রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রমজানে ভোগ্যপণ্যের দামে স্বস্তি রোজাদারের

তোফায়েল হোসেন জাকির:  গত বছরে রমজানে গাইবান্ধার বাজারে অস্থিতিশীল ছিল ভোগ্যত্যপণ্যের দাম। ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে থাকা এই দামে অস্থির ছিলেন ভোক্তারা। কিন্তু চলতি পবিত্র মাহে রমজানে এসে সেই অগ্নিমূল্যের প্রায় অর্ধেকে নেমেছে পণ্যের দাম। এখন স্থিতিশীল পণ্যবাজারে রোজাদারদের মাঝে ফিরেছে স্বস্তির নিঃশ্বাস। একইসঙ্গে অধিক পরিমাণে ভোগ্যপণ্য বিক্রি করতে খুচরা ব্যবসায়ীরাও খুশি।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সরেজমিনে গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজারসহ জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে- ভোগ্যপণ্যের দোকান-দোকানে ভোক্তাদের ভিড়। এখানে ব্যাপক পরিমাণ আমদানি থাকায় দাম রয়েছে স্বাভাবিক। আর চাহিদা মতো ক্রেতারা কিনছেন সবজিসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি বছর রমজান মাসে শাক-সবজি ও বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের চাহিদা থাকে দ্বিগুণ। চাহিদার সংঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে দামও। কিন্ত চলতি রমজানে সেই দামের প্রভাব পড়েনি। বাজারে ব্যাপক সরবরাহ থাকায় দাম রয়েছে অনেকটা কম।

বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ১৫ টাকা, বেগুন ১৫ থেকে ২০ টাকা, টমেটো ১০ টাকা, সীম ২৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩ টাকা, ফুলকপি ১০ টাকা, ঢেড়স ৪০ টাকা, করলা ৮০, গাজর ২০ টাকা, পেপেঁ ১৫ টাকা, লাউ ১০ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা, শসা ২০ টাকা, পটল ৮০, কাঁচা মরিচ ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৩০ টাকা, আদা ১২০ টাকা, রসুন ৭০ টাকা, ব্রয়লার মাংস ১৭০ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা, চিনি ১২০ টাকা, মসুর ডাল ১০০ টাকা কেজি ও ব্রয়লার ডিম ১০ টাকা পিস দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরু-ছাগলের গোশত ও মাছের দামও স্থিতিশীল রয়েছে। যা সবজিতে গত বছর কেজিতে দাম ছিল দ্বিগুণ।

বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এ বছর ভোগ্যপণ্যের সহনশীল দামে পবিত্র মাহে রমজানে বেশ স্বস্তিতে আছেন বলে জানালেন- মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তিসহ একাধিক ভোক্তা।

খুচরা বিক্রেতা মমিনুর রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার শাক-সবজির দাম অনেকটা কম রয়েছে। এতে করে ক্রেতারা চাহিদা মোতাবেক কিনছেন। ফলে বিক্রি ও লাভ থাকছে বেশী।

মসলা, ছোলা, চিনি ও ডাল বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। এতে ভোক্তারা নির্বিঘ্নে কিনতে পারছেন বলে মন্তব্য করলেন- সাদুল্লাপুর বাজারের মুদির দোকানী আব্দুর রাজ্জাক রাজা।

ধাপেরহাট এলাকার কৃষক আব্দুল লতিফ প্রধান জানান, এ বছর রবিতে আলুসহ অধিক পরিমাণ জমিতে সবজি আবাদ করেছেন। উৎপাদনও হচ্ছে ভালো। তাই দামে কিছুটা কম হলেও গত বছরের মতই লাভ থাকছে।

গাইবান্ধা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক জানান, রমজানকে ঘিরে বাজারে সিন্ডিকেট ঠেকাতে অভিযানে তৎপর আছেন। কেউ যাতে ভোগ্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট করতে না পারে সে বিষয়ে তদারকি অব্যাহত রয়েছে।

 

