রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন

নৌকাই একমাত্র ভরসা

মো. রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, জাগো২৪.নেট, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর)
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪

মো. রফিকুল ইসলাম: স্বাধীনতার এত বছর পরেও দিনাজপুরের চিরিরবন্দর ও সদর উপজেলার হাজার হাজার মানুষকে এখনও আত্রাই নদী পারাপার হতে হচ্ছে নৌকা দিয়ে। চারদিকে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও আজও ফিরিঙ্গি ঘাটে কোনো সেতু নির্মাণ করা হয়নি। এ অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে আত্রাই নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসলেও আজও সাড়া পায়নি তারা। তবে ফিরিঙ্গি ঘাট পর্যন্ত সড়ক পাকা করা হয়েছে। দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সিঙ্গানগর ও সদরের ঝানজিরা গ্রামের মাঝে আত্রাই নদীর ফিরিঙ্গি ঘাটে সেতু নির্মিত হলে এই এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন হবে। এতে সব মানুষই উপকার পাবেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খরস্রোতা আত্রাি নদী বর্ষায় পাড় ভেঙে ফুলেফেঁপে উঠে এবং ভয়ংকর রুপ ধারণ করে থাকে। তখন নৌকায় পারাপার হতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ভয় পান। তারপরেও বাধ্য হয়ে নৌকাতেই তাদের পারাপার হতে হয়। আবার শুষ্ক মৌসুমে নদীর অর্ধেকে চর জেগে ওঠে। তখন বালুর চর হেঁটে কিছুদূর গিয়ে নৌকায় পার হতে হয়। এতে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থদের স্বজনরা বেশি দুর্ভোগে পড়েন। এ ফিরিঙ্গি ঘাট দিয়ে নৌকায় পারাপার হয় চিরিরবন্দর উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের কুশলপুর, গোন্দলগ্রাম, সিঙ্গানগর, নশরতপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ নশরতপুর, সাঁইতাড়া ইউনিয়নের খোচনা, চড়কডাঙ্গা, বাংলাবাজার এবং ওপারে দিনাজপুর সদর উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়ন ও ফাজিলপুর ইউনিয়নের বীরগাঁও, ঝানজিরা, রানীপুর, হরিরামপুর, ফুলবন, ঘোষপুরসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ।

চিরিরবন্দর উপজেলার কারেন্টহাট গামী আব্দুল ওয়াহেদ, সদর উপজেলার ঝানজিরার দবিরুল ইসলাম, ফারাজউদ্দিনসহ অনেকেই জানান, নদীর দুই দিকের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে নদী পারাপারে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। আবার ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কৃষকদের চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। বিকল্পপথে ৫ কিলোমিটার ঘুরে চিরিরবন্দর উপজেলার ভূষিরবন্দর কিংবা ৮-৯ কিলোমিটার ঘুরে কৃষাণবাজার হয়ে ঘুরে যেতে হয়। এতে খরচ ও সময় দুটোই বেশি লাগে। হোমিও চিকিৎসক সবুজ চন্দ্র রায় জানান, চিরিরবন্দর এবং দিনাজপুর সদর উপজেলার মাঝদিয়ে বয়ে যাওয়া খরস্রোতা আত্রাই নদীতে নৌকায় কৃষক, ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে থাকেন। অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, শিশু, বয়োবৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগীড়ের পারাপার করা যেমন ভীতিকর, তেমনি ঝুঁকিপূর্ণ।

ঘাটের ইজারাদার নৌকার মাঝি আনোয়ার হোসেন জানান, নিত্যদিন হাজারো মানুষ হয়। আমিও চাই আত্রাই নদীর এখানে একটি সেতু হোক। সেতু হলে এই এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান বদলে যাবে এবং সকল শ্রেণির মানুষই এতে উপকারিত হবেন।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | জাগো২৪.নেট

কারিগরি সহায়তায় : শাহরিয়ার হোসাইন