রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোটের সময় সবাই উন্নয়নের গল্প শোনায়

জাতীয় সংসদ কিংবা স্থানীয় সরকারের নির্বাচন আসলে গ্রাম-গঞ্জে পদচারণ বেড়ে যায় প্রার্থী ও কর্মীদের। রাস্তাঘাটসহ নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন তারা। আর নির্বাচিত হলে সহজে দেখা মেলে না তাদের।

এমনিভাবে মন্তব্য করলেন, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের কিছু সংখ্যক বাসিন্দা। তারা জানালেন সবরিরতল থেকে গাড়ানাটা গ্রামের দুটি গ্রামীন রাস্তায় সীমাহীন দুর্ভোগের কথা।

স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েক বছর ধরে গ্রামীন ওই কাঁচা রাস্তাটি দিয়ে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে ধলাবালি আর বর্ষাকালে হাটু কাদায় পরিণত হয়। বিভিন্ন সময়ে এ রাস্তাটিতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে থাকে। রিকশা-ভ্যান, বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল তো দূরের কথা হেঁটে যেতেও হাটু কাদা পেরিয়েতে হয়। এতে করে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় পড়ে গিয়ে পরনের কাপড় ও হাত পা কাদায় মেখে যায়।

ভোক্তভোগীরা নজুরুল ইসলাম জানান, নির্বাচনের আগে সবাই শুধু ভোট নিতে এসে উন্নয়নের গল্প শোনায় কিন্তু রাস্তাটি সংস্কার বা চলাচলের উপযোগী করতে কেউ কথা রাখেনি। রাস্তাটি জরুরিভাবে পাকাকরণের দাবি জানাচ্ছি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ওই রাস্তাটির অবস্থা একিবারে করুণ। বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলে সৃষ্ট কাদায় চলালচল করা খুবই কষ্ট হয়ে দাঁড়ায়।

মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম মন্ডল বলেন, এলাকার রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন ধরণের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ওই রাস্তাটিও চলাচলের উপযোগি চেষ্টা করা হবে।

পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন বলেন, ওই রাস্তাটি আইডিভূক্ত কিনা, সেটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয়

ভোটের সময় সবাই উন্নয়নের গল্প শোনায়

প্রকাশের সময়: ০৭:২৩:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩

জাতীয় সংসদ কিংবা স্থানীয় সরকারের নির্বাচন আসলে গ্রাম-গঞ্জে পদচারণ বেড়ে যায় প্রার্থী ও কর্মীদের। রাস্তাঘাটসহ নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন তারা। আর নির্বাচিত হলে সহজে দেখা মেলে না তাদের।

এমনিভাবে মন্তব্য করলেন, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের কিছু সংখ্যক বাসিন্দা। তারা জানালেন সবরিরতল থেকে গাড়ানাটা গ্রামের দুটি গ্রামীন রাস্তায় সীমাহীন দুর্ভোগের কথা।

স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েক বছর ধরে গ্রামীন ওই কাঁচা রাস্তাটি দিয়ে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে ধলাবালি আর বর্ষাকালে হাটু কাদায় পরিণত হয়। বিভিন্ন সময়ে এ রাস্তাটিতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে থাকে। রিকশা-ভ্যান, বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল তো দূরের কথা হেঁটে যেতেও হাটু কাদা পেরিয়েতে হয়। এতে করে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় পড়ে গিয়ে পরনের কাপড় ও হাত পা কাদায় মেখে যায়।

ভোক্তভোগীরা নজুরুল ইসলাম জানান, নির্বাচনের আগে সবাই শুধু ভোট নিতে এসে উন্নয়নের গল্প শোনায় কিন্তু রাস্তাটি সংস্কার বা চলাচলের উপযোগী করতে কেউ কথা রাখেনি। রাস্তাটি জরুরিভাবে পাকাকরণের দাবি জানাচ্ছি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ওই রাস্তাটির অবস্থা একিবারে করুণ। বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলে সৃষ্ট কাদায় চলালচল করা খুবই কষ্ট হয়ে দাঁড়ায়।

মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম মন্ডল বলেন, এলাকার রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন ধরণের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ওই রাস্তাটিও চলাচলের উপযোগি চেষ্টা করা হবে।

পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন বলেন, ওই রাস্তাটি আইডিভূক্ত কিনা, সেটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।