মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৩:২৬ অপরাহ্ন

ইট-সিমেন্টের কাছে হার মানছে মাটির ঘর

স্টাফ করেসপন্ডেন্টে, জাগো২৪.নেট
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

গাইবান্ধার অত্যান্ত উঁচু এলাকা হচ্ছে- ধাপেরহাট ইউনিয়ন। এঁটেল মাটি এই এলাকায় একসময় অধিকাংশ বাড়িতে ছিলো মাটির ঘর। অতীতে এই ঘরগুলোকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর বলা হত। এখন সেইসব মাটির ঘর হার মানছে ইট-সিমেন্টের তৈরী দালান আর অট্টালিকার কাছে।

জানা যায়, তৎকালীন গাঁও-গ্রামের মানুষের এসি ঘর হিসেবে খ্যাত মাটির তৈরি ঘর। ঝড়-বৃষ্টি থেকে বাঁচার পাশাপাশি প্রচুর গরম ও খুবই শীতে আদর্শ বাস-উপযোগী এসব ঘর। সেগুলো আগের মতো এখন আর তেমন একটা নজরে পড়ে না। বর্তমানে আধুনিকতায় ছোঁয়া আর কালের আবর্তে সাদুল্লাপুর উপজেলার ওই ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। এখানকার বিভিন্ন গ্রামে অনেক পরিবার মাটির ঘরে বাস করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করলেও প্রবল বর্ষণে মাটির ঘরের ক্ষতি হয় বেশি। ভূমিকম্প বা বন্যা না হলে একটি মাটির ঘর শত বছরেরও বেশি স্থায়ী হয়। কিন্তু কালের আবর্তে দালান-কোঠা আর অট্টালিকার কাছে হার মানছে মাটির ঘর।

বোয়ালীদহ গ্রামের আমজাদ হোসেন জানান, এঁটেল বা আঠালো মাটি কাদায় পরিণত করে দুই-তিন ফুট চওড়া করে দেয়াল তৈরি করা হত। ১০-১৫ ফুট উঁচু দেয়ালে কাঠ বা বাঁশের সিলিং তৈরি করে তার ওপর খড়-কুটা অথবা ঢেউটিনের ছাউনি দেয়া হত। আর এই মাটির ঘর অনেক সময় দোতলা পর্যন্ত করা হয়। সব ঘর বড় মাপের হয় না। গৃহিণীরা মাটির দেয়ালে বিভিন্ন রকমের আলপনা একে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেন।

ধাপেরহাট ইউনিয়নের বড় ছত্রগছা গ্রামের আকলিমা বেগম (৬০) নামের এক নারী বলেন, প্রায় ২৫ বছর আগে আমরা মাটির ঘর নির্মাণ করছি। এখনো এই ঘর ভাঙেনি। আর এই ঘরগুলোত বসবাসে অনেক শান্তি পাওয়া যায়।

হিংগারপড়া গ্রামের খয়রাজ্জামান সরকার বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বর্ষা মৌসুমে মাটির ঘরের ক্ষতি হয় বলে ইট-সিমেন্টের ঘর নির্মাণে এখন উৎসাহী হচ্ছে মানুষ।

ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মিন্টু বলেন, মাটির ঘর বসবাসের জন্য আরামদায়ক হলেও যুগের পরিবর্তনে আধুনিকতার সময় অধিকাংশই মানুষ মাটির ঘর ভেঙে এখন ইটের ঘর তৈরিতে দালানে বসবাস করছে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | জাগো২৪.নেট

কারিগরি সহায়তায় : শাহরিয়ার হোসাইন