গাইবান্ধার চরাঞ্চলে কয়েক লাখ হেক্টর জমিতে গম, ভুট্টা, মরিচসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদিত হচ্ছে। এই চরাঞ্চলগুলোর উৎপাদিত এসব ফসল দীর্ঘমেয়াদী সংরক্ষণের মাধ্যমে বেশি লাভবান হওয়ার জন্য কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণের দাবি উঠেছে।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাইবান্ধা শহরে জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এমফোরসি প্রকল্পের উদ্যোগে চরাঞ্চলের চুক্তিবদ্ধ ফসল চাষ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চুক্তিবদ্ধ ব্যবসায়ীদের ফসল বাজারজাতকরণ এবং আর্থিক সেবার সংযোগ কর্মশালায় এসব দাবি করেন কৃষক, ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা।
কর্মশালায় গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চলের চুক্তিবদ্ধ কৃষক, ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসকেএস-এমফোরসি প্রকল্পের ইন্টারভেনশন স্পেশালিস্ট কৃষিবিদ মো. হাফিজুর রহমান শেখের সঞ্চালনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন সুইস কন্টাক্ট বাংলাদেশের এমফোরসি প্রকল্পের ইন্টারভেনশন এরিয়া ম্যানেজার মো. রবিউল হাসান। কর্মশালার উদ্বোধন করেন জেলা বাজার কর্মকর্তা মো. শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন।
আরও বক্তব্য রাখেন হেড অব এসকেএস-এনআরবিসি পার্টনারশীপ প্রোগ্রামের বিবেকানন্দ অধিকারী, অগ্রনী ব্যাংক লিমিটেড ফুলছড়ি উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপক মো. আনোয়ার হোসেন, এসকেএস ফাউন্ডেশনের মাইক্রোফিন্যান্স কর্মসূচির সমন্বয়কারী এটিএম রোকনুজ্জামান, কামারজানী ইউপি চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান, কৃষক ও ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম, হায়দার আলী ও ইমদাদুল ইসলাম প্রমুখ।
কর্মশালায় বক্তরা বলেন, গাইবান্ধার চার উপজেলার ১৬৫টি চরাঞ্চলে চার লক্ষাধীক মানুষ বসবাস করেন। বিশাল এ জনগোষ্ঠীর মূল পেশা কৃষি। তারা চরাঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন কওে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। কিন্তু কোন কোল্ড স্টোরেজ না থাকায় তারা জমি থেকে ফসল তুলেই অল্প দামে বিক্রি করে দেন। কিন্তু যথাযথ প্রক্রিয়ায় কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে তারা অধিক লাভবান হতো। তাই বিশাল এসব এলাকার কৃষকদের স্বার্থে কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণের দাবি জানান বক্তারা।
প্রকল্পটির কার্যক্রম গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ১২৫টি চরাঞ্চলে কাজ করছে।
করেসপন্ডেন্ট, জাগো২৪.নেট, গাইবান্ধা 
























