অল্প সময়েই লাভের আশায় উত্তর আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাষকৃত ফসল স্কোয়াশ এখন দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে চাষ করে বাজিমাত করেছেন তরুণ চাষি মাহাফুজুর রহমান (২৫)। বিদেশি সবজি স্কোয়াশ ও ক্যাপসিকাম পরীক্ষামূলক চাষেই সফলতা পেয়েছেন তিনি। নিজের গ্রামের জমিতে বিদেশি এই সবজির ফলন কেমন হয় তা দেখতে পরীক্ষামূলকভাবে চাষবাদ শুরু করেছেন। চাষাবাদে ভালো ফলন হওয়ায় বিদেশি সবজি চাষের আগ্রহ বেড়েছে তার। মাত্র তিন মাসেই লাভের আশা করছেন তিনি। ইতোমধ্যে চাষের স্কোয়াশ বিক্রি করে লাভের মুখ দেখেছেন। আরো বড় পরিসরে স্কোয়াশ চাষ করবেন বলে আশাপোষণ করেন তিনি।
মাহাফুজুর রহমান চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের জোত সাতনালা গ্রামের পূর্ব মÐলপাড়ার মোকছেদ আলীর ছেলে। তার বাবাও একজন কৃষক। তিনি ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের গণিত বিভাগে অনার্সের শিক্ষার্থী। কৃষির ওপর প্রবল ঝোঁক থেকেই ইন্টারনেট থেকে শিখে সবজি নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি।
তরুণ চাষি মাহাফুজুর রহমান জানান, দিনাজপুর শহর থেকে বীজ সংগ্রহ করে তার বাবার মাত্র ৬ শতক জমিতে স্কোয়াশ এবং ২ শতক জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেন। চাষাবাদ শুরুর তিন মাসেই তার ক্ষেতে স্কোয়াশের ব্যাপক ফল আসে। পাশাপাশি রোপিত ক্যাপসিকামের গাছেও ফুল এসেছে। চাষাবাদের উপযুক্ত প্রচুর জমি আছে এ অঞ্চলে।
নিয়ম মেনে চাষাবাদ করায় ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। তরুণ এই উদ্যোক্তা জানান, পরীক্ষামূলক চাষাবাদে তার আশাতীত ফলন এসেছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় পাইকারি বাজারে ১৫/১৬ টাকা দরে প্রতি পিস স্কোয়াশ বিক্রি করছেন। এ জমি থেকে সপ্তাহে ২/৩ বার করে স্কোয়াশ তুলছেন। প্রতিবারই কমপক্ষে ১০০ পিস করে স্কোয়াশ তুলেন।
এ জমিতে চাষাবাদের শুরু থেকে ফলন আসা পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। এ পর্যন্ত তিনি ১০ হাজার টাকার স্কোয়াশ বিক্রি করেছেন। আধুনিক চাষাবাদ নিয়ে জানার জন্য ইউটিউবে স্কোয়াশ চাষ দেখেই গ্রামে এসে শুরু করেন চাষাবাদ। বিদেশি সবজি চাষে সফলতায় তরুণ এই উদ্যোক্তাকে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে আরো বড় পরিসরে স্কোয়াশ চাষ করার।
মাহাফুজুর রহমান জাগো২৪.নেট-কে আরো জানান, অত্যন্ত সুস্বাদু স্কোয়াশ দেখতে অনেকটা শশা ও মিষ্টি কুমড়া আকৃতির। উচ্চ ফলনশীল জাতের এ সবজি ভাজি, মাছ ও মাংসের তরকারিতে রান্নার উপযোগী, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এছাড়া এটি সালাদ হিসেবেও খাওয়া যায়। স্কোয়াশ শীতকালীন সবজি।
চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাহমুদুল হাসান জাগো২৪.নেট-কে বলেন, স্কোয়াশ সবজি জাতীয় ফসল। যা কুমড়া ও ধুন্দল জাতীয় ফসলের ক্রস। দেশের প্রচলিত কোনো সবজির এমন উৎপাদন ক্ষমতা নেই। স্কোয়াশ চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে কৃষি অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন তিনি
নিজস্ব প্রতিবেদক 
























