রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৬ পূর্বাহ্ন

খানসামায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল না পেয়ে ফিরে গেলেন ১৮৬ কার্ডধারী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, জাগো২৪.নেট, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর)
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪

দিনাজপুরের খানসামায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল নিতে এসে না পেয়ে ফিরে গেছেন ১৮৬ জন কার্ডধারী। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এমন সময় চাল না পাওয়ায় ক্ষুদ্ধ ভুক্তভোগীরা। উপজেলা খাদ্য বিভাগের দাবি, অনলাইনে সমস্যার কারণে কার্ডধারীদের নাম চলতি মাসের তালিকার মাস্টাররোল থেকে বাদ পড়েছেন।

উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় তালিকাভুক্ত কার্ডধারীদের বছরে ৫ মাস ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল ভর্তুকির মাধ্যমে দেয়া হয়। গত সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৮ হাজার ৮৭৭ জন সুবিধাভোগী চাল পেলেও চলতি মাসে ৮ হাজার ৬৯১ জন চাল পেয়েছেন। তবে এবার আলোকঝাড়ী ইউনিয়নে ১২ জন, ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নে ৩ জন, আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নে ৩৬ জন, খামারপাড়া ইউনিয়নে ৪১ জন, ভাবকী ইউনিয়নে ৪৩ জন ও গোয়ালডিহি ইউনিয়নে ৫১ জন সুবিধাভোগী এবার চাল পাননি।
গত ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার আঙ্গারপাড়া ও গোয়ালডিহি ইউনিয়ন পরিষদ ঘুরে দেখা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে চাল বিতরণ কার্যক্রম চলছে। এ সময় কিছু কার্ডধারী চাল নিতে এসে অনলাইনের তালিকায় তাদের নাম না পেয়ে খালি হাতে ফেরত চলে যান। যাদের এ মাসের তালিকায় নাম নেই, তাদের কার্ডের ফটোকপি জমা নিচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত ব্যক্তিরা।

উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের কার্ডধারী সাইদুল ইসলাম বলেন, ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল পেয়ে সংসারের অনেক উপকার হয়। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে এক মাসের চাল তুলতে গিয়ে শুনি আমার চাল নেই। এতে আমাকে আর্থিকভাবে কষ্টে পড়তে হবে। ছাতিয়ানগড় গ্রামের কার্ডধারী নারায়ণ চন্দ্র রায় বলেন, অভাবের সংসারে দিনমজুরের কাজ করে ৬জন নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করি। তার ওপর দিনমজুরের কাজ রেখে চাল নিতে এসে ঘুরে যেতে হচ্ছে। এতে কষ্ট আরও বেশি হবে।

গোয়ালডিহি ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন লিটন বলেন, গত মটসে চাল পেলেও এ মাসে চাল নিতে এসে অনেকে ফেরত গেছেন। এ ঘটনায় সকলেই ক্ষুদ্ধ। তবে যারা ফেরত যাচ্ছেন তাদের কার্ডের ফটোকপি নেয়া হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে উপজেলা খাদৌ বিভাগের সঙ্গে তাদের বিষয়ে কথা বলা হবে।

খানসামা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মাসুদ রানা বলেন, অনলাইনে সমস্যার কারণে কিছু কার্ডধারী চলতি মাসের চাল পাননি। খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে যেন শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হয়। আগামীতে যেন এমন সমস্যা না হয় সেজন্য উপজেলা খাদ্য বিভাগ সজাগ ও তৎপর রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. তাজ উদ্দিন বলেন, চাল না পেয়ে কার্ডধারী ব্যক্তির ফেরত যাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | জাগো২৪.নেট

কারিগরি সহায়তায় : শাহরিয়ার হোসাইন