গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নিভৃত পল্লী গ্রামের অতি দরিদ্র পরিবারের ছেলে মাহিন মিয়া(২২)। কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাচের ছাত্র। তবে দারিদ্রতার কাছে হার মানতে রাজী নয় কখনো। এমতাবস্থায় অন্যান্য গরিব শিক্ষার্থীর সহযোগিতা করতে চায় মাহিন মিয়া।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে জাগো২৪.নেট অফিসে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের পাতিল্যাকুড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জোব্বার মিয়ার ছেলে মাহিন মিয়া।
এসময় জানা যায়, মাহিন মিয়ার পিতা আবুল জোব্বার মিয়া ছিলেন শারীরিক প্রতিবন্ধী। সেকারণে সংসারে নানা অভাব অনটন লেগেই থাকতো। যেনো নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা তাদের। এরই মধ্যে মাহিন মিয়াকেও লিখাপড়া শেখাতে পিছু পা হয়নি কখনো।
ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে মারা যায় জোব্বার মিয়া। সেই সময়ে থমকে যায় মাহিনের লিখাপড়া। কিন্তু অদম্য ইচ্ছেশক্তিতে মনোবল হারায়নি মাহিন।নিজে টিউশনি আর বিভিন্ন মানুষের সহযোগিতায় বর্তমানে কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাচের রয়েছে।
এরই মধ্যে মাহিন তার সহপাঠীদের নিয়ে we will build enlighted life and society নামের একটি সমিতি গঠন করে। এ সমিতির সঞ্চিত অর্থ দিয়ে গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা করে আসছে সে।
সম্প্রতি এ সমিতির উদ্যোগে গাইবান্ধা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান সাহারিয়া খান বিপ্লব ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নবীনেওয়াজের উপস্থিতিতে বিশাল এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দরিদ্র শিক্ষার্থীর মাঝে বই বিতরণও করা হয়।
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর এই শিক্ষার্থী মাহিন মিয়া জাগো২৪.নেট-কে বলেন, নিজের দরিদ্রতা থেকে অন্যের দরিদ্রতার উপলব্ধি করতে পারি। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করার চেষ্টা করছি। তাঁর হাত ধরে গরীব-দুখী মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতে চাই।
তোফায়েল হোসেন জাকির 



















