তোফায়েল হোসেন জাকিরঃ কৃষি নির্ভর গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা। এ উপজেলায় অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি কৃষকরা উৎপাদন করছে পাটবীজ। এ বীজ উৎপাদন করে লাভবান হওয়ায় হাসি ফুটেছে তাদের মুখে।
সম্প্রতি উপজেলার ফরিদপুর ও ইদিলপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু কৃষকের উঠানে দেখা যায় পাটবীজের কাটা-মাড়াইয়ের চিত্র। আশানুরূপ বীজ উৎপাদন করতে পেরে অনেকটাই আনন্দিত তারা।
সাদুল্লাপুর উপজেলা পাট উন্নয়ন অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিজড়িত পরিবেশ বান্ধব সোনালী আঁশ পাটের খ্যাতি রয়েছে বিশ্বব্যাপী। অভ্যান্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে পাটখাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
ফলে প্রান্তীক চাষিগণের মধ্যে পাট ও পাটবীজ উৎপাদনে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরা অব্যাহত রেখে সাদুল্লাপুর উপজেলায় উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় চলতি রবি মৌসুমে ১৬ একর জমিতে পাটবীজ উৎপাদন করা হয়। এতে ৯৫ জন কৃষক উৎপাদন করেছে ৬ হাজার ৮৫০ কেজি বীজ। তোষাপাট আবাদে এসব বীজ অন্যান্য কৃষকের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। এই বীজ বিক্রি করে একদিকে বাড়ছে পাটচাষির সংখ্যা, অনদিকে লাভবান হচ্ছে পাটবীজ চাষিরা। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে বাংলাদেশ।
কৃষক রফিকুল ইসলাম, হাসেন আলী ও হাসনা বেগম জানান, পাটবীজ উৎপাদনে সাদুল্লাপুর উপজেলা পাট উন্নয়ন বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তারা। বীজ উৎপাদনের জন্য বিঘাপ্রতি জমিতে ৬০০-৭০০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়। এ থেকে ১০০-১২০ কেজি বীজ উৎপাদন করা সম্ভব।
আরেক কৃষক ছামছুল আলম কাজী জাগো২৪.নেট-কে বলেন, পাটবীজ আবাদে প্রতি বিঘাতে খরচ হয় ৫-৬ হাজার টাকা। খরচ বাদে বীজ বিক্রি করে প্রায় ১৫-১৮ হাজার টাকায় আয় করা যেতে পারে।
সাদুল্লাপুর উপজেলা পাট উন্নয়ন বিভাগের উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মিথুন সরকার জাগো২৪.নেট-কে জানান, পাট ও পাটবীজ উৎপাদনে যেমন জমির উর্বরত শক্তি বাড়ে, তেমনি কৃষকরাও লাভবান হতে পারে। তাদের আরও লাভবান করতে মাঠপর্যায়ে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
তোফায়েল হোসেন জাকির, জাগো২৪.নেট: 























