ্রহ করে অপেক্ষা করছেন সুবিধাবঞ্চিত শিশু, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ভিক্ষুক ও ছিন্নমূল মানুষজন। মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে পেটভরে খিচুড়ি ও মুরগির মাংস খান তারা।
এ আয়োজনের প্রশংসা করে রিকশাচালক উমির উদ্দিন বলেন, ‘মাঝেমধ্যেই ক্রিকেট একাডেমি এ ধরনের আয়োজন করে। আমরা যারা অল্প আয়ের মানুষ তারা এ খাবার পেয়ে খুবই খুশি। খিচুড়ি-মাংস রান্না খুব ভালো হয়েছিল। তৃপ্তি সহকারে খেলাম।’
ঈশ্বরদী ক্রিকেট একাডেমির কোচ মারুফ হাসান বলেন, এ খাবারকে কেউ যেন ফ্রি খাবার বা ভিক্ষাবৃত্তি মনে না করেন সেজন্য পাঁচ টাকা করে নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, আমরা কোনো টুর্নামেন্টে জয়ী হলে সেখান থেকে প্রাপ্ত টাকা হতদরিদ্র মানুষদের খাবারের জন্য রেখে দেই। পাশাপাশি আমাদের বেশ কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন তারাও সহযোগিতা করেন। সবার সহযোগিতায় আমরা মাঝেমধ্যে হতদরিদ্র মানুষদের খাবারের আয়োজন করে থাকি।
ঈশ্বরদী ক্রিকেট একাডেমির শুভাকাঙ্ক্ষী নাসির উদ্দিন বলেন, হতদরিদ্র মানুষদের খাবার আয়োজনে সহযোগিতা করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগে। আমি দূরে দাঁড়িয়ে মানুষগুলোর খাওয়া দেখছিলাম। তারা খুব তৃপ্তি সহকারে খেয়েছেন।
উন্নয়নকর্মী মোস্তাক আহমেদ কিরণ বলেন, ঈশ্বরদী ক্রিকেট একাডেমি খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এই মহতী উদ্যোগে ঈশ্বরদীর বিত্তবানরা এগিয়ে এসে সহযোগিতা করবেন প্রত্যাশা করি।