সরকার আইন-আদালতকে ইচ্ছেমতো ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (১৬ মে) ঠাকুরগাঁও শহরের হাওলাদার গেস্ট হাউজে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার আইন-আদালতকে নিজের সুবিধায় ইচ্ছেমতো ব্যবহার করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তারা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে তারা ধ্বংস করেছে। দেশে বর্তমানে আইন বলতে কিছু নেই, বিচার বলতে কিছু নেই। সবকিছু মিলিয়ে সরকার ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১৯৭১ সালে দেশের মানুষের মূল আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক সার্বভৌম রাষ্ট্র নির্মাণ করা। যেখানে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, দেশে একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু থাকবে, দায়িত্ববোধ থাকবে। সে বিষয়টি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে অত্যন্ত সুচারুভাবে ধ্বংস করেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে এই সরকার সাধারণ মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। সাংবাদিকরাও মত প্রকাশ করতে পারছেন না। সত্য কথা লিখলেই মামলার শিকার হচ্ছেন, এমনকি জেলেও যেতে হচ্ছে। এ আইনের আওতায় এনে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনকে একদলীয় হিসেবে করার জন্য যা যা করা দরকার, সমস্ত কিছু করেছে সরকার।
ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
করেসপন্ডেন্ট, জাগো২৪.নেট, ঠাকুরগাঁও 






















