গাইবান্ধার স্মৃতিস্তম্ভে চর ও জীবন শীর্ষক গাইবান্ধার নন্দিত ফটোসাংবাদিক ও আলোকচিত্রশিল্পী কুদ্দুস আলমের একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি আলোকচিত্রী, মানবাধিকার অ্যাক্টিভিস্ট, লেখক এবং কিউরেটর, দৃক পিকচার লাইব্রেরির এবং পাঠশালা, সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠাতা একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. শহিদুল ইসলাম।আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি আলোকচিত্রী, মানবাধিকার অ্যাক্টিভিস্ট, লেখক এবং কিউরেটর, দৃক পিকচার লাইব্রেরির এবং পাঠশালা, সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠাতা একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. শহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন- গাইবান্ধায় কুদ্দুস আলম আলোকচিত্র প্রদর্শনী একটি গর্বের বিষয়। শহরকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা বদলাতে হবে। এটি ঢাকা কেন্দ্রিক হলে ভাল হয়।
এতে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুম সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন – গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন সদস্য ও দ্যা ডেইলি ষ্টার প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ। সভাপতিত্ব করেন সৃজনশীল গাইবান্ধা উপদেষ্টা, সু-প্যালেস ও ফ্যাশন প্যালেস স্বত্ত্বাধিকারী আবুল হোসেন মৃধা সোহাগ।
গাইবান্ধার নন্দিত ফটোসাংবাদিক ও আলোকচিত্রশিল্পী কুদ্দুস আলম। চরাঞ্চলের প্রান্তিক মানুষের কাছে তিনি ছবিওয়ালা আবার কারও কাছে ছবির কবি তিনি। গাইবান্ধা মোট আয়তনের অন্ততপক্ষে ৩৫শতাংশ নদ-নদী ও চরাঞ্চল। জেলার মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ মানুষের বসবাস চার উপজেলার ২৮টি ইউনিয়ন এর ১৬৫ টি দ্বীপচরে৷ এসব চরে অন্ততপক্ষে ৪৭ শতাংশ মানুষই জীবনমান দারিদ্র্যসীমার নিচে। বন্যা, নদীভাঙ্গন, শৈতপ্রবাহ, খরার মত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে কেটে যায় মানুষের যাপিত জীবন। চর একটি ক্ষনস্থায়ী ভূখণ্ড। যা নদীর বুকে জেগে ওঠে আবার কালের স্রোতে বিলীন হয়ে যায়। এই অস্থির প্রকৃতির কোলে বাঁধা থাকে চর গ্রামের মানুষের সংগ্রামী জীবনধারন। কুদ্দুস আলমের ক্যামেরার লেন্স সেই জীবনযাত্রাকে ফ্রেম বন্দি করেছেন। সেই সব চরের মানুষের জীবন সংগ্রামের ১৩০ টি প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে ধরেছেন আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে।
সৃজনশীল গাইবান্ধার আয়োজনে এবং , সু-প্যালেস ও ফ্যাশন প্যালেস সহযোগীতায় ১২ই এপ্রিল থেকে ১৪ই এপ্রিল ৩ দিন ব্যাপী আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার উদ্বোধনের দিনে গাইবান্ধার বিজয়স্তম্ভ প্রাঙ্গনে আলোকচিত্র প্রতিযোগীতায় নৃত্য, বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ, ও দুপুরে পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন – সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠাতা একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. শহিদুল ইসলাম, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন সদস্য ও দ্যা ডেইলি ষ্টার প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ, দৃক নিউজের সায়মা রহমান ফিমা, স্থানীয় মাধুকর পত্রিকার সম্পাদক কালেরকন্ঠের প্রতিনিধি অমিতাভ দাস হিমুন, এটিএন বাংলা প্রতিনিধি ইদ্রিসুজ্জামান মনা, মাছরাঙা টিভির প্রতিনিধি সিদ্দিক আলম দয়াল, কে,এম রেজাউল হক, ইত্তেফাক প্রতিনিধি তাজুল ইসলাম রেজা, যায় যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি শফিউল ইসলাম, সময়ের আলো প্রতিনিধি কায়সার রহমান রোমেল, ডিবিসি প্রতিনিধি রিক্তু প্রসাদ, মানবজমিন প্রতিনিধি রওশন হাবিব।
দ্বিতীয় দিন সকাল ১১ টায় আলোকচিত্র কর্মশালা, বিকেলে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং তৃতীয় দিন বিকেলে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও গুনীজন সম্মাননা প্রদান করা হবে।
সঞ্জয় সাহা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, জাগো২৪.নেট 

























