বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাখি পালনে স্বাবলম্বী কলেজছাত্র রকি

শখের বসে বিদেশি পাখি পালনে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে দিনাজপুরের হিলিতে কলেজ পড়ুয়া ছাত্র রকি খান। এবারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উন্নয়ন মেলাই রকি প্রথম পুরষ্কার পেয়েছেন।
৬ বছর আগে শখের বসে দুই জোড়া বিদেশি পাখি দিয়ে রকি শুরু করেন পাখি পালন। শখ পুরনের পাশাপাশি সে একজন পাখি ব্যবসায়ী হয় যায়। লিখাপড়ার সাথে সে বিদেশি একটা পাখির খামারও তৈরি করে ফেলেন। সেই সাথে হিলি বাজারে একটি পাখির দোকানও দেন রকি। দুর-দুরান্ত থেকে তার দোকান থেকে পাখি নিতে আসে ক্রেতারা।
রকির খামার এবং দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ১২ প্রজাতির বিদেশি ৬০ জোড়া পাখি আছে। এসবের পাশাপাশি বাড়িতে ২৫০ থেকে ৩০০ টি দেশি কোয়েল পাখি রয়েছ। যা থেকে প্রতিদিন ২০০ টি ডিম পায় সে। প্রতিটি ডিম দুই টাকা দরে বিক্রি করেন রকি। তা থেকে প্রতিদিন ৪০০ টাকা আয় আসে তার। প্রতিদিন পাখিদের পিছোনে ব্যয় হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।
হিলি বাজারে রকির বিদেশি পাখির দোকানে গিয়ে দেখা যায়, ১২ প্রকার বিদেশি পাখি বাজারিকা, যার মুল্য ৫০০ টাকা জোড়া, প্রিন্সপাখি, যার মুল্য ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা জোড়া, খোকাটেল, যার মুল্য ৫০০০ এবং বুড়ানি মুল্য ১০,০০০ টাকা জোড়া, লাবাট্রি, যার মুল্য ৫০০০ টাকা জোড়া, লাভাপাখি, যার মুল্য ৩০০০ টাকা জোড়া,অস্ট্রেলিয়া ঘুঘু, যার মুল্য ১৫০০ টাকা জোড়া, ডায়মন্ড ডাব, যার মুল্য ২০০০ টাকা জোড়া ও দেশি কোয়েল, যার মুল্য ১০০ টাকা জোড়। এসব পাখিদের খাওয়ানো হয়, কাউনের চাল, ধান,চিনি, সুর্যমুখী ফুলের বিজ, ক্যানাবি, মিলেট, বুজিটিল ও নিসি জাতীয় খাবার।
রকি খান একজন কলেজ পড়ুয়া ছাত্র, সে অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র। গেলো করোনা মহামরিতে কলেজ বন্ধ থাকলেও তার সময় বেশ ভাল কেটেছে। কেন না তার রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশি পাখি। লকডাউনে বাড়িতে এসব প্রাণিদের মধ্যে নিজে হারিয়ে ফেলেছিলো। সময়গুলো তার ব্যস্ততা ও আনন্দের মাঝে কেটেছে।
রকির বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, শখের বসে আমার ছেলে দুই জোড়া বিদেশি পাখি সংগ্রহ করে। উদ্দেশ্য ছিলো তা দিয়ে পশু পালনের শখ পুরন করবে। পরে তা থেকে অনেক বাচ্চা ফুটে এবং সে তা বিক্রি করে অনেক লাভবান হয়। তারপর থেকে রকি বিভিন্ন স্থান থেকে এসব পাখি জোগার করে ব্যবসা মনোনিবেশ হয়।
কলেজ ছাত্র রকি বলেন, শখ থেকে ব্যবসা শুরু আমার। লিখাপড়ার পাশাপাশি বিদেশি পাখি খামার তৈরি করেছি। হিলি বাজারে তা বেচাবিক্রির জন্য একটি দোকানও দিয়েছি। প্রতিদিন এই পাখি দ্বারা যা আয় হয়, তাদিয়ে পরিবারকে সহযোগীতা সহ লিখাপড়ার দিয়েও আমি ভাল চলছি। হাকিমপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে আমাকে প্রতিনিয়ত সহযোগীতা করে আসছেন। পাখিদের শারীরিক কোন সমস্যা দেখা দিলে তারা আমার খামারিতে আসেন এবং সুচিকিৎসা দিয়ে যান।
এবিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা সেলিম শেখ জাগো২৪.নেট-কে  বলেন, রকির বিদেশি পাখির খামারের প্রতি আমরা সব সময় লক্ষ রাখি। পাখিদের যে কোন সমস্যা হলে আমাদের কর্মীরা তার খামারি দেখভাল করেন। তার খামারিতে প্রায় ১২ প্রজাতি বিদেশি পাখি রয়েছে। সে একজন ছাত্র হয়ে পাখি পালনে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে, এটা একটা ভাল উদ্যোগ।
তিনি আরও বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর হাকিমপুর উপজেলায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই মেলাই রকির বিদেশি পাখির খামারকে প্রথম করে, প্রথম পুরষ্কারটি তার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

