সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুন্দরগঞ্জে চীনের হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে স্মারকলিপি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে চীন মৈত্রী হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টার বরাবর এ স্মারকলিপি পৌঁছে দেয়ার জন্য সোমবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজ কুমার বিশ্বাস এর হাতে এ স্মারকলিপি দেয়া হয়।

“চীন মৈত্রী হাসপাতাল বাস্তবায়ন পরিষদ”-এর পক্ষ থেকে দেয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, তিস্তা সেতুর পাশবর্তী হরিপুর ইউনিয়নে প্রায় ১২০০ একরের বেশি অনাবাদি খাস জমি রয়েছে, যা সরকারি বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একদিকে উপযুক্ত। অন্যদিকে বিনামূল্যে প্রাপ্ত হওয়ায় সরকারের অর্থনৈতিক দিক থেকেও লাভজনক। নবনির্মিত তিস্তা সেতুর মাধ্যমে এই এলাকা কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা, জামালপুর ও শেরপুর জেলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হওয়ায় এর কৌশলগত গুরুত্বও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

স্মারকলিপিতে আরও জানানো হয়, প্রস্তাবিত ১০০০ শয্যার হাসপাতালটি বাস্তবায়িত হলে অন্তত ৫০ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে। অথচ রংপুর বিভাগে বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর ও নীলফামারীসহ বিভিন্ন জেলায় আধুনিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান থাকলেও গাইবান্ধা জেলায় এখনো কোনো সরকারি মেডিকেল কলেজ বা বড় হাসপাতাল গড়ে ওঠেনি। বিশেষত চরাঞ্চলভিত্তিক এই জেলায় নদীভাঙন, বন্যা ও স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা নেই বললেই চলে।

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও গাইবান্ধার জনগণ স্বাস্থ্যসেবায় বঞ্চিত—এমন বাস্তবতায় সুন্দরগঞ্জে ‘চীন মৈত্রী হাসপাতাল’ স্থাপনকে সময়োপযোগী ও মানবিক সিদ্ধান্ত হিসেবে অভিহিত করা হয় স্মারকলিপিতে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের গত ১৭ এপ্রিল এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, চীনের অর্থায়নে তিস্তা পাড়ে ১০০০ শয্যার একটি হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্যে খাস জমি অনুসন্ধান চলছে। সেই প্রেক্ষাপটে হরিপুর ইউনিয়নের প্রস্তাবিত জমিকে সর্বাধিক উপযুক্ত বিবেচনায় দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাস্তবায়ন পরিষদ।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাবুল আহমেদ, সদস্য সচিব মাহমুদুল ইসলাম প্রামাণিক, কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোয়ার আলম সরকার, উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান ইফতেখার হোসেন পপেল, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ গফফার মোল্লা ও এম মাহফুজার রহমান লেলিন, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান লিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম আনোয়ার ও আসাদুজ্জামান রাসেল, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাজেদুর রহমান প্রামাণিক রুনু, সুন্দরগঞ্জ বাজার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এসএম নাহিদ আলম রাব্বি লেলিন, পৌর জামায়াতের যুব সহ-সভাপতি বুলবুল আহমেদ এবং সংগঠক কামরুজ্জামান মিঞা আপেল। এছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষক, সাংবাদিক, উন্নয়নকর্মী ও সমাজসেবকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

জনপ্রিয়

সুন্দরগঞ্জে চীনের হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে স্মারকলিপি

প্রকাশের সময়: ০৫:৫৮:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে চীন মৈত্রী হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টার বরাবর এ স্মারকলিপি পৌঁছে দেয়ার জন্য সোমবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজ কুমার বিশ্বাস এর হাতে এ স্মারকলিপি দেয়া হয়।

“চীন মৈত্রী হাসপাতাল বাস্তবায়ন পরিষদ”-এর পক্ষ থেকে দেয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, তিস্তা সেতুর পাশবর্তী হরিপুর ইউনিয়নে প্রায় ১২০০ একরের বেশি অনাবাদি খাস জমি রয়েছে, যা সরকারি বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একদিকে উপযুক্ত। অন্যদিকে বিনামূল্যে প্রাপ্ত হওয়ায় সরকারের অর্থনৈতিক দিক থেকেও লাভজনক। নবনির্মিত তিস্তা সেতুর মাধ্যমে এই এলাকা কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা, জামালপুর ও শেরপুর জেলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হওয়ায় এর কৌশলগত গুরুত্বও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

স্মারকলিপিতে আরও জানানো হয়, প্রস্তাবিত ১০০০ শয্যার হাসপাতালটি বাস্তবায়িত হলে অন্তত ৫০ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে। অথচ রংপুর বিভাগে বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর ও নীলফামারীসহ বিভিন্ন জেলায় আধুনিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান থাকলেও গাইবান্ধা জেলায় এখনো কোনো সরকারি মেডিকেল কলেজ বা বড় হাসপাতাল গড়ে ওঠেনি। বিশেষত চরাঞ্চলভিত্তিক এই জেলায় নদীভাঙন, বন্যা ও স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা নেই বললেই চলে।

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও গাইবান্ধার জনগণ স্বাস্থ্যসেবায় বঞ্চিত—এমন বাস্তবতায় সুন্দরগঞ্জে ‘চীন মৈত্রী হাসপাতাল’ স্থাপনকে সময়োপযোগী ও মানবিক সিদ্ধান্ত হিসেবে অভিহিত করা হয় স্মারকলিপিতে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের গত ১৭ এপ্রিল এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, চীনের অর্থায়নে তিস্তা পাড়ে ১০০০ শয্যার একটি হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্যে খাস জমি অনুসন্ধান চলছে। সেই প্রেক্ষাপটে হরিপুর ইউনিয়নের প্রস্তাবিত জমিকে সর্বাধিক উপযুক্ত বিবেচনায় দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাস্তবায়ন পরিষদ।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাবুল আহমেদ, সদস্য সচিব মাহমুদুল ইসলাম প্রামাণিক, কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোয়ার আলম সরকার, উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান ইফতেখার হোসেন পপেল, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ গফফার মোল্লা ও এম মাহফুজার রহমান লেলিন, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান লিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম আনোয়ার ও আসাদুজ্জামান রাসেল, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাজেদুর রহমান প্রামাণিক রুনু, সুন্দরগঞ্জ বাজার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এসএম নাহিদ আলম রাব্বি লেলিন, পৌর জামায়াতের যুব সহ-সভাপতি বুলবুল আহমেদ এবং সংগঠক কামরুজ্জামান মিঞা আপেল। এছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষক, সাংবাদিক, উন্নয়নকর্মী ও সমাজসেবকরা উপস্থিত ছিলেন।