দায়িত্ব গ্রহণ করার পর প্রথম একশ দিন মাস্ক পরার প্রতি নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানাবেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রতিটি সরকারি ভবনে মাস্ক পরার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে বলেও জানান বাইডেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে তিনি জানান- ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই আমি জনগণকে ১০০ দিনের জন্য মাস্ক পরার কথা বলতে যাচ্ছি। শুধু ১০০ দিন। চিরদিন পরতে হবে না। ১০০ দিন মাত্র। এটা সম্ভব হলে করোনার সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে। টিকাদান কর্মসূচির সঙ্গে মাস্ক পরার বিষয়টি ঘটানো গেলে করোনার সংক্রমণ যথেষ্ট পরিমাণে কমিয়ে আনা যাবে।
মহামারি করোনা ভাইরাসে প্রথম ঢেউয়ে বিপর্যস্ত দেশ হিসাবে প্রথমে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়েও একই অবস্থা দেশটিতে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এ পরিস্থিতিতে সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাইডেন তার মাস্ক নিয়ে এই পরিকল্পনার কথা জানান। তবে আইন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে মানুষকে মাস্ক পরার নির্দেশ দিতে তার কোনো আইনি অধিকার নেই। তবে বাইডেনের ভাষ্য, তিনি এবং তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস মুখে মাস্ক পরে একটি উদাহরণ সৃষ্টি করতে চান।
বাইডেন আরও বলেছেন-
‘অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যে কোনো পরিবহনে, বিমান ও বাসে মাস্ক পরা উচিত। এবং শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে অ্যান্থনি ফাউসিই তার প্রশাসনের করোনা টাস্কফোর্সের প্রধান থাকবেন।
টিকা নিয়ে বাইডেন বলেছেন, এর সুরক্ষা সম্পর্কে যেকোনো উদ্বেগ নিরসনে তিনি জনসম্মুখে টিকা নিয়েও খুশি থাকবেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা,জর্জ ডব্লিউ বুশ ও বিল ক্লিনটন বলেছেন,করোনার যে টিকা সরকারের অনুমোদন পাবে, সেটির প্রতি জনগণের আস্থা তৈরি করতে তারা ক্যামেরার সামনে ওই টিকা নেবেন।
তবে সবার জন্য মাস্ক পরার আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করেছেন ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের মতো, এটি অতিরিক্ত চাপ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 






















