বসন্তের জয়গান এখন বয়ে চলছে প্রকৃতিতে। যেন আবহমান গ্রামবাংলা অপরূপ সাঁজে রাঙিয়ে উঠেছে। গাছে গাছে নানা মূল-ফলের মুকুলের পাশাপাশি রক্তিম রঙে ফুটেছে শিমুল ফুল। পথের ধারে থোকা থোকা এমন ফুলের উঁকিতে পথিকের দৃষ্টি কাড়ছে অবিরত।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা শহরতলীর হামিন্দপুর-কইপাড়া সড়কের ধারে দেখা মেলে এই শিমুল গাছটির। শতবর্ষী এ গাছের ডালে ডালে শিমুল ফুলের সমাহার। নীল আকাশের নিচে রক্তলাল ফুল দেখে আনমন হচ্ছে পথিকের মন। শিমুল ফুলের আকর্ষণে গাছ থেকে ঝড়েপড়া ফুলগুলো সংগ্রহে খেলাধুলায় মেতে উঠেছে শিশু-কিশোরা।
জানা যায়, এক সময় গ্রামাঞ্চলের চারদিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যেতো শিমুল গাছের। এ গাছের কাঠ আর তুলার কদর ছিল মানুষের। কিন্তু কালের বিবর্তনে মূল্যবান শিমুল গাছ এখন বিলুপ্তির পথে। আধুনিকতার যুগে শিমুল তুলার স্থলে দখল করে নিয়েছে প্রযুক্তির তৈরী তুলা আর ফোম। এসব তুলার ব্যবহারে শিমুল তুলার ব্যবহার অনেকটা কমে গেছে।
নববাব উদ্দিন ব্যাপারী নামের এক বৃদ্ধ জাগো২৪.নেট-কে জানান, গ্রামাঞ্চলের এই শিমুল গাছ অর্থনিক সম্মৃদ্ধি এনে দিত। চৈত্র মাসে এই গাছের তুলা সংগ্রহ করে বালিশ, লেপ ও তোষক বানিয়ে পরিবারের কাজে ব্যবহার করতেন। কেউ কেউ তুলা বিক্রি করে লাভবানও হয়েছে। কিন্তু বর্তমান আধুনিকার ছোঁয়ায় আগের মতো তেমন চোখে পড়ে না শিমুল গাছের।
জরিনা বেওয়া নামের আরেক বৃদ্ধা জাগো২৪.নেট-কে বলেন, শুধু শিমুল তুলার জন্য ব্যবহার নয়, এর পাশাপাশি ওষুধি গাছ এটি। আগেকার মানুষ কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে শিমুল গাছের মূলকে ব্যবহার করতো।
গাইবান্ধা বন বিভাগের এক কর্মকর্তা জাগো২৪.নেট-কে বলেন, এক সময় শিমুল গাছের কাঠ দিয়ে মানুষ বিভিন্ন ধরণের ফার্ণিচার তৈরী করতেন। সেটি বেশীদিন স্থায়ীত্ব হয় না। অল্প সময়ে নষ্ট হয়ে যায়। আর শিমুল তুলার স্থলে প্রযুক্তির তুলা ও ফোম ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে শিমুল গাছ।
তোফায়েল হোসেন জাকির, জাগো২৪.নেট: 
























