মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খানসামায় যে বিদ্যালয় থেকে কেউ পাস করেনি

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার হাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় কোন শিক্ষার্থী উর্ত্তীণ হতে পারেনি। বিদ্যালয়টি উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে অবস্থিত। এ বিদ্যালয়টি দিনাজপুুর জেলার মধ্যে একমাত্র  শুন্য পাসের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় এ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগ থেকে ৬ জন শিক্ষার্থী পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। কিন্তু পরীক্ষার ফলাফলে জানা যায় এ বিদ্যালয় থেকে কোন পরীক্ষার্থীই পাস করেনি। বিগত ১৯৯৪ সালে হাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টিতে ৭ জন শিক্ষক ও ২ জন অফিস সহকারী রয়েছেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও ফলাফল সন্তোষজনক হয়েছিল। এবারই প্রথম এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল শুন্য হয়েছে। হাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনজিৎ চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের বিদ্যালয় থেকে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল বরাবরই ভালো হয়। কিন্তু এবার এসএসসি পরীক্ষার ব্যাচটি ছিল দুর্বল ও অনিয়মিত। তারপর করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো পড়াশোনা করেনি। এরপরও আমরা ভালো করার অনেক চেষ্টা করেছি। শেষ পর্যন্ত বদনামের তকমা মাথায় নিতে হলো।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এম মঞ্জুরুল হক জানান, এ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাবে শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে ক্লাস না নেয়ার কারণে এরকম ফলাফল হতে পারে। এ নিয়ে তদন্ত করে শিক্ষাবোর্ড এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
জনপ্রিয়

খানসামায় যে বিদ্যালয় থেকে কেউ পাস করেনি

প্রকাশের সময়: ০১:২০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার হাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় কোন শিক্ষার্থী উর্ত্তীণ হতে পারেনি। বিদ্যালয়টি উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে অবস্থিত। এ বিদ্যালয়টি দিনাজপুুর জেলার মধ্যে একমাত্র  শুন্য পাসের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় এ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগ থেকে ৬ জন শিক্ষার্থী পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। কিন্তু পরীক্ষার ফলাফলে জানা যায় এ বিদ্যালয় থেকে কোন পরীক্ষার্থীই পাস করেনি। বিগত ১৯৯৪ সালে হাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টিতে ৭ জন শিক্ষক ও ২ জন অফিস সহকারী রয়েছেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও ফলাফল সন্তোষজনক হয়েছিল। এবারই প্রথম এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল শুন্য হয়েছে। হাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনজিৎ চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের বিদ্যালয় থেকে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল বরাবরই ভালো হয়। কিন্তু এবার এসএসসি পরীক্ষার ব্যাচটি ছিল দুর্বল ও অনিয়মিত। তারপর করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো পড়াশোনা করেনি। এরপরও আমরা ভালো করার অনেক চেষ্টা করেছি। শেষ পর্যন্ত বদনামের তকমা মাথায় নিতে হলো।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এম মঞ্জুরুল হক জানান, এ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাবে শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে ক্লাস না নেয়ার কারণে এরকম ফলাফল হতে পারে। এ নিয়ে তদন্ত করে শিক্ষাবোর্ড এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।