মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পলাশবাড়ী প্রেসক্লাব সম্পাদকের উপর হামলার অভিযোগ  

ছবি: হামলার শিকার সাংবাদিক পাপুল সরকার

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও একাত্তর টেলিভিশনের উপজেলা প্রতিনিধি পাপুল সরকারের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে আহসান হাবিব হিন্দল (৪০) ও শামিম হোসেন (৪৫) নামের দুই যুবকসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) পলাশবাড়ী থানায় এ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী পাপুল সরকার।

হামলার শিকার এই পাপুল সরকার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের পুর্ব গোপালপুর গ্রামের মৃত আলম সরকারের ছেলে ও পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক।

অভিযুক্ত আহসান হাবীব হিন্দল একই উপজেলার নুনিয়াগাড়ী গ্রামের লাভলু মিয়ার ছেলে ও শামীম মিয়া চন্ডিপুর গ্রামের রুহুল আমিন দুলার ছেলে। তারা উপজেলা যুব জামায়াতের নেতা বলে জানা গেছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় যে গত শনিবার (৫ জুলাই) রাতে আহসান হাবিব হিন্দোল ও শামিম মিয়া লোকজন নিয়ে প্রেসক্লাবে প্রবেশ করে মব সৃস্টি করে। এসময় সাংবাদিক পাপুল সরকারকে বেদধড়ক মারপিট করে তারা।

এদিকে, ওই মারধরের একটি ভিডিও ক্লিপ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও বিচার দাবি করেন পোস্টদাতা ও কমেন্টদাতারা। একই সঙ্গে সাংবাদিক মহলের মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

ভুক্তভোগী পাপুল সরকার বলেন- অভিযুক্ত আহসান হাবিব হিন্দোল ও শামিম মিয়াসহ তাদের লেলিয়ে দেওয়া লোকজন আমার দায়িত্বশীল পেশায় দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা পোষণ করে আসছিলেন। এরই জেরে গত শনিবার রাতে তারা দলবদ্ধভাবে প্রেসক্লাবে ঢুকে আমাকে মারধর করেছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। এ মামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আহসান হাবিব হিন্দোল ও শামিম মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।

পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্রো বলেন, মারধরের অভিযোগ এনে পাপুল সরকার নামের এক যুবক বাদী হয়ে একটি এজাহার দাখিল করেছে। সেটি তদন্তাধীন রয়েছে।

জনপ্রিয়

পলাশবাড়ী প্রেসক্লাব সম্পাদকের উপর হামলার অভিযোগ  

প্রকাশের সময়: ০৬:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও একাত্তর টেলিভিশনের উপজেলা প্রতিনিধি পাপুল সরকারের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে আহসান হাবিব হিন্দল (৪০) ও শামিম হোসেন (৪৫) নামের দুই যুবকসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) পলাশবাড়ী থানায় এ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী পাপুল সরকার।

হামলার শিকার এই পাপুল সরকার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের পুর্ব গোপালপুর গ্রামের মৃত আলম সরকারের ছেলে ও পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক।

অভিযুক্ত আহসান হাবীব হিন্দল একই উপজেলার নুনিয়াগাড়ী গ্রামের লাভলু মিয়ার ছেলে ও শামীম মিয়া চন্ডিপুর গ্রামের রুহুল আমিন দুলার ছেলে। তারা উপজেলা যুব জামায়াতের নেতা বলে জানা গেছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় যে গত শনিবার (৫ জুলাই) রাতে আহসান হাবিব হিন্দোল ও শামিম মিয়া লোকজন নিয়ে প্রেসক্লাবে প্রবেশ করে মব সৃস্টি করে। এসময় সাংবাদিক পাপুল সরকারকে বেদধড়ক মারপিট করে তারা।

এদিকে, ওই মারধরের একটি ভিডিও ক্লিপ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও বিচার দাবি করেন পোস্টদাতা ও কমেন্টদাতারা। একই সঙ্গে সাংবাদিক মহলের মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

ভুক্তভোগী পাপুল সরকার বলেন- অভিযুক্ত আহসান হাবিব হিন্দোল ও শামিম মিয়াসহ তাদের লেলিয়ে দেওয়া লোকজন আমার দায়িত্বশীল পেশায় দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা পোষণ করে আসছিলেন। এরই জেরে গত শনিবার রাতে তারা দলবদ্ধভাবে প্রেসক্লাবে ঢুকে আমাকে মারধর করেছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। এ মামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আহসান হাবিব হিন্দোল ও শামিম মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।

পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্রো বলেন, মারধরের অভিযোগ এনে পাপুল সরকার নামের এক যুবক বাদী হয়ে একটি এজাহার দাখিল করেছে। সেটি তদন্তাধীন রয়েছে।