মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সমাবেশ

গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানির গোঘাটে অবৈধ বালু উত্তোলণ চক্রের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারের জেরে মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন তিন সাংবাদিক। এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ কর্মসুচি পালিত হয়েছে।

সোমবার (৩ মে) দুপুরে গাইবান্ধার ডিবি রোডে গাইবান্ধা প্রতিবাদি সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এই কর্মসুচি পালিত হয়।

এসময় সাংবাদিক শফিউল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক রেজাউন্নবী রাজু, খালেদ হোসেন, অমিতাভস দাশ হিমুন, জাভেদ হোসেন, ইদ্রিসউজ্জামান মোনা ও মামলার শিকার মিলন খন্দকার, মো. সুমন মিয়া, রিয়ন ইসলাম রকি প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বালু উত্তোলনের মাধ্যমে ওই এলাকার প্রকৃতি ও পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছিল। এলাকাবাসির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই সাংবাদিকরা গত ১৭ ফেব্রয়ারি তাদের টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে বিষয়টি তুলে ধরেন। পরে তাদের নানাভাবে ম্যানেজের চেষ্টা করে বালুখেকোচক্র ও একটি প্রভাবশালী কুচক্রিমহল। তারা রাজি না হলে সংবাদ প্রচারের আড়াই মাস পর গাইবান্ধা থানায় চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। তারা উচ্চ ও স্থানীয় আদালত থেকে জামিন গ্রহন করেন। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক মিলন খন্দকার জানান, ওই বালুখেকো চক্রের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত ২০ লাখ টাকা জরিমানা করে। একজন সরকারি কর্মকর্তা বাদি হয়ে মামলাও করেন। সেই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে প্রভাবশালী চক্রকে ম্যানেজ করে মামলাটি দায়ের করা হয়। তিনি ওই চক্রের মুলহোতা মামলার বাদি জাহাঙ্গীর মিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।

পরে সমাবেশে অংশগ্রহনকারীরা শহরের ব্যস্ততম সড়ক ডিবিরোড প্রায় ঘন্টাব্যাপী অবরোধ করে  রাখে। এসময় শহরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

জনপ্রিয়

গাইবান্ধায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সমাবেশ

প্রকাশের সময়: ০২:৪২:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানির গোঘাটে অবৈধ বালু উত্তোলণ চক্রের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারের জেরে মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন তিন সাংবাদিক। এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ কর্মসুচি পালিত হয়েছে।

সোমবার (৩ মে) দুপুরে গাইবান্ধার ডিবি রোডে গাইবান্ধা প্রতিবাদি সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এই কর্মসুচি পালিত হয়।

এসময় সাংবাদিক শফিউল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক রেজাউন্নবী রাজু, খালেদ হোসেন, অমিতাভস দাশ হিমুন, জাভেদ হোসেন, ইদ্রিসউজ্জামান মোনা ও মামলার শিকার মিলন খন্দকার, মো. সুমন মিয়া, রিয়ন ইসলাম রকি প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বালু উত্তোলনের মাধ্যমে ওই এলাকার প্রকৃতি ও পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছিল। এলাকাবাসির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই সাংবাদিকরা গত ১৭ ফেব্রয়ারি তাদের টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে বিষয়টি তুলে ধরেন। পরে তাদের নানাভাবে ম্যানেজের চেষ্টা করে বালুখেকোচক্র ও একটি প্রভাবশালী কুচক্রিমহল। তারা রাজি না হলে সংবাদ প্রচারের আড়াই মাস পর গাইবান্ধা থানায় চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। তারা উচ্চ ও স্থানীয় আদালত থেকে জামিন গ্রহন করেন। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক মিলন খন্দকার জানান, ওই বালুখেকো চক্রের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত ২০ লাখ টাকা জরিমানা করে। একজন সরকারি কর্মকর্তা বাদি হয়ে মামলাও করেন। সেই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে প্রভাবশালী চক্রকে ম্যানেজ করে মামলাটি দায়ের করা হয়। তিনি ওই চক্রের মুলহোতা মামলার বাদি জাহাঙ্গীর মিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।

পরে সমাবেশে অংশগ্রহনকারীরা শহরের ব্যস্ততম সড়ক ডিবিরোড প্রায় ঘন্টাব্যাপী অবরোধ করে  রাখে। এসময় শহরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।