নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর থেকে দেশে দ্রুত বিস্তার ঘটছে করোনাভাইরাসের। এমন পরিস্থিতিতে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময়ে কোচিং সেন্টারও বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্লাস-পরীক্ষার পাশাপাশি সকল কোচিং সেন্টারও বন্ধ থাকবে। কারণ সেখানেও শিক্ষার্থীদের সমাবেশ ঘটে।
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এবং শিক্ষা অফিসের কার্যালয় খোলা থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেখানে কাজ চলবে। আমাদের টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। যতদ্রুত সম্ভব টিকা দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কারণে সংক্রমণটা বেড়ে যেন না যায় সে জন্যই বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেব। যেখানে যেভাবে অনলাইনে ক্লাস নেয়া সম্ভব আমরা নেব।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে খুশি মনে সিদ্ধান্তটা নিয়েছি তা মনে করার কোনো কারণ নেই। আমরা বাধ্য হয়েই সিদ্ধান্তটা নিয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি প্রত্যেকে মানলে এই অবস্থা হতো না। আমরা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক নজরে রাখছি, যখনই উন্নতি হবে তখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাসের বিষয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে চলে। তারা নিজস্ব পদ্ধতিতে অনলাইনে ক্লাস চালাতে পারবেন। যত ভালোভাবে সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মানবেন।
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ কমানোর জন্য আরও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। দেশে পরিবহন ও সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রচুর সংখ্যক লোক চলাচল করছে। এতে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোনো অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি লোক থাকতে পারবে না। এবং যারা আসবে, তাদের টিকার সদন এবং করোনা পরীক্ষা করা থাকতে হবে। যানবাহনে ওঠার ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রয়োজন হবে।
এ ছাড়া, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অর্ধেক জনবল নিয়ে চলবে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। সুত্রঃ সিটি নিউজ ঢাকা
নিউজ ডেস্ক, জাগো২৪.নেট 
