পাখি পালনে স্বাবলম্বী কলেজছাত্র রকি

প্রকাশের সময়: ০৩:০৫:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
শখের বসে বিদেশি পাখি পালনে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে দিনাজপুরের হিলিতে কলেজ পড়ুয়া ছাত্র রকি খান। এবারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উন্নয়ন মেলাই রকি প্রথম পুরষ্কার পেয়েছেন।
৬ বছর আগে শখের বসে দুই জোড়া বিদেশি পাখি দিয়ে রকি শুরু করেন পাখি পালন। শখ পুরনের পাশাপাশি সে একজন পাখি ব্যবসায়ী হয় যায়। লিখাপড়ার সাথে সে বিদেশি একটা পাখির খামারও তৈরি করে ফেলেন। সেই সাথে হিলি বাজারে একটি পাখির দোকানও দেন রকি। দুর-দুরান্ত থেকে তার দোকান থেকে পাখি নিতে আসে ক্রেতারা।
রকির খামার এবং দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ১২ প্রজাতির বিদেশি ৬০ জোড়া পাখি আছে। এসবের পাশাপাশি বাড়িতে ২৫০ থেকে ৩০০ টি দেশি কোয়েল পাখি রয়েছ। যা থেকে প্রতিদিন ২০০ টি ডিম পায় সে। প্রতিটি ডিম দুই টাকা দরে বিক্রি করেন রকি। তা থেকে প্রতিদিন ৪০০ টাকা আয় আসে তার। প্রতিদিন পাখিদের পিছোনে ব্যয় হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।
হিলি বাজারে রকির বিদেশি পাখির দোকানে গিয়ে দেখা যায়, ১২ প্রকার বিদেশি পাখি বাজারিকা, যার মুল্য ৫০০ টাকা জোড়া, প্রিন্সপাখি, যার মুল্য ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা জোড়া, খোকাটেল, যার মুল্য ৫০০০ এবং বুড়ানি মুল্য ১০,০০০ টাকা জোড়া, লাবাট্রি, যার মুল্য ৫০০০ টাকা জোড়া, লাভাপাখি, যার মুল্য ৩০০০ টাকা জোড়া,অস্ট্রেলিয়া ঘুঘু, যার মুল্য ১৫০০ টাকা জোড়া, ডায়মন্ড ডাব, যার মুল্য ২০০০ টাকা জোড়া ও দেশি কোয়েল, যার মুল্য ১০০ টাকা জোড়। এসব পাখিদের খাওয়ানো হয়, কাউনের চাল, ধান,চিনি, সুর্যমুখী ফুলের বিজ, ক্যানাবি, মিলেট, বুজিটিল ও নিসি জাতীয় খাবার।
রকি খান একজন কলেজ পড়ুয়া ছাত্র, সে অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র। গেলো করোনা মহামরিতে কলেজ বন্ধ থাকলেও তার সময় বেশ ভাল কেটেছে। কেন না তার রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশি পাখি। লকডাউনে বাড়িতে এসব প্রাণিদের মধ্যে নিজে হারিয়ে ফেলেছিলো। সময়গুলো তার ব্যস্ততা ও আনন্দের মাঝে কেটেছে।
রকির বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, শখের বসে আমার ছেলে দুই জোড়া বিদেশি পাখি সংগ্রহ করে। উদ্দেশ্য ছিলো তা দিয়ে পশু পালনের শখ পুরন করবে। পরে তা থেকে অনেক বাচ্চা ফুটে এবং সে তা বিক্রি করে অনেক লাভবান হয়। তারপর থেকে রকি বিভিন্ন স্থান থেকে এসব পাখি জোগার করে ব্যবসা মনোনিবেশ হয়।
কলেজ ছাত্র রকি বলেন, শখ থেকে ব্যবসা শুরু আমার। লিখাপড়ার পাশাপাশি বিদেশি পাখি খামার তৈরি করেছি। হিলি বাজারে তা বেচাবিক্রির জন্য একটি দোকানও দিয়েছি। প্রতিদিন এই পাখি দ্বারা যা আয় হয়, তাদিয়ে পরিবারকে সহযোগীতা সহ লিখাপড়ার দিয়েও আমি ভাল চলছি। হাকিমপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে আমাকে প্রতিনিয়ত সহযোগীতা করে আসছেন। পাখিদের শারীরিক কোন সমস্যা দেখা দিলে তারা আমার খামারিতে আসেন এবং সুচিকিৎসা দিয়ে যান।
এবিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা সেলিম শেখ জাগো২৪.নেট-কে  বলেন, রকির বিদেশি পাখির খামারের প্রতি আমরা সব সময় লক্ষ রাখি