বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে : খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমাদের চাষযোগ্য জমির পরিমাণ মাথাপিছু অন্য অনেক দেশের চেয়ে কম এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব পৃথিবীর সর্বোচ্চ। এ সত্ত্বেও বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের বিজয় একাত্তর হলে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি এর অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আকতার।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতের অঙ্গীকার করা হয়েছে। খাদ্যে ভেজাল বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদেরকে দক্ষতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে নেতৃত্ব দিতে হবে। আর বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা অর্জন করার জন্য জনবলের দক্ষতা; কারিগরি জ্ঞান; ট্রেনিং এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বিকল্প নাই।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির(জাইকা)মধ্যে কারিগরী সহায়তা প্রকল্প স্বাক্ষর করা হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাইয়ুম সরকার এবং জাইকার প্রতিনিধি ইয়োহ হায়া কাওয়া রেকর্ড অফ ডিসকাশনে স্বাক্ষর করেন। চুক্তির মধ্যে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে তা হলো; কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ; বিভিন্ন প্রকার নীতি প্রণয়ন; SOP বা মানসম্মত কার্যপদ্ধতি প্রণয়ন; যুগোপযোগী গাইডলাইন নির্মাণ; কৌশলগত পরিকল্পনা ২০২১-২০২৬ প্রণয়ন; বিভিন্ন প্রকার রেফারেন্স ল্যাব স্থাপন; বিশেষজ্ঞ পরামর্শক নিয়োগ ইত্যাদি কাজ করা হবে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, সাম্প্রতিক বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রগতি দেখার মতো। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এই প্রজেক্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জাপান সরকারের জাইকা বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ।
জনপ্রিয়

মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে : খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময়: ০৪:৪৩:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমাদের চাষযোগ্য জমির পরিমাণ মাথাপিছু অন্য অনেক দেশের চেয়ে কম এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব পৃথিবীর সর্বোচ্চ। এ সত্ত্বেও বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের বিজয় একাত্তর হলে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি এর অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আকতার।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতের অঙ্গীকার করা হয়েছে। খাদ্যে ভেজাল বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদেরকে দক্ষতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে নেতৃত্ব দিতে হবে। আর বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা অর্জন করার জন্য জনবলের দক্ষতা; কারিগরি জ্ঞান; ট্রেনিং এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বিকল্প নাই।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির(জাইকা)মধ্যে কারিগরী সহায়তা প্রকল্প স্বাক্ষর করা হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাইয়ুম সরকার এবং জাইকার প্রতিনিধি ইয়োহ হায়া কাওয়া রেকর্ড অফ ডিসকাশনে স্বাক্ষর করেন। চুক্তির মধ্যে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে তা হলো; কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ; বিভিন্ন প্রকার নীতি প্রণয়ন; SOP বা মানসম্মত কার্যপদ্ধতি প্রণয়ন; যুগোপযোগী গাইডলাইন নির্মাণ; কৌশলগত পরিকল্পনা ২০২১-২০২৬ প্রণয়ন; বিভিন্ন প্রকার রেফারেন্স ল্যাব স্থাপন; বিশেষজ্ঞ পরামর্শক নিয়োগ ইত্যাদি কাজ করা হবে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, সাম্প্রতিক বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রগতি দেখার মতো। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এই প্রজেক্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জাপান সরকারের জাইকা বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ।