তোফায়েল হোসেন জাকির: গাইবান্ধার প্রত্যান্ত অঞ্চলে অব্যাহত রয়েছে প্রখর রোদ আর ভ্যাপসা গরম। চরাঞ্চলসহ জেলার চারিদিকে যেন খা খা অবস্থা বিরাজ করছে। আর মানুষদের মধ্যে শুরু হয়েছে হাঁসফাঁস। এসব মানুষ একটু স্বস্তি পেতে ছুটছেন এদিক-সেদিক। কেউ বা ছুটছে গাছতলায়। আবার অনেকে ঠাণ্ডা পানীয় ও আইসক্রিম খেয়ে স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে গাইবান্ধার গ্রামাঞ্চলে দেখা যায় গরমের ফাঁদে পরা মানুষের হাঁসফাঁসের চিত্র। এসময় অনেকে ঘাম ঝড়া দেহ নিয়ে হাপাচ্ছিলেন।
দেখা যায়, গাইবান্ধা জেলায় গত ৩ দিন ধরে দিনের বেলায় প্রখর রোদের ঝলকানি। আর এই রোদে পুড়ছে কৃষকের মাঠসহ বাসা-বাড়ি ও পথঘাট। যার ফলে বেড়েছে দাবদাহ। অসহনী গরমে মানুষের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর প্রভাবে সকল শ্রেণি পেশার মানুষেরা কোন কাজই মনোযোগি হতে পারছে না। অফিস-আদালতের কর্মজীবিদেরও উষ্ঠাগত অবস্থায়। তীব্র গরমের ঠেলায় তারা ঠিকভাবে করতে পারছে না কাজকর্ম।
বিশেষ করে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি মানুষেরা। কাঁঠফাটা রোদ আর অসহনীয় গরমে কৃষকের মাঠে কাজ করতে ব্যর্থ হচ্ছে তারা। সেই সঙ্গে সিএনজি, আটোরিকশা ও ভ্যান চালকদেরও একই অবস্থায়। অনেকে জীবিকার তাগিদে বাড়ি থেকে বেরুলে রোদ-ভ্যাপসা গরমে অস্থির হয়ে উঠছেন। বার্ধ্য হয়ে তারা ফিরছে বাড়িতে। এর ফলে শ্রমজীবি মানুষের থমকে গেছে জীবনযাত্রা।
বিদ্যমান পরিস্থিতি গাইবান্ধার মানুষদের বেড়েছে রোগবালাই। অনেকের স্বর্দি, জ্বর, কাশি, মাথা ব্যথা ও নানা রোগের আক্রান্ত হচ্ছেন। সম্প্রতি তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে এক পশলা বৃষ্টির প্রার্থনা করছে। তবে গরমের সুযোগে ব্যবসা বেড়েছে কনফেকশনারী দোকানিদের। এসব দোকানে ফ্রিজে রাখা পানীয়, আইসক্রিম, দই, শরবত ও ইত্যাদি জাতিয় ঠান্ডা খাবার কিনতে ভিড় করছে গরমের কবলে পড়া মানুষেরা।
গাইবান্ধা বাস স্ট্যান্ডে আসা রিকশা চালক কামরুল ইসলাম জাগো২৪.নেট-কে বলেন, তীব্র গরম আর রোদে গাড়ি চালানো দায় হয়ে পড়েছে। তবুও জীবিকার তাগিতে ভাড়া মারার চেষ্টা করছি। কিন্তু অসহনীয় গরমে যাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে।
রাসেল মিয়া নামের এক কনফেকশনারী দোকানি বলেন, সম্প্রতি তীব্র দাবদাহের কারণে ব্যবসা বেড়েছে কনফেকশনারী দোকানিদের। দোকানে ফ্রিজে রাখা পানীয়, আইসক্রিম, দই, শরবত ও ইত্যাদি জাতিয় ঠান্ডা খাবার কিনতে ভিড় করছে গরমের কবলে পড়া মানুষেরা।
স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আনিছুর রহমান বলেন, তীব্র গরমে মানুষদের বেড়েছে রোগবালাই। অনেকের স্বর্দি, জ্বর, কাশি, মাথা ব্যথা ও নানা রোগের আক্রান্ত হচ্ছেন।
গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল সুপার ডা. মাহবুব হোসেন জাগো২৪.নেট-কে জানান, গরমে পানি স্বল্পতাসহ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে। তাই তীব্র তাপদাহে শিশু, বৃদ্ধ মানুষদের খুব জরুরি কাজ ছাড়া বাহির বের না হওয়া ভালো।
© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | জাগো২৪.নেট