বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন

একসঙ্গে ছাগলের ৪ বাচ্চা, বেজায় খুশি গৃহস্থ

তোফায়েল হোসেন জাকির, জাগো২৪.নেট
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩

তোফায়েল হোসেন জাকির: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় একটি ছাগল একসঙ্গে ৪টি বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। এসব বাচ্চা দিয়ে দিনবদলের স্বপ্নে বেজায় খুশি আশরাফুল ইসলাম হিরু নামের এক গৃহস্থ।

শুক্রবার (১৯ মে) সকালে খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ছাগলের বাচ্চাগুলো এক নজর দেখার জন্য উৎসুক নারী-পুরুষ ভির করছেন এবং তাদের মাঝে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) রাতে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম হিরু ও আনুজা বেগম দম্পতির গৃহপালিত এই ছাগলটি একসঙ্গে ৪ বাচ্চা জন্ম দেয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ৫ বছর আগে দেশীয় জাতের ওই ছাগলটি যখন বাচ্চা বয়স, তখন ১৪শ টাকায় হাট থেকে কিনে নেয় হিরু মিয়া। এরপর তার স্ত্রী আনুজা বেগম যত্নসহকারে ছাগলটি পোষেন। এটি থেকে স্বপ্ন দেখেন লাখ টাকার। ঠিক সেই স্বপ্ন বাস্তবরূপ নিয়েছে এই দম্পতির। এক বছরের মধ্যে প্রথমে দুটি বাচ্চা দেয় ছাগলটি। ধারাবাহিকতায় পঞ্চম দফা পর্যন্ত ১৩টি এবং এসবের প্রজনন থেকে আরও ৭টিসহ মোট ২০ বাচ্চা পেয়ে তা প্রায় দেড় লাখ টাকা বিক্রি করে সংসারে আর্থিক স্বচ্চলতা ফিরে আসে। এমতাবস্থায় সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১৮ মে) রাতে আবারও ছাগলটি এই প্রথম একসঙ্গে ৪ বাচ্চা জন্ম দেয়। এর মধ্যে ৩টি পাঠা ও ১টি হালুন বাচ্চা রয়েছে। যা এখনো সুস্থ দেখা গেছে।

ছাগল মালিক আশরাফুল ইসলাম হিরু ও আনুজা বেগম দম্পতি জানান, ৫ বছর আগে ১৪শ টাকা দিয়ে ছাগলটি (তখন বাচ্চা) কেনা হয়। এরপর থেকে ঘরোয়াভাবে বিভিন্ন লতা-পাতা ও ধানের কুড়াসহ অন্যান্য খাবার দেওয়া হয়। এভাবে পালন করে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ২টি করে এবং তৃতীয়-চতুর্থ ও পঞ্চম দফায় ৩ করে বাচ্চা জন্ম হয়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১৮ মে) রাতে এই প্রথম একসঙ্গে ৪ বাচ্চা হয়েছে। এতে করে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানান তারা।

সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের টুটুল খন্দকার বলেন, একই সঙ্গে ৪টি বাচ্চা দেওয়াটা স্বাভাবিক। তবে ছাগল ও বাচ্চাগুলোকে পরিকল্পিতভাবে খাদ্যে দিতে হবে। সেই সাথে ওই পরিবারে গিয়ে পরামর্শ প্রদান করা হবে।

 

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | জাগো২৪.নেট

কারিগরি সহায়তায় : শাহরিয়ার হোসাইন