জনপ্রিয়

রমজানে ভোগ্যপণ্যের দামে স্বস্তি রোজাদারের

প্রকাশের সময়: ১২:৩৯:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

তোফায়েল হোসেন জাকির:  গত বছরে রমজানে গাইবান্ধার বাজারে অস্থিতিশীল ছিল ভোগ্যত্যপণ্যের দাম। ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে থাকা এই দামে অস্থির ছিলেন ভোক্তারা। কিন্তু চলতি পবিত্র মাহে রমজানে এসে সেই অগ্নিমূল্যের প্রায় অর্ধেকে নেমেছে পণ্যের দাম। এখন স্থিতিশীল পণ্যবাজারে রোজাদারদের মাঝে ফিরেছে স্বস্তির নিঃশ্বাস। একইসঙ্গে অধিক পরিমাণে ভোগ্যপণ্য বিক্রি করতে খুচরা ব্যবসায়ীরাও খুশি।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সরেজমিনে গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজারসহ জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে- ভোগ্যপণ্যের দোকান-দোকানে ভোক্তাদের ভিড়। এখানে ব্যাপক পরিমাণ আমদানি থাকায় দাম রয়েছে স্বাভাবিক। আর চাহিদা মতো ক্রেতারা কিনছেন সবজিসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি বছর রমজান মাসে শাক-সবজি ও বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের চাহিদা থাকে দ্বিগুণ। চাহিদার সংঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে দামও। কিন্ত চলতি রমজানে সেই দামের প্রভাব পড়েনি। বাজারে ব্যাপক সরবরাহ থাকায় দাম রয়েছে অনেকটা কম।

বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ১৫ টাকা, বেগুন ১৫ থেকে ২০ টাকা, টমেটো ১০ টাকা, সীম ২৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩ টাকা, ফুলকপি ১০ টাকা, ঢেড়স ৪০ টাকা, করলা ৮০, গাজর ২০ টাকা, পেপেঁ ১৫ টাকা, লাউ ১০ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা, শসা ২০ টাকা, পটল ৮০, কাঁচা মরিচ ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৩০ টাকা, আদা ১২০ টাকা, রসুন ৭০ টাকা, ব্রয়লার মাংস ১৭০ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা, চিনি ১২০ টাকা, মসুর ডাল ১০০ টাকা কেজি ও ব্রয়লার ডিম ১০ টাকা পিস দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরু-ছাগলের গোশত ও মাছের দামও স্থিতিশীল রয়েছে। যা সবজিতে গত বছর কেজিতে দাম ছিল দ্বিগুণ।

বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এ বছর ভোগ্যপণ্যের সহনশীল দামে পবিত্র মাহে রমজানে বেশ স্বস্তিতে আছেন বলে জানালেন- মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তিসহ একাধিক ভোক্তা।

খুচরা বিক্রেতা মমিনুর রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার শাক-সবজির দাম অনেকটা কম রয়েছে। এতে করে ক্রেতারা চাহিদা মোতাবেক কিনছেন। ফলে বিক্রি ও লাভ থাকছে বেশী।

মসলা, ছোলা, চিনি ও ডাল বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। এতে ভোক্তারা নির্বিঘ্নে কিনতে পারছেন বলে মন্তব্য করলেন- সাদুল্লাপুর বাজারের মুদির দোকানী আব্দুর রাজ্জাক রাজা।

ধাপেরহাট এলাকার কৃষক আব্দুল লতিফ প্রধান জানান, এ বছর রবিতে আলুসহ অধিক পরিমাণ জমিতে সবজি আবাদ করেছেন। উৎপাদনও হচ্ছে ভালো। তাই দামে কিছুটা কম হলেও গত বছরের মতই লাভ থাকছে।

গাইবান্ধা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক জানান, রমজানকে ঘিরে বাজারে সিন্ডিকেট ঠেকাতে অভিযানে তৎপর আছেন। কেউ যাতে ভোগ্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট করতে না পারে সে বিষয়ে তদারকি অব্যাহত রয়েছে।