রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাদুল্লাপুরে ২ যুবককে হত্যার চেষ্টা বিএনপি নেতার

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার মোজাম্মেল হক (২২) ও একরামুল হক জিতু (৩১) নামের দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। দামোদরপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির বর্তমান সভাপতি ও ইউনিয়নের তৎকালীন আ.লীগের সাবেক সদস্য রনজু মিয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ।

এ ঘটনায় রোববার দুপুরে সাদুল্লাপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা।

ঘটনার শিকার মোজাম্মেল হক দামোদরপুর ইউনিয়নের পুর্ব দামোদরপুর গ্রামের মৃত ছকু মিয়ার ছেলে ও একরামুল হক জিতু একই গ্রামের মাহাবুবুর আকন্দের ছেলে। আর অভিযুক্ত রনজু মিয়া মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল হক তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, পতিত আ.লীগের সদস্য ও বর্তমান ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রনজু মিয়া ও তার ভাই আ.লীগের সদস্য আঙ্গুর মিয়া, রাখু মিয়া, মঞ্জু মিয়া, সঞ্জু মিয়া ও মন্টু মিয়াসহ আরও অনেকে আমার বাবা ছকু মিয়াকে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তারা প্রায়ই প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছেন। এরই একপর্যায়ে গত ২৪ অক্টোবর আমাকে জামুডাঙ্গা এলাকায় একা পেয়ে বিএনপি নেতা রনজু মিয়া দলবদ্ধ হয়ে আমার উপর হামলা করেন এবং তারা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। এ নিয়ে থানায় একটি মামলা করেছি। এরপর থেকে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন রনজু মিয়ারা। ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এদিকে একরামুল হক জিতু তার বক্তব্যে বলেন, রনজু মিয়াসহ তার ভাইয়েরা একসময় ফ্যাসিস্ট আ.লীগের রাজনীতি করতেন। এখন রনজু মিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পদে আছেন। এ দলের প্রভাব খাটিয়ে তারা মানুষকে খুন করাসহ নানাভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছেন। এ অবস্থার মধ্য দিয়ে গত ১৯ অক্টোবর কামারপাড়া বাজারে আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওনা হই। পথিমধ্যে রনজু মিয়া ও  মৃত ওসমান শেখের ছেলে আবুল কাশেম আমাকে পথরোধ করে মারধরসহ মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছেন। একইসঙ্গে আমার ব্যাগের থাকা ২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে এ হামলাকারীরা। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছি। এরপর থেকে ওই বিএনপি নেতা রনজু মিয়া ও তার লোকজন আমাদের প্রান নাশের হুমকি দিয়ে আসতেছেন। ফলে আসামিদের অব্যাহত হুমকে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে দামোদরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খয়বার হোসেন রাজা বলেন, রনজু মিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পদে আছেন। এর আগে আওয়ালীগের ছিলেন কিনা সেটি জানা নেই। তবে আমাদের দলের প্রভাব খাটিয়ে কেউ অপকর্ম করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

জনপ্রিয়

সাদুল্লাপুরে ২ যুবককে হত্যার চেষ্টা বিএনপি নেতার

প্রকাশের সময়: ০২:২১:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার মোজাম্মেল হক (২২) ও একরামুল হক জিতু (৩১) নামের দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। দামোদরপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির বর্তমান সভাপতি ও ইউনিয়নের তৎকালীন আ.লীগের সাবেক সদস্য রনজু মিয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ।

এ ঘটনায় রোববার দুপুরে সাদুল্লাপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা।

ঘটনার শিকার মোজাম্মেল হক দামোদরপুর ইউনিয়নের পুর্ব দামোদরপুর গ্রামের মৃত ছকু মিয়ার ছেলে ও একরামুল হক জিতু একই গ্রামের মাহাবুবুর আকন্দের ছেলে। আর অভিযুক্ত রনজু মিয়া মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল হক তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, পতিত আ.লীগের সদস্য ও বর্তমান ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রনজু মিয়া ও তার ভাই আ.লীগের সদস্য আঙ্গুর মিয়া, রাখু মিয়া, মঞ্জু মিয়া, সঞ্জু মিয়া ও মন্টু মিয়াসহ আরও অনেকে আমার বাবা ছকু মিয়াকে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তারা প্রায়ই প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছেন। এরই একপর্যায়ে গত ২৪ অক্টোবর আমাকে জামুডাঙ্গা এলাকায় একা পেয়ে বিএনপি নেতা রনজু মিয়া দলবদ্ধ হয়ে আমার উপর হামলা করেন এবং তারা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। এ নিয়ে থানায় একটি মামলা করেছি। এরপর থেকে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন রনজু মিয়ারা। ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এদিকে একরামুল হক জিতু তার বক্তব্যে বলেন, রনজু মিয়াসহ তার ভাইয়েরা একসময় ফ্যাসিস্ট আ.লীগের রাজনীতি করতেন। এখন রনজু মিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পদে আছেন। এ দলের প্রভাব খাটিয়ে তারা মানুষকে খুন করাসহ নানাভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছেন। এ অবস্থার মধ্য দিয়ে গত ১৯ অক্টোবর কামারপাড়া বাজারে আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওনা হই। পথিমধ্যে রনজু মিয়া ও  মৃত ওসমান শেখের ছেলে আবুল কাশেম আমাকে পথরোধ করে মারধরসহ মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছেন। একইসঙ্গে আমার ব্যাগের থাকা ২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে এ হামলাকারীরা। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছি। এরপর থেকে ওই বিএনপি নেতা রনজু মিয়া ও তার লোকজন আমাদের প্রান নাশের হুমকি দিয়ে আসতেছেন। ফলে আসামিদের অব্যাহত হুমকে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে দামোদরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খয়বার হোসেন রাজা বলেন, রনজু মিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পদে আছেন। এর আগে আওয়ালীগের ছিলেন কিনা সেটি জানা নেই। তবে আমাদের দলের প্রভাব খাটিয়ে কেউ অপকর্ম করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।