বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন

এক ছাগল থেকে শামসুল এখন খামার মালিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্টে, জাগো২৪.নেট
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০২২

কৃষক শামসুল হক (৫০)। দিনবদলের আশায় পাড়ি জমিয়েছিলেন সৌদি-তে। তিন বছর প্রবাস জীবনে পূরণ হয়নি সেই কাঙ্খিত স্বপ্ন। অবশেষে বাড়িতে ফিরে পরিকল্পিতভাবে কিনেছেন একটি উন্নত জাতের ছাগল। এই ছাগলের প্রজনন থেকে এখন ৬০টি ছাগল হয়েছে তার। ইতোমধ্যে ৩০ টি ছাগল বিক্রি করে ভাগ্য পরিবর্তন করেছে এই খামারী।

বুধবার (১৩ জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর ইউনিয়নের স্কুলবাজার গ্রামে দেখা যায় শামসুল হকের ছাগল খামারের চিত্র। অতি আদর-যত্নে ছাগলগুলোকে খাবার দিতে ব্যস্ত ছিলেন।

জানা যায়, ওই গ্রামের  আব্দুল ছাত্তার মিয়ার ছেলে শামসুল হক। সংসারের অভাব-অনটন ঘুচাতে ২০০৯ সালে পাড়ি জমান সৌদি আরবে। বছর তিনেক প্রবাস জীবন কাটানোর পরও আর্থিকভাবে তেমন লাভবান হতে পারেনি। বাধ্য হয়ে ২০১২ সালে ফিরে আসেন গ্রামের বাড়িতে। বেশ কিছু দিন চলার পর বেকার হয়ে পড়েন শামসুল হক। বেকারত্ব দূর করতে ২০১৮ সালের দিকে ১৭ হাজার টাকায় একটি কাশ্মীরি ছাগল ক্রয় করে ছোট পরিসরে লালন-পালন শুরু করেন। ধীরে ধীরে একটি কাশ্মীরি ছাগল থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ছাগলের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

এই খামার থেকে আয় করে তার পরিবারে জীবন-জীবিকা পরিচালনাসহ এক ছেলে দুই মেয়ের পড়াশুনার খরচও চালান। বিভিন্ন সময়ে ৩০টি ছাগল বিক্রি করলেও বর্তমানে তার খামারে ৩০টি ছোট-বড় ছাগল রয়েছে।

খামারি শামসুল হক বলেন, ছাগল পালন অত্যান্ত লাভজনক ব্যবসা। এই খামার থেকে অনেকটাই স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। কিন্তু সম্প্রতি দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার যদি আমাদেরকে সহযোগিতা করেন তাহলে আমরা খামারটি টিকে থাকতে পারবো। আমার খামার দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক খামার করতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আমি তাদের সব ধরণের পরামর্শ দিয়ে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।

সাঘাটা উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা রেবা বেগম জাগো২৪.নেট-কে জানান, শামসুল হকের  ছাগলের খামার বিষয়ে জানা নেই। খোঁজ নিয়ে তাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | জাগো২৪.নেট

কারিগরি সহায়তায় : শাহরিয়ার হোসাইন