রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সজিনা ২০০ ও করলা ১২০ টাকা কেজি!

গাইবান্ধায় হুহু করে বাড়ছে ভোগ্যপণ্যের দাম। লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে বেকায়দায় পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষেরা। বর্তমান বাজারে প্রতিকেজি সজিনা ২০০ টাকা ও করলা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায় ।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিকেলে গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজারে দেখা গেছে সজিনা-করলাসহ বিভিন্ন শাক-সবজির আস্বাভাবিক দাম। এরপ্রভাবে অস্থির হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো। তাদের বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে ।

এছাড়া ভোজ্যতেল, মসলা ও জ্বালানী গ্যাসের দামসহ নিত্যপন্যের দামও বেড়েছে আকাশচুম্বি। এসব দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি পরিস্থিতিতে নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষ। সবকিছুর অস্বাভাবিক দামে সাধারণ ভোক্তাদের মধ্যে ফের হয়েছে নিরব দুর্ভিক্ষ।

এদিকে, বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দফায় দফায় লকডাউন আর বিভিন্ন বিধি-নিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির কারনে কর্মহীন হয়ে পড়ে শ্রমজীবি মানুষেরা। সেই সঙ্গে নদীবেষ্টিত গাইবান্ধায় বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগ যেন নিত্যসঙ্গী। এরপ্রভাবে মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের পরিবারগুলো চরম আর্থিক সংকটে পড়ে। ইতোমধ্যে মধ্যে হুহু করে বেড়ে চলেছে ভোগ্যপণ্য কিংবা নিত্যপণ্য ও বিভিন্ন জিনিসিপত্রের দাম। এমন দামের কারনে একেবারই বেসামাল সাধারণ মানুষেরা। দিনদিন তাদের ব্যয় বাড়লেও, বাড়ছে না আয়-রোজগার। ফলে সংসার চলাতে হাঁসফাঁস উঠেছে তাদের।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের জীবনযাপনে প্রচণ্ড আঘাত হানতে শুরু করেছে। অধিক দামে পণ্যসামগ্রী কেনা ভুক্তভোগিদের বোবা কান্না যেনো দেখার কেউ নেই। অস্থির এই বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের সঠিক তদারকি না থাকলে সাধারণ মানুষ আরও বেকায়দায় পড়তে পারে বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে।

সাদেকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি জানান, ৫০০ গ্রাম সজিনা ১০০ টাকায়  ও ২৫০ গ্রাম করলা ৩০ টাকায় কিনেছেন। যেভাবে ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে, সেতুলনায় আয় বাড়েনি তার। এতে করে পরিবারের চাহিদা পূরণে বাড়ছে ঋণের বোঝা।

স্থানীয় এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান গত মাসের  ব্যবধানে সজিনা, করলা ও  চাল-ডাল-তেল-মসলাসহ সব ধরনের জিনিপত্রের দাম বেড়েছে। এতে করে ক্রেতা সাধারণের মধ্যে ক্ষুব্ধতা দেখা দিয়েছে।

গাইবান্ধার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে তদারকি অব্যাহত রয়েছে। যারা কৃত্রিম সংকট বা অতিরিক্ত দামে খাদ্যপণ্য বিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখার লক্ষ্যে   বৃহস্পতিবার টিসিবি’র পণ্যাদি বিক্রয়ের লক্ষ্যে ডিলারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে।

 

 

জনপ্রিয়

সজিনা ২০০ ও করলা ১২০ টাকা কেজি!

প্রকাশের সময়: ০৫:১১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২

গাইবান্ধায় হুহু করে বাড়ছে ভোগ্যপণ্যের দাম। লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে বেকায়দায় পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষেরা। বর্তমান বাজারে প্রতিকেজি সজিনা ২০০ টাকা ও করলা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায় ।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিকেলে গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজারে দেখা গেছে সজিনা-করলাসহ বিভিন্ন শাক-সবজির আস্বাভাবিক দাম। এরপ্রভাবে অস্থির হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো। তাদের বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে ।

এছাড়া ভোজ্যতেল, মসলা ও জ্বালানী গ্যাসের দামসহ নিত্যপন্যের দামও বেড়েছে আকাশচুম্বি। এসব দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি পরিস্থিতিতে নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষ। সবকিছুর অস্বাভাবিক দামে সাধারণ ভোক্তাদের মধ্যে ফের হয়েছে নিরব দুর্ভিক্ষ।

এদিকে, বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দফায় দফায় লকডাউন আর বিভিন্ন বিধি-নিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির কারনে কর্মহীন হয়ে পড়ে শ্রমজীবি মানুষেরা। সেই সঙ্গে নদীবেষ্টিত গাইবান্ধায় বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগ যেন নিত্যসঙ্গী। এরপ্রভাবে মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের পরিবারগুলো চরম আর্থিক সংকটে পড়ে। ইতোমধ্যে মধ্যে হুহু করে বেড়ে চলেছে ভোগ্যপণ্য কিংবা নিত্যপণ্য ও বিভিন্ন জিনিসিপত্রের দাম। এমন দামের কারনে একেবারই বেসামাল সাধারণ মানুষেরা। দিনদিন তাদের ব্যয় বাড়লেও, বাড়ছে না আয়-রোজগার। ফলে সংসার চলাতে হাঁসফাঁস উঠেছে তাদের।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের জীবনযাপনে প্রচণ্ড আঘাত হানতে শুরু করেছে। অধিক দামে পণ্যসামগ্রী কেনা ভুক্তভোগিদের বোবা কান্না যেনো দেখার কেউ নেই। অস্থির এই বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের সঠিক তদারকি না থাকলে সাধারণ মানুষ আরও বেকায়দায় পড়তে পারে বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে।

সাদেকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি জানান, ৫০০ গ্রাম সজিনা ১০০ টাকায়  ও ২৫০ গ্রাম করলা ৩০ টাকায় কিনেছেন। যেভাবে ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে, সেতুলনায় আয় বাড়েনি তার। এতে করে পরিবারের চাহিদা পূরণে বাড়ছে ঋণের বোঝা।

স্থানীয় এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান গত মাসের  ব্যবধানে সজিনা, করলা ও  চাল-ডাল-তেল-মসলাসহ সব ধরনের জিনিপত্রের দাম বেড়েছে। এতে করে ক্রেতা সাধারণের মধ্যে ক্ষুব্ধতা দেখা দিয়েছে।

গাইবান্ধার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে তদারকি অব্যাহত রয়েছে। যারা কৃত্রিম সংকট বা অতিরিক্ত দামে খাদ্যপণ্য বিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখার লক্ষ্যে   বৃহস্পতিবার টিসিবি’র পণ্যাদি বিক্রয়ের লক্ষ্যে ডিলারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে।