মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সমুদ্র সৈকতের উত্তাল জলরাশিতে মাতোয়ারা নানা বয়সী পর্যটক

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। শীত মৌসুমে সৈকত ফিরেছে অপরূপ সৌন্দর্যে। তাই এই সৈকতের আকর্ষণে দেশের নানাপ্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন ভ্রমণপিপাসুরা।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সকাল থেকে দলে দলে পর্যটকরা নামছেন সৈকতে। কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে, আবার কেউ কেউ প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে। সৈকতের সবকটি পয়েন্টের তীর জুড়ে মানুষ আর মানুষ। সাগরের উত্তাল জলরাশিতে মগ্ন নানা বয়সি মানুষ। শীত মৌসুম সৈকতে বাড়ে পর্যটকের ভিড়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মুখর হয়ে ওঠে সৈকত। সারাদেশ থেকে কক্সবাজারে ছুটে আসেন ভ্রমণপিপাসুরা।
সুগন্ধা পয়েন্টে সমুদ্রস্নানরত পর্যটক আব্দুল্লাহ আল মাহদী বলেন, “প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য; যা কক্সবাজার সৈকতে আসলে দেখা মিলে। তবে তা শীত মৌসুমেই সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় লাগে। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে কক্সবাজার ছুটে আসা। পরিবেশটা যেমন উপভোগ করছি, ঠিক তেমনি প্রশান্তিও খুঁজে পাচ্ছি সৈকতে।”
আরেক পর্যটক তামিম মুসা বলেন, “শুক্র ও শনিবার; এই দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটির কারণে কক্সবাজার সৈকতে প্রিয়জনকে নিয়ে ভ্রমণে আসলাম। সাগরে গোসল, দৌড়াদৌড়ি, ছবি তোলা ও ওয়াটার বাইকে সমুদ্র ভ্রমণ বেশ আনন্দ করছি।” সাগরের নীল জলরাশিতে মাতোয়ারা পর্যটক। তবে সৈকতে নানাভাবে হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ তাদের।
শহিদুল নামের এক পর্যটক বলেন, “পর্যটন মৌসুম মানেই কক্সবাজারে হয়রানি। যেমন শুক্রবারও হওয়াতে রুম পাচ্ছিলাম না। পরে ইজিবাইক চালক দালাল ধরে; অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে হোটেল ঠিক করে দিল। এছাড়াও গাড়ি ও রেস্তোরাগুলোতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর হওয়ার দরকার মনে করছি।”
আরেক পর্যটক মুনতাসির বলেন, “দেখেন সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত লক্ষাধিক পর্যটক আনন্দে মেতে আছেন। কিন্তু এখানে লক্ষাধিক মানুষের নিরাপত্তায় দেখা গেছে স্বল্পসংখ্যক মাত্র ৬ থেকে ৭ জন ট্যুরিস্ট পুলিশ। এখানে পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদারে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য বাড়ানো দরকার বলে মনে করছেন পর্যটকরা।
সুগন্ধা পয়েন্টে দায়িত্বরত ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক মিঠুন দত্ত বলেন, পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিনই কক্সবাজারের পর্যটকের আগমন বাড়ছে। তবে বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকের কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে তাদের নিরাপত্তা সৈকত এলাকা ও পর্যটন স্পটগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। সার্বক্ষনিক পর্যটকদের নিরাপত্তায় সজাগ রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আশা করি, আগত পর্যটকরা নিরাপদে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে পারবে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন দরিয়ানগর, ইনানী, হিমছড়ি, পাটুয়ারটেক, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ও রামুর বৌদ্ধ বিহার, রাবার বাগান সহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে।
জনপ্রিয়

সমুদ্র সৈকতের উত্তাল জলরাশিতে মাতোয়ারা নানা বয়সী পর্যটক

প্রকাশের সময়: ০৪:৫২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২১
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। শীত মৌসুমে সৈকত ফিরেছে অপরূপ সৌন্দর্যে। তাই এই সৈকতের আকর্ষণে দেশের নানাপ্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন ভ্রমণপিপাসুরা।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সকাল থেকে দলে দলে পর্যটকরা নামছেন সৈকতে। কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে, আবার কেউ কেউ প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে। সৈকতের সবকটি পয়েন্টের তীর জুড়ে মানুষ আর মানুষ। সাগরের উত্তাল জলরাশিতে মগ্ন নানা বয়সি মানুষ। শীত মৌসুম সৈকতে বাড়ে পর্যটকের ভিড়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মুখর হয়ে ওঠে সৈকত। সারাদেশ থেকে কক্সবাজারে ছুটে আসেন ভ্রমণপিপাসুরা।
সুগন্ধা পয়েন্টে সমুদ্রস্নানরত পর্যটক আব্দুল্লাহ আল মাহদী বলেন, “প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য; যা কক্সবাজার সৈকতে আসলে দেখা মিলে। তবে তা শীত মৌসুমেই সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় লাগে। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে কক্সবাজার ছুটে আসা। পরিবেশটা যেমন উপভোগ করছি, ঠিক তেমনি প্রশান্তিও খুঁজে পাচ্ছি সৈকতে।”
আরেক পর্যটক তামিম মুসা বলেন, “শুক্র ও শনিবার; এই দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটির কারণে কক্সবাজার সৈকতে প্রিয়জনকে নিয়ে ভ্রমণে আসলাম। সাগরে গোসল, দৌড়াদৌড়ি, ছবি তোলা ও ওয়াটার বাইকে সমুদ্র ভ্রমণ বেশ আনন্দ করছি।” সাগরের নীল জলরাশিতে মাতোয়ারা পর্যটক। তবে সৈকতে নানাভাবে হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ তাদের।
শহিদুল নামের এক পর্যটক বলেন, “পর্যটন মৌসুম মানেই কক্সবাজারে হয়রানি। যেমন শুক্রবারও হওয়াতে রুম পাচ্ছিলাম না। পরে ইজিবাইক চালক দালাল ধরে; অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে হোটেল ঠিক করে দিল। এছাড়াও গাড়ি ও রেস্তোরাগুলোতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর হওয়ার দরকার মনে করছি।”
আরেক পর্যটক মুনতাসির বলেন, “দেখেন সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত লক্ষাধিক পর্যটক আনন্দে মেতে আছেন। কিন্তু এখানে লক্ষাধিক মানুষের নিরাপত্তায় দেখা গেছে স্বল্পসংখ্যক মাত্র ৬ থেকে ৭ জন ট্যুরিস্ট পুলিশ। এখানে পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদারে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য বাড়ানো দরকার বলে মনে করছেন পর্যটকরা।
সুগন্ধা পয়েন্টে দায়িত্বরত ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক মিঠুন দত্ত বলেন, পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিনই কক্সবাজারের পর্যটকের আগমন বাড়ছে। তবে বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকের কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে তাদের নিরাপত্তা সৈকত এলাকা ও পর্যটন স্পটগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। সার্বক্ষনিক পর্যটকদের নিরাপত্তায় সজাগ রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আশা করি, আগত পর্যটকরা নিরাপদে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে পারবে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন দরিয়ানগর, ইনানী, হিমছড়ি, পাটুয়ারটেক, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ও রামুর বৌদ্ধ বিহার, রাবার বাগান সহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে।