শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রঙিন স্লিপে হাসি ফুটেছে দুলুর

দুলু মিয়া (৩০)। দুর্বীষহ জীবনযাপন। আসছে ঈদে পেটভরে খাবেন কিন্তু ঘরে নেই চাল। এই চিন্তায় ছুটছিলেন এদিক-সেদিক।  এরই মধ্যে পেলেন রঙিন একটি স্লিপ। ভিজিএফ’র এই স্লিপে কপালে জোটেছে ১০ কেজি চাল। এতেই তার মুখে ফুটেছে অট্রহাসি।

শুক্রবার (৮ জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর ‍উপজেলার জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ভিজিএফ’র চাল বিতরণকালে দেখা হয় দুস্থ পরিবারের এই দুলু মিয়ার। ১০ কেজি চালের একটি লাল স্লিপ হাতে লাইনে দাঁড়িয়ে হাসছিলেন। যেনো চাল পাওয়ার আনন্দে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন তিনি।

দুলু মিয়ার বাড়ি ওই ইউনিয়নের পাতিল্যাকুড়া গ্রামে। এই গ্রামের অতিদরিদ্র খুশি মিয়ার ছেলে। কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন বটে। বাবার হাড়িতে কোনমতে জীবিকা নির্বাহ। দিনমজুর হিসেবে কাজে আগ্রহী থাকলেও শারীক অক্ষমতার কারনে কেউ তাকে ডাকেন না। তবুও চেষ্টা করেন রোজগারের। কোথাও সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ কিংবা রিলিফের খোঁজ জানলে ছুটে যান সেখানে। ওইসব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল বা জনপ্রতিনিধির কাছে উপস্থাপন করেন তার অভাব-অনটনের কথা। তাই অনেকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দুলুকে সাহায্য করার চেষ্টা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় জামালপুর ইউনিয়ন জনপ্রতিনিধিরা দুলু মিয়াকে একটি ভিজিএফ’র স্লিপ দিয়েছেন। এই স্লিপ দিয়ে ১০ কেজি চাল পেলেন তিনি।

এ বিষয়ে দুলু মিয়া বলেন, হামরা গরীব মনুষ। ঘরত চাউল থাকে না। চেয়ারম্যান-মেম্বরেরা আজ হামাক ১০ সের চাউল দিলো। একন মোক খুব ভালো নাগছে বাহে।

জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মন্ডল জানান, ঈদুল আযহা উপলক্ষে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় দুস্থদের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। ৪ হাজার ৩০০ দুস্থ মানুষের মধ্যে দুলু মিয়াও একজন সুবিধাভোগি।

জনপ্রিয়

রঙিন স্লিপে হাসি ফুটেছে দুলুর

প্রকাশের সময়: ০৪:৫৭:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জুলাই ২০২২

দুলু মিয়া (৩০)। দুর্বীষহ জীবনযাপন। আসছে ঈদে পেটভরে খাবেন কিন্তু ঘরে নেই চাল। এই চিন্তায় ছুটছিলেন এদিক-সেদিক।  এরই মধ্যে পেলেন রঙিন একটি স্লিপ। ভিজিএফ’র এই স্লিপে কপালে জোটেছে ১০ কেজি চাল। এতেই তার মুখে ফুটেছে অট্রহাসি।

শুক্রবার (৮ জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর ‍উপজেলার জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ভিজিএফ’র চাল বিতরণকালে দেখা হয় দুস্থ পরিবারের এই দুলু মিয়ার। ১০ কেজি চালের একটি লাল স্লিপ হাতে লাইনে দাঁড়িয়ে হাসছিলেন। যেনো চাল পাওয়ার আনন্দে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন তিনি।

দুলু মিয়ার বাড়ি ওই ইউনিয়নের পাতিল্যাকুড়া গ্রামে। এই গ্রামের অতিদরিদ্র খুশি মিয়ার ছেলে। কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন বটে। বাবার হাড়িতে কোনমতে জীবিকা নির্বাহ। দিনমজুর হিসেবে কাজে আগ্রহী থাকলেও শারীক অক্ষমতার কারনে কেউ তাকে ডাকেন না। তবুও চেষ্টা করেন রোজগারের। কোথাও সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ কিংবা রিলিফের খোঁজ জানলে ছুটে যান সেখানে। ওইসব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল বা জনপ্রতিনিধির কাছে উপস্থাপন করেন তার অভাব-অনটনের কথা। তাই অনেকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দুলুকে সাহায্য করার চেষ্টা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় জামালপুর ইউনিয়ন জনপ্রতিনিধিরা দুলু মিয়াকে একটি ভিজিএফ’র স্লিপ দিয়েছেন। এই স্লিপ দিয়ে ১০ কেজি চাল পেলেন তিনি।

এ বিষয়ে দুলু মিয়া বলেন, হামরা গরীব মনুষ। ঘরত চাউল থাকে না। চেয়ারম্যান-মেম্বরেরা আজ হামাক ১০ সের চাউল দিলো। একন মোক খুব ভালো নাগছে বাহে।

জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মন্ডল জানান, ঈদুল আযহা উপলক্ষে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় দুস্থদের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। ৪ হাজার ৩০০ দুস্থ মানুষের মধ্যে দুলু মিয়াও একজন সুবিধাভোগি।