শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশেষ উৎসবকে ঘিরে কৃষকের মাঠে হরেক ফুলের উঁকি

গাইবান্ধা জেলার  ফুলের এলাকা হিসেবে অতি পরিচিত সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়ন। নিভৃত এ ইউনিয়নের মাঠে উঁকি দিচ্ছে নানা জাতের ফুল। আসন্ন বিশেষ কয়েকটি দিবসকে ঘিরে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছে এখানকার কৃষকরা।

সরেজমিনে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ইদিলপুর ইউনিয়নের তাজনগর, চকনদী, রাঘবেন্দপুর, কাঁঠাল লক্ষিপুর, এলাকার মাঠেজুড়ে দেখা যায়- নানা ফুলের সমাহার। এসময় ব্যস্ত সময় পার করছিলেন ফুলচাষিরা। সেইসঙ্গে মুগ্ধকর এই দৃশ্য দেখতে ক্ষেতে আসছেন ফুলমেপ্রমিরা। তারা তুলছেন মোবাইফোনে সেলফি।

কৃষি বিভাগ বলছে, এ উপজেলায় শতাধিক বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই রয়েছে ইদিলপুর ইউনিয়নে। এখানকার বেশ কিছু কৃষক প্রায় একযুগ থেকে অন্য ফসল ছেড়ে ফুল চাষে ঝুঁকে পড়েছে। চাষ করা হচ্ছে, চন্দ্রমল্লিকা গাদা, গ্লাডিওলাস, গোলাপ, ও রজনীগন্ধাসহ নানা জাতের ফুল। এখন হরেক ফুলে শোভা পাচ্ছে কৃষকের দিগন্ত মাঠ।

এদিকে, আসছে বসন্তবরণ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস। ফেব্রুয়ারি মাসের এই তিনটি দিবসকে ঘিরে ফুল চাষিদের বেড়েছে চরম ব্যস্ততা। ইতোমধ্যে অধিক ফুল বিক্রি ও লাভের পরিকল্পনায় ফুটন্ত ফুলগুলোকে ম্যাকিং পদ্ধতি যত্ন নিচ্ছে কৃষকরা।

ফুলচাষি আনিছুর, সবুজ ও আরিফ মিয়া জানান, তারা বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ করেছে লাভবান হচ্ছেন, আসছে কয়েকটি দিবসকে ঘিরে অধিক লাভের আশা করছেন। উৎপাদিত ফুলগুলো জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি ছাড়াও রংপুর ও ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারিতে বিক্রি করা হয়। স্বল্প ব্যয়ে ফুলচাষ করে অধিক লাভে ইতোমধ্যে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন বলে জানালেন এই কৃষকরা।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, ইদিলপুর এলাকায় মাটি ফুল চাষে অত্যন্ত উপযোগী। তাই কৃষকরা ফুল চাষ করে যথেষ্ট লাভবান হচ্ছে। তাদের আরও লাভবান করতে সর্বাত্নকভাবে সহযোগীতা করা হচ্ছে।

 

জাগো/জাকির

জনপ্রিয়

বিশেষ উৎসবকে ঘিরে কৃষকের মাঠে হরেক ফুলের উঁকি

প্রকাশের সময়: ০৪:৫৩:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গাইবান্ধা জেলার  ফুলের এলাকা হিসেবে অতি পরিচিত সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়ন। নিভৃত এ ইউনিয়নের মাঠে উঁকি দিচ্ছে নানা জাতের ফুল। আসন্ন বিশেষ কয়েকটি দিবসকে ঘিরে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছে এখানকার কৃষকরা।

সরেজমিনে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ইদিলপুর ইউনিয়নের তাজনগর, চকনদী, রাঘবেন্দপুর, কাঁঠাল লক্ষিপুর, এলাকার মাঠেজুড়ে দেখা যায়- নানা ফুলের সমাহার। এসময় ব্যস্ত সময় পার করছিলেন ফুলচাষিরা। সেইসঙ্গে মুগ্ধকর এই দৃশ্য দেখতে ক্ষেতে আসছেন ফুলমেপ্রমিরা। তারা তুলছেন মোবাইফোনে সেলফি।

কৃষি বিভাগ বলছে, এ উপজেলায় শতাধিক বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই রয়েছে ইদিলপুর ইউনিয়নে। এখানকার বেশ কিছু কৃষক প্রায় একযুগ থেকে অন্য ফসল ছেড়ে ফুল চাষে ঝুঁকে পড়েছে। চাষ করা হচ্ছে, চন্দ্রমল্লিকা গাদা, গ্লাডিওলাস, গোলাপ, ও রজনীগন্ধাসহ নানা জাতের ফুল। এখন হরেক ফুলে শোভা পাচ্ছে কৃষকের দিগন্ত মাঠ।

এদিকে, আসছে বসন্তবরণ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস। ফেব্রুয়ারি মাসের এই তিনটি দিবসকে ঘিরে ফুল চাষিদের বেড়েছে চরম ব্যস্ততা। ইতোমধ্যে অধিক ফুল বিক্রি ও লাভের পরিকল্পনায় ফুটন্ত ফুলগুলোকে ম্যাকিং পদ্ধতি যত্ন নিচ্ছে কৃষকরা।

ফুলচাষি আনিছুর, সবুজ ও আরিফ মিয়া জানান, তারা বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ করেছে লাভবান হচ্ছেন, আসছে কয়েকটি দিবসকে ঘিরে অধিক লাভের আশা করছেন। উৎপাদিত ফুলগুলো জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি ছাড়াও রংপুর ও ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারিতে বিক্রি করা হয়। স্বল্প ব্যয়ে ফুলচাষ করে অধিক লাভে ইতোমধ্যে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন বলে জানালেন এই কৃষকরা।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, ইদিলপুর এলাকায় মাটি ফুল চাষে অত্যন্ত উপযোগী। তাই কৃষকরা ফুল চাষ করে যথেষ্ট লাভবান হচ্ছে। তাদের আরও লাভবান করতে সর্বাত্নকভাবে সহযোগীতা করা হচ্ছে।

 

জাগো/জাকির