বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রক্তিম রঙে সেজেছে বাঁধাকপির ক্ষেত 

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার নিভৃত এলাকার আদর্শ কৃষক বেলাল হোসেন (৪০)। কৃষি ফসল উৎপাদন করেই চলে তার সংসার। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি রবি মৌসুমে অন্যান্য সবজির পাশাপাশি আবাদ করেছেন লাল জাতের বাঁধাকপি। যেন রক্তিম রঙে সাজিয়ে ওঠেছে তার এই ক্ষেত। এখান থেকে লক্ষাধিক টাকা লাভের স্বপ্ন দেখছেন বেলাল।

এরই মধ্যে সরেজমিনে উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ভাষারপাড়া গ্রামের ওই কৃষকের ক্ষেতে দেখা যায়, লাল রঙের সমাহার। দূর থেকে তাকালে মনে এ যেন এক ফুলের বাগান। আর কাছে এলেই চোখে পড়ে সারি সারি   লাল বাঁধাকপি।

ইতোমধ্যে এই বাঁধাকপি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন সেখানে। ওপরের পাতা ছিঁড়লেই বের হয় টকটকে লাল রঙের বাঁধাকপি। যা দেখলেই যে কারো চোখ জুড়িয়ে যায়। এ থেকে বদলে দিতে পারে বেলাল হোসেনের ভাগ্য। দেড় বিঘা জমিতে চাষ করেছেন লাল বাঁধাকপি। ফলন ও দাম ভালো পেয়েও খুশি তিনি।

এদিকে, নতুন এ জাতের আকর্শনীয় সবজি দেখতে বিভিন্ন এলাকা দেখে লোকজন আসছেন বেলাল এর সবজি ক্ষেতে। তার এ সাফল্য দেখে স্থানীয় কৃষকরা আগামীতে লাল রঙের বাঁধাকপি চাষে আগ্রহী।

এই ক্ষেত দেখতে আসা মিম আক্তার নামের এক কলেজছাত্রী বলে, বেলাল আংকেলের এই কপির ক্ষেত দেখে আমি অনেকটাই মুগ্ধ। এর আগে কখনো লাল রঙের বাঁধাকপি দেখিনি। এর স্বাদ নিতে ৪০ টাকা দিয়ে একটি কপি কিনলাম।

কৃষক বেলাল হোসেন জানান, স্থানীয় বাজারে প্রতি পিস বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা হিসাবে পাইকারি বিক্রি করছেন। এরই মধ্যে ৪০ শতক জমি থেকে ১ লাখ টাকার বিক্রি হয়েছে তার। বীজ-সার-শ্রমিক অন্যান্য খরচ বাদে প্রায় লক্ষাধিক টাকা লাভ থাকবে।

হাসপাতালে কর্মরত শাহীনুল ইসলাম মণ্ডল নামের এক চিকিৎসক বলেন, লাল বাঁধাকপি এর মধ্যে ভিটামিন এ, সি এবং কে, ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম সহ প্রচুর আয়রণ রয়েছে। এ ধরনের উচ্চ মূল্যবান সবজি কেউ চাষ করতে আগ্রহী হলে তাকে কৃষি বিভাগ কর্তৃক সহযোগিতা করা দরকার।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ বেলাল হোসেন, নতুন এই জাতের বাঁধাকপি আবাদের কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে কৃষক বেলাল হোসনকেও লাভবান করতে সর্বাত্নক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

 

জনপ্রিয়

রক্তিম রঙে সেজেছে বাঁধাকপির ক্ষেত 

প্রকাশের সময়: ০৬:৩৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার নিভৃত এলাকার আদর্শ কৃষক বেলাল হোসেন (৪০)। কৃষি ফসল উৎপাদন করেই চলে তার সংসার। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি রবি মৌসুমে অন্যান্য সবজির পাশাপাশি আবাদ করেছেন লাল জাতের বাঁধাকপি। যেন রক্তিম রঙে সাজিয়ে ওঠেছে তার এই ক্ষেত। এখান থেকে লক্ষাধিক টাকা লাভের স্বপ্ন দেখছেন বেলাল।

এরই মধ্যে সরেজমিনে উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ভাষারপাড়া গ্রামের ওই কৃষকের ক্ষেতে দেখা যায়, লাল রঙের সমাহার। দূর থেকে তাকালে মনে এ যেন এক ফুলের বাগান। আর কাছে এলেই চোখে পড়ে সারি সারি   লাল বাঁধাকপি।

ইতোমধ্যে এই বাঁধাকপি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন সেখানে। ওপরের পাতা ছিঁড়লেই বের হয় টকটকে লাল রঙের বাঁধাকপি। যা দেখলেই যে কারো চোখ জুড়িয়ে যায়। এ থেকে বদলে দিতে পারে বেলাল হোসেনের ভাগ্য। দেড় বিঘা জমিতে চাষ করেছেন লাল বাঁধাকপি। ফলন ও দাম ভালো পেয়েও খুশি তিনি।

এদিকে, নতুন এ জাতের আকর্শনীয় সবজি দেখতে বিভিন্ন এলাকা দেখে লোকজন আসছেন বেলাল এর সবজি ক্ষেতে। তার এ সাফল্য দেখে স্থানীয় কৃষকরা আগামীতে লাল রঙের বাঁধাকপি চাষে আগ্রহী।

এই ক্ষেত দেখতে আসা মিম আক্তার নামের এক কলেজছাত্রী বলে, বেলাল আংকেলের এই কপির ক্ষেত দেখে আমি অনেকটাই মুগ্ধ। এর আগে কখনো লাল রঙের বাঁধাকপি দেখিনি। এর স্বাদ নিতে ৪০ টাকা দিয়ে একটি কপি কিনলাম।

কৃষক বেলাল হোসেন জানান, স্থানীয় বাজারে প্রতি পিস বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা হিসাবে পাইকারি বিক্রি করছেন। এরই মধ্যে ৪০ শতক জমি থেকে ১ লাখ টাকার বিক্রি হয়েছে তার। বীজ-সার-শ্রমিক অন্যান্য খরচ বাদে প্রায় লক্ষাধিক টাকা লাভ থাকবে।

হাসপাতালে কর্মরত শাহীনুল ইসলাম মণ্ডল নামের এক চিকিৎসক বলেন, লাল বাঁধাকপি এর মধ্যে ভিটামিন এ, সি এবং কে, ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম সহ প্রচুর আয়রণ রয়েছে। এ ধরনের উচ্চ মূল্যবান সবজি কেউ চাষ করতে আগ্রহী হলে তাকে কৃষি বিভাগ কর্তৃক সহযোগিতা করা দরকার।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ বেলাল হোসেন, নতুন এই জাতের বাঁধাকপি আবাদের কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে কৃষক বেলাল হোসনকেও লাভবান করতে সর্বাত্নক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।