শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অধরায় থাকল স্বপ্ন 

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বেধে দেওয়ার সময়েও বাস্তবায়ন না হওয়ায় উপজেলাবাসীর স্বপ্ন অধরায় থাকার আশংকা দেখা দিয়েছে। ফলে বাস্তবায়নাধীন মেঘা প্রকল্পের ৬ লক্ষ সুফলভোগী ভোগান্তীক্রমেই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতম হচ্ছে। ২০১৩ সালে ৩১ ডিসেম্বর বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলার পশ্চিমে সীমান্ত ঘেষা করতোয়া নদীতে টুকুরিয়া ইউনিয়নের জয়ন্তীপুর ঘাট এবং চতরা ইউনিয়নের নুনদহ ঘাটে দুটি ব্রীজ নির্মানে প্রতিশ্রুতি দেন।

এরই ধারাবাহিকতায় পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ শীর্ষ প্রকল্পের আওতায় উক্ত স্থানে দুটি ব্রীজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ২০১৯ সালে ২২শে ফেব্রæয়ারী পীরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য মহান জাতীয় সংসদের অভিভাবক ড: শিরিন শারমিন চৌধুরী ব্রীজ দুটির ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন। প্রকল্পটি ২০২০ সালের ৬ই ডিসেম্বর ৯১৫ দিনে সমাপ্তির মেয়াদকাল থাকলেও বর্তমানে প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তথ্য সূত্রে জানা গেছে নুনদহ ঘাটে ২৭ কোটি ২২ লক্ষ টাকা ও জয়ন্তীপুর ঘাটে ২৯ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা নির্মাণ ব্যয় ধরে কাজ শুরু করা হয়। এই প্রকল্প স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর তদারকী করছেন। ৩০১ মিটার দৈর্ঘ্য ৯.৮ মিটার প্রস্থ সেতু নির্মানের জন্য পিপিএলকিউসিজেডি নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ব্রীজ দুটি নির্মান কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন। সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পেয়েই ৭৬ টি পাইল, ২৮ টি গার্ডার ও ৭ টি স্পান হবে বলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বিরামহীনভাবে কাজ চলে আসছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই গতি হারিয়ে গিয়ে মুখ থুবরে পড়েছে সেতু নির্মাণের কাজ। অথচ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পীরগঞ্জ ও ঘোড়াঘাট উপজেলার মাঝে সেতু বন্ধনের সৃষ্টি হয়ে দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর থেকে পন্য পরিবহন, ব্যবস বাণিজ্য, কৃষি পন্য যাতায়াতের সুবিধাসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি বাস্তাবায়ন সহ সেতুর দুই পাড়ের ৬ লক্ষ লোকের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে।

২০২০ সালে ৯ই ফেব্রæয়ারী নুনদহ ঘাটের ব্রীজটি প্রথম স্পামের কাজ দৃশ্যমান হলেও বর্তমানে সেতু দুটি নির্মানে চূড়ান্ত সময় চলে গেলেও প্রায় স্থবির নির্মান কাজ। এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্তর নিকট থেকে জানা যায়। জয়ন্তীপুর ব্রীজটি ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ এবং নুনদহ ব্রীজটি ২২শে অক্টোবর পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল হক এর নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন বর্ধিত সময়ের মধ্যেও কাজটি সম্পন্ন করা যাবে না । তবে আমি সার্বক্ষণিক চেষ্টা করব দ্রæততম সময়ের মধ্যে ব্রীজ দুটি নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা। এ বিষয়ে উপজেল প্রকৌশলী মশিউর রহমান সাহেবের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোনটি রিসিভ না করেই সংয়োগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এ দিকে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষার্থী , কৃষক সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা বলেন দ্রুততম সময়ের মধ্যেই ব্রীজ দুটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন সহ এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।

জনপ্রিয়

অধরায় থাকল স্বপ্ন 

প্রকাশের সময়: ০৪:৫৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বেধে দেওয়ার সময়েও বাস্তবায়ন না হওয়ায় উপজেলাবাসীর স্বপ্ন অধরায় থাকার আশংকা দেখা দিয়েছে। ফলে বাস্তবায়নাধীন মেঘা প্রকল্পের ৬ লক্ষ সুফলভোগী ভোগান্তীক্রমেই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতম হচ্ছে। ২০১৩ সালে ৩১ ডিসেম্বর বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলার পশ্চিমে সীমান্ত ঘেষা করতোয়া নদীতে টুকুরিয়া ইউনিয়নের জয়ন্তীপুর ঘাট এবং চতরা ইউনিয়নের নুনদহ ঘাটে দুটি ব্রীজ নির্মানে প্রতিশ্রুতি দেন।

এরই ধারাবাহিকতায় পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ শীর্ষ প্রকল্পের আওতায় উক্ত স্থানে দুটি ব্রীজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ২০১৯ সালে ২২শে ফেব্রæয়ারী পীরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য মহান জাতীয় সংসদের অভিভাবক ড: শিরিন শারমিন চৌধুরী ব্রীজ দুটির ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন। প্রকল্পটি ২০২০ সালের ৬ই ডিসেম্বর ৯১৫ দিনে সমাপ্তির মেয়াদকাল থাকলেও বর্তমানে প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তথ্য সূত্রে জানা গেছে নুনদহ ঘাটে ২৭ কোটি ২২ লক্ষ টাকা ও জয়ন্তীপুর ঘাটে ২৯ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা নির্মাণ ব্যয় ধরে কাজ শুরু করা হয়। এই প্রকল্প স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর তদারকী করছেন। ৩০১ মিটার দৈর্ঘ্য ৯.৮ মিটার প্রস্থ সেতু নির্মানের জন্য পিপিএলকিউসিজেডি নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ব্রীজ দুটি নির্মান কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন। সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পেয়েই ৭৬ টি পাইল, ২৮ টি গার্ডার ও ৭ টি স্পান হবে বলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বিরামহীনভাবে কাজ চলে আসছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই গতি হারিয়ে গিয়ে মুখ থুবরে পড়েছে সেতু নির্মাণের কাজ। অথচ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পীরগঞ্জ ও ঘোড়াঘাট উপজেলার মাঝে সেতু বন্ধনের সৃষ্টি হয়ে দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর থেকে পন্য পরিবহন, ব্যবস বাণিজ্য, কৃষি পন্য যাতায়াতের সুবিধাসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি বাস্তাবায়ন সহ সেতুর দুই পাড়ের ৬ লক্ষ লোকের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে।

২০২০ সালে ৯ই ফেব্রæয়ারী নুনদহ ঘাটের ব্রীজটি প্রথম স্পামের কাজ দৃশ্যমান হলেও বর্তমানে সেতু দুটি নির্মানে চূড়ান্ত সময় চলে গেলেও প্রায় স্থবির নির্মান কাজ। এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্তর নিকট থেকে জানা যায়। জয়ন্তীপুর ব্রীজটি ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ এবং নুনদহ ব্রীজটি ২২শে অক্টোবর পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল হক এর নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন বর্ধিত সময়ের মধ্যেও কাজটি সম্পন্ন করা যাবে না । তবে আমি সার্বক্ষণিক চেষ্টা করব দ্রæততম সময়ের মধ্যে ব্রীজ দুটি নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা। এ বিষয়ে উপজেল প্রকৌশলী মশিউর রহমান সাহেবের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোনটি রিসিভ না করেই সংয়োগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এ দিকে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষার্থী , কৃষক সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা বলেন দ্রুততম সময়ের মধ্যেই ব্রীজ দুটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন সহ এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।