লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন খানের আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবন থেকে ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ভোর রাতে সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের তল্লাশিতে এসব মরদেহ উদ্ধার হয়।
জানা গেছে, সোমবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়লে লালমনিরহাট সদর উপজেলা, পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা ও কালীগঞ্জ উপজেলায় আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এ সময় লালমনিরহাট -৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। লালমনিরহাট- ২ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের বাড়ি, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হামলা করে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
এদিকে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন খানের বাড়ি থেকে মঙ্গলবার ভোর রাতে অগ্নিদগ্ধ ৬টি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন— মৃত. জাহিদুল ইসলামের ছেলে তন্ময় আহমেদ, সাইদুল ইসলাম মিঠুলের ছেলে শ্রাবণ, সেকেন্দার আলির ছেলে জনি, রেজাউল কবীর সরকারের ছেলে রাজিবুল করিম, জিয়াউর রহমানের ছেলে রাদিক হোসেন রসো। আরেকজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা জুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক। তিনি বলনে, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।