রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিরিরবন্দরে জমে উঠেছে গরুর হাট

দিনাজপুরের বিভিন্ন স্থানে বসছে বড় বড় গরু-ছাগলের হাট। দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় ছোট-বড় মিলে ৬৬টি হাট বসে। ধারাবাহিকভাবে এসব হাটে পশু কেনাবেচা শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার চিরিরবন্দর উপজেলার অন্যতম বড় পশুর হাট ছিল রানীরবন্দর হাট। ছোট-বড় নানাধরণের গরু-ছাগলে ভরে যায় হাট। তবে গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানির গরুর দাম বেশি বলে জানান ক্রেতা-বিক্রেতারা।
সরজমিনে হাটে গিয়ে দেখা যায়, জমে উঠেছে রানীরবন্দর গরু হাট। দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে ক্রেতা-ব্যবসায়ীরা গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। ছোট-বড় ষাঁড়, বলদ, বকনা, গাভী মিলিয়ে প্রায় ১০ সহস্রাধিক গরু হাটে এসেছে। তবে হাটে ছোট ও মাঝারি গরু বেশি দেখা গেছে। উপজেলার আলোকডিহি গ্রামের খামারি মো. আব্দুল্ল্যাহ হাটে ৫টি ষাঁড় এনেছেন। তিনি জানান, তাঁর প্রতিটি গরুর দাম হাকাচ্ছেন ৭৫-৯৫ হাজার টাকা।
অপর খামারি বেলাল হোসেন জানান, গরুর খাদ্যের দাম বেশি। বছরে একটি গরু বড় করতে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হয়। এমতাবস্থায় প্রতিটি গরু গড়ে ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে না পারলে লাভ হবে না।
রানীরবন্দর হাটের ইজারাদার মো. আতিকুর রহমান বলেন, গরু ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন বিষয়ে মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে এবং পরামর্শে খামারিরা সম্পূর্ণ দেশিয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন বলে দাবি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুড় সারফরাজ হোসেন। তিনি জানান, এবার চিরিরবন্দর উপজেলায় ২৮ হাজার ৫৪০টি পশু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। তবে উপজেলায় চাহিদা রয়েছে ২৬ হাজার ৪৯০ টির। উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি ২ হাজার পশু দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা যাবে।
জনপ্রিয়

চিরিরবন্দরে জমে উঠেছে গরুর হাট

প্রকাশের সময়: ০৪:৫৩:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩
দিনাজপুরের বিভিন্ন স্থানে বসছে বড় বড় গরু-ছাগলের হাট। দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় ছোট-বড় মিলে ৬৬টি হাট বসে। ধারাবাহিকভাবে এসব হাটে পশু কেনাবেচা শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার চিরিরবন্দর উপজেলার অন্যতম বড় পশুর হাট ছিল রানীরবন্দর হাট। ছোট-বড় নানাধরণের গরু-ছাগলে ভরে যায় হাট। তবে গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানির গরুর দাম বেশি বলে জানান ক্রেতা-বিক্রেতারা।
সরজমিনে হাটে গিয়ে দেখা যায়, জমে উঠেছে রানীরবন্দর গরু হাট। দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে ক্রেতা-ব্যবসায়ীরা গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। ছোট-বড় ষাঁড়, বলদ, বকনা, গাভী মিলিয়ে প্রায় ১০ সহস্রাধিক গরু হাটে এসেছে। তবে হাটে ছোট ও মাঝারি গরু বেশি দেখা গেছে। উপজেলার আলোকডিহি গ্রামের খামারি মো. আব্দুল্ল্যাহ হাটে ৫টি ষাঁড় এনেছেন। তিনি জানান, তাঁর প্রতিটি গরুর দাম হাকাচ্ছেন ৭৫-৯৫ হাজার টাকা।
অপর খামারি বেলাল হোসেন জানান, গরুর খাদ্যের দাম বেশি। বছরে একটি গরু বড় করতে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হয়। এমতাবস্থায় প্রতিটি গরু গড়ে ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে না পারলে লাভ হবে না।
রানীরবন্দর হাটের ইজারাদার মো. আতিকুর রহমান বলেন, গরু ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন বিষয়ে মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে এবং পরামর্শে খামারিরা সম্পূর্ণ দেশিয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন বলে দাবি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুড় সারফরাজ হোসেন। তিনি জানান, এবার চিরিরবন্দর উপজেলায় ২৮ হাজার ৫৪০টি পশু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। তবে উপজেলায় চাহিদা রয়েছে ২৬ হাজার ৪৯০ টির। উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি ২ হাজার পশু দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা যাবে।