গাইবান্ধায় বাঙালির ঐতিহ্য ও মানবিক মূল্যবোধকে সামনে রেখে সফলভাবে সম্পন্ন হলো চার দিনব্যাপী পিঠা উৎসব। এ অনুষ্ঠানে সুবিধাবঞ্চিত শিশু, প্রবীণ, পথচারী ও ছিন্নমূলের মানুষের জন্য বিনামূল্যে ঐতিহ্যবাহী পিঠা পরিবেশন করা হয়। এ সময় হরেক পিঠা ভোগে উচ্ছ্বসিত এই মানুষরা।
গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত গাইবান্ধার গানাসাস চত্বরে এই উৎসবের শেষ দিনে সফলভাবে সহস্রাধিক পিঠা প্রস্তুত ও বিতরণ করা হয়।
বিওয়াইও ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠনের আয়োজনে মোট সাড়ে ৩ হাজার পিঠা তৈরি করে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এতে আনন্দ, উষ্ণতা ও বাঙালির শীতকালীন ঐতিহ্য সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে প্রায় ৫০ জনের বেশি স্বেচ্ছাসেবক সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। বিশেষ করে যেসব দরিদ্র ও অসহায় মানুষ নিজেরা পিঠা তৈরি করার সামর্থ্য রাখেন না, তাদের জন্য এই আয়োজন ছিল আনন্দ ও সম্মানের এক ব্যতিক্রমী সুযোগ।
এই আয়োজন বাস্তবায়নে গানাসাস (নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থা) কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা প্রদান করে। পাশাপাশি বিশেষ চার টিম- প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তাকারী সকল শুভানুধ্যায়ী পাশে ছিলেন।
এ উসবের সুবিধাভোগী ছকিনা বেওয়া, কাদের মিয়া ও ধলিমাই বেওয়াসহ অনেকেই জানান, এ বছর তারা এই উৎসবেই প্রথম বিভিন্ন ধরনের পিঠা খাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এতে অনেকটা আনন্দিত তারা।
আয়োজকদের ভাষ্য মতে, পিঠা উৎসব-২০২৫ শুধু একটি উৎসব নয়, এটি ছিল মানবিকতা, সহমর্মিতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার এক সুন্দর উদাহরণ। ভবিষ্যতেও এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিওয়াইও ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠিতা ও নির্বাহী পরিচালক জিহাদ আকন্দ বলেন, এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য ছিল- শীত মৌসুমে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে সামাজিকভাবে উদযাপন করা। পিঠা উৎসবটি ছিল সম্পূর্ণ মানবিক ও সামাজিক উদ্যোগ, যেখানে যে কেউ স্বেচ্ছায় সহযোগিতা করতে পেরেছেন এবং সেই অর্থ সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে ব্যয় করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক 

















