রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় ১ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিকটন ভূট্রা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

তোফায়েল হোসেন জাকিরঃ গাইবান্ধা জেলার মাঠপর্যায়ে দিনদিন বেড়েই চলেছে ভূট্রা আবাদ। ইতোমধ্যে দেখা দিয়েছে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। তাই রবি মৌসুমে এক লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিকটন ভূট্রা উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।

সম্প্রতি গাইবান্ধার চরাঞ্চলসহ অন্যান্য এলাকা দেখা গেছে ভূট্রা ক্ষেতের সবুজের সমাহার। ধু-ধু বালুচরে এই ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।

গাইবান্ধা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে জেলায় ১৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ভূট্রা চাষাবাদ হয়েছে।  এর মধ্যে চরাঞ্চলে ১০ হাজার ৭০০ হেক্টর রয়েছে। যার উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিকটন। তবে গত বছর ভূট্রা চাষ হয়েছিল ১৫ হাজার ৮৭০ হেক্টর।  কৃষকরা ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় এ বছরে আবাদ বেড়েছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নদী বিদৌত জেলা গাইবান্ধা। এ জেলার বুক চিড়ে বয়ে গেছে, ঘাঘট-ব্রহ্মপুত্র-তিস্তা-যমুনাসহ অসংখ্য নদ-নদী। এসব নদীর বুকে জেগে উঠেছে শতাধিক বালুচর। এইসব চরাঞ্চলে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি ভূটার আবাদেই যেন কৃষকের সোনার ফসল। স্বল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় এখানকার কৃষকরা ঝুকে পড়েছে ভূট্রা চাষে। শুধু চরাঞ্চলের কৃষকরায় নয়, জেলার বিভিন্ন সমতল ভূমিতে এই আবাদ চোখে পড়ার মতো। এটিই তাদের গুরুত্বপূর্ণ অর্থকারি ফসল। চলতি রবি মৌসুমে বপন করা ভূট্রা ক্ষেতে ইতোমধ্যে থোর হতে শুরু করেছে। আবার কোন কোন ক্ষেতের থোর বেড়িয়ে রঙ বদলাচ্ছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহের দিকে অধিক ফসল ঘরে তুলতে পারবে বলে কৃষকরা আশা করেছেন।

এরেন্ডবাড়ী চরের কৃষক খাজা মিয়া জানান, এ বছর বালুভূমিতে দেড় একর ভূট্রা আবাদ করেছেন। সামনের মাসেই এ ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছেন। এখান থেকে খরচ বাদে প্রায় লক্ষাধিক টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।

আরেক কৃষক মুহাম্মদ আলী বলেন, এক সময়ে চরের মানুষের কৃষি ফসল থেকে তেমন কোনো লাভবান হতো না। এখন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা ভূট্রা-মরিচ-বাদাম-কুমড়া ও মিষ্টি আলুসহ নানা প্রকার ফসল উৎপাদন করা হচ্ছে। এসব ফসল থেকে আমাদের এখন আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরছে।

উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা তানজিমুল হাসান জাগো২৪.নেট-কে জানান, ভূট্রা আবাদ অত্যান্ত লাভজনক । ভূটার দানা মানুষের পুষ্টিখাদ্য, গাছ ও সবুজ পাতা গোখাদ্য এবং হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক বেলাল উদ্দিন জাগো২৪.নেট-কে বলেন, এ জেলার কৃষকরা ভূট্রা আবাদে আগ্রহী বেশী। তাদের লাভবান করতে মাঠপর্যায়ে সার্বিব সহযোগিতা করা হচ্ছে।

জনপ্রিয়

গাইবান্ধায় ১ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিকটন ভূট্রা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

প্রকাশের সময়: ০৪:২২:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

তোফায়েল হোসেন জাকিরঃ গাইবান্ধা জেলার মাঠপর্যায়ে দিনদিন বেড়েই চলেছে ভূট্রা আবাদ। ইতোমধ্যে দেখা দিয়েছে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। তাই রবি মৌসুমে এক লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিকটন ভূট্রা উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।

সম্প্রতি গাইবান্ধার চরাঞ্চলসহ অন্যান্য এলাকা দেখা গেছে ভূট্রা ক্ষেতের সবুজের সমাহার। ধু-ধু বালুচরে এই ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।

গাইবান্ধা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে জেলায় ১৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ভূট্রা চাষাবাদ হয়েছে।  এর মধ্যে চরাঞ্চলে ১০ হাজার ৭০০ হেক্টর রয়েছে। যার উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিকটন। তবে গত বছর ভূট্রা চাষ হয়েছিল ১৫ হাজার ৮৭০ হেক্টর।  কৃষকরা ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় এ বছরে আবাদ বেড়েছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নদী বিদৌত জেলা গাইবান্ধা। এ জেলার বুক চিড়ে বয়ে গেছে, ঘাঘট-ব্রহ্মপুত্র-তিস্তা-যমুনাসহ অসংখ্য নদ-নদী। এসব নদীর বুকে জেগে উঠেছে শতাধিক বালুচর। এইসব চরাঞ্চলে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি ভূটার আবাদেই যেন কৃষকের সোনার ফসল। স্বল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় এখানকার কৃষকরা ঝুকে পড়েছে ভূট্রা চাষে। শুধু চরাঞ্চলের কৃষকরায় নয়, জেলার বিভিন্ন সমতল ভূমিতে এই আবাদ চোখে পড়ার মতো। এটিই তাদের গুরুত্বপূর্ণ অর্থকারি ফসল। চলতি রবি মৌসুমে বপন করা ভূট্রা ক্ষেতে ইতোমধ্যে থোর হতে শুরু করেছে। আবার কোন কোন ক্ষেতের থোর বেড়িয়ে রঙ বদলাচ্ছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহের দিকে অধিক ফসল ঘরে তুলতে পারবে বলে কৃষকরা আশা করেছেন।

এরেন্ডবাড়ী চরের কৃষক খাজা মিয়া জানান, এ বছর বালুভূমিতে দেড় একর ভূট্রা আবাদ করেছেন। সামনের মাসেই এ ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছেন। এখান থেকে খরচ বাদে প্রায় লক্ষাধিক টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।

আরেক কৃষক মুহাম্মদ আলী বলেন, এক সময়ে চরের মানুষের কৃষি ফসল থেকে তেমন কোনো লাভবান হতো না। এখন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা ভূট্রা-মরিচ-বাদাম-কুমড়া ও মিষ্টি আলুসহ নানা প্রকার ফসল উৎপাদন করা হচ্ছে। এসব ফসল থেকে আমাদের এখন আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরছে।

উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা তানজিমুল হাসান জাগো২৪.নেট-কে জানান, ভূট্রা আবাদ অত্যান্ত লাভজনক । ভূটার দানা মানুষের পুষ্টিখাদ্য, গাছ ও সবুজ পাতা গোখাদ্য এবং হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক বেলাল উদ্দিন জাগো২৪.নেট-কে বলেন, এ জেলার কৃষকরা ভূট্রা আবাদে আগ্রহী বেশী। তাদের লাভবান করতে মাঠপর্যায়ে সার্বিব সহযোগিতা করা হচ্ছে।