সারাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে তাঁর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেছে।
আমাদের গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান-
সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন, জেলা-উপজেলা পরিষদ, আওমীলীগ ও অঙ্গসযোগি সংগঠনসহ বিভিন্ন দপ্তর এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
কর্মসূচিতে জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা অর্দনমিত উত্তোলন, শোক র্যালী ও আলোচনা সভাসহ আরও বিভিন্নভাবে পালন করা হয়।
এতে জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি, জেলা প্রশাসন অলিউর রহমান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ উপপিস্থত ছিলেন।

নীলফামারী থেকে সাগর চন্দ্র রায় জানান-
নীলফামারীতে চাঁদের হাট ডিগ্রি কলেজে ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতিয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন চাঁদের হাট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো সহিদুল ইসলাম উপাধ্যক্ষ মোঃ ছাদেকুল ইসলাম মোঃ আবুল কালাম আজাদ মোঃ হাসেমবিন হোসাইন শ্রী ছানু চন্দ্র রায় শ্রী সুকান্ত কুমার রায় প্রমুখ। আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা ও শোক প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আদেশ অনুযায়ী চাঁদের হাট ডিগ্রি কলেজে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত হয়। কবিতা আবৃত্তি রচনা প্রতিযোগিতা চিত্রাঙ্কন পুরুষকারবিতরী ও দোয়ার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।

ঝিনাইদহ থেকে বাশার খোন্দকার জানান-
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
সোমবার (১৫ আগষ্ট) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধ নমিত রাখার মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর প্রকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রশাসনসহ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, মডেল থানা পুলিশ, কোটচাঁদপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি,সরকারি মডেল পাইলোট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাইলোট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, কে এম এইচ ডিগ্রি কলেজে,বলুহর মৎস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্স, রাজনৈতিক, সামাজিক, মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
পরে একটি শোক রেলী শহরের বিভিন্ন দিক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুনেচ্ছা মিকি। আলোচনা সভায় সভাপতিত্বে করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেলোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিংকি খাতুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপমা রায়, মডেল থানার থানার অফিসার ইনচার্জ মঈন উদ্দিন, তদন্ত ওসি জগন্নাথ চন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুর রশিদ, বীর মুক্তি যোদ্ধা সাবেক কমান্ডার তাজুল ইসলাম, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার, কৃষি অফিসার মহাসিন আলী, তথ্য সেবা কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা, পল্লী সঞ্চয় কর্মকর্তা চম্পা অধিকার, দোড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বিশ্বাস প্রমুখ।
আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিল বেগম। শেষ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনপ প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে চেক বিতরণ করা হয়। এসময় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, স্থানীয় প্রিন্ট পত্রিকার সাংবাদিক বৃন্দ ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আলি হায়দার রুমান জানান-
ভোলাহাট উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এঁর ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে।
১৫ আগষ্ট সোমবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারী-বেসরকারীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। সকাল ৮টায় উপজেলা পরিষদ মাঠে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ অর্পন করা হয়।
বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রাব্বুল হোসেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ গরিবুল্লাহ দবির, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক, উপজেলা আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক ও গোহালবাড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াশিন আলী শাহ।
বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তৈয়মুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগ সহসভাপতি মোঃ আইয়ুব আলী মন্ডল, মাওলানা মোঃ মুনিরুল ইসলামসহ অন্যরা। এছাড়া ভোলাহাট আওয়ামীলীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।

কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিনিধি জানান-
যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানাবিধ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পালন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পবিত্র কোরআন খতম, পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, বিশেষ প্রার্থনা, এতিমখানায় খাবার পরিবেশনসহ নানা কর্মসূচি।
দিবসটি উপলক্ষ্যে সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে কালো পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ করা হয়। এরপরে একটি শোক পদযাত্রা প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিশ^বিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য’-এ গিয়ে শেষ হয়। বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে সেখানে ভাস্কর্যের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বিশ^বিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল হালিম, প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. শেখ সুজন আলী, সাধারণ সম্পাদক ড. মো. তুহিনুর রহমান, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী জোবায়ের হোসেনসহ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিবের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীবৃন্দ ও অন্যরা।
শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন কর্মসূচিতে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু নীল দল, কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচারী সমিতি, কর্মচারী ইউনিয়ন (গ্রেড ১৭-২০), বিভিন্ন বিভাগ, হল প্রশাসন, কবি নজরুল বিশ^বিদ্যালয় স্কুল, আইকিউএসি, পরিবহন পুল, নজরুল বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাবসহ অন্যান্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাÐের রাজনৈতিক অভিঘাত বাঙালিদের জন্য ছিল খুবই বেদনাদায়ক। ১৫ আগস্টের পর রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে রাতারাতি বাইরে আসে ষড়যন্ত্রকারীরা। সত্তরের দশকের ৫ বছর আর পুরো আশির দশক চলে মিথ্যার বেসাতি। জিয়াউর রহমান, বিচারপতি আবদুস সাত্তার, এইচ এম এরশাদ সবাই মূলত একই রাজনীতির ধারা প্রবাহিত করে গেছেন এবং সেটি হলো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্নের একেবারে বিপরীত ধারা। ফলে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরবর্তী ১৫ বছর ছিল বঙ্গবন্ধুর লালিত মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও আদর্শ ধ্বংসের জন্য তাদের যুগপৎ প্রত্যক্ষ চেষ্টা।
তিনি আরো বলেন, এসময় বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হয় বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ধারণা। এ সময় সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতা ধারণাটি রীতিমতো ধর্মহীনতার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল এবং বলা হয়েছিল যে, বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতা আসলে ধর্মহীনতারই নামান্তর। অথচ বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল সর্বধর্ম ঠিকভাবে অনুসরণ করার একটি যুগপৎ ধারণা। বঙ্গবন্ধু নিজে ধর্ম পালন করতেন এবং অন্যদেরও ধর্ম পালনের ক্ষেত্র প্রসারিত করার জন্যই ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণা দিয়েছিলেন।
প্রফেসর ড. আহমেদুল বারীর সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম। আলোচনা করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. তুহিনুর রহমান, বঙ্গবন্ধু-নীলদলের সভাপতি প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী জোবায়ের হোসেন, বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিবসহ অন্যরা।
দিবসটিকে কেন্দ্র করে বাদ যোহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ প্রার্থনা। এছাড়া শোক দিবস উপলক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রবন্ধ ও শিশু কিশোরদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

সাদুল্লাপুর থেকে স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মাসুদ মো. আনোয়ার হোসেন জানান-
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে তাঁর প্রতিকৃতিতে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করে।
সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, আওমীলীগ ও অঙ্গসযোগি সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমাণ্ড, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়।
এছাড়া জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত উত্তোলন ও আলোচনা সভাসহ আরও বিভিন্নভাবে কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ উপলক্ষ্য উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদ হলরুমে এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তা রোকসানা বেগম।
এতে বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহারিয়া খান বিপ্লব, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাইফুর রহমান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল জলিল, সাধারণ সম্পাদক সহীদুল্যাহেল কবির ফারুক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মতিউল আলম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নির্মল কুমার হাজেরা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ আজমী, সাদুল্লাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শাহজাহান সোহেল প্রমুখ।

ফুলছড়ি থেকে রাকিবুর রহমান জানান-
সারা দেশের ন্যায় গাইবান্ধার ফুলছড়িতে যথাযোগ্য মর্যাদায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি.এম সেলিম পারভেজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারজানা রাব্বী বুবলী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আঞ্জুমনোয়ারা বেগম মেরী, ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাওছার আলী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিন্টু মিয়া, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জহিরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হাবিবুর রহমান, সহকারী প্রোগ্রামার কাজল মিয়া প্রমুখ। এর আগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে পুকুর পারস্থ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন, সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সংগঠন এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরে একই স্থানে ১৫ আগষ্টের সকল শহীদদের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
শেষে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ এবং উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত যুবদের মাঝে ঋণের চেক বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে উপজেলার বিভিন্নস্থানে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মস‚চি পালন করা হয়।

চিরিরবন্দর থেকে মো. রফিকুল ইসলাম জানান-
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল ১৫ আগস্ট সোমবার জাতীয় পতাকা অর্ধ-নমিত করে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শোক র্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সকল অঙ্গসহযোগী সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. খালিদ হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী বক্তব্য রাখেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) সুনীল কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. আহসানুল হক মুকুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা বানুসহ সরকারি কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। দিবসটি উপক্ষে সরকারিভাবে ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিত্রাংকন, কবিতা আবৃত্তি, রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
নিউজ ডেস্ক, জাগো২৪.নেট 
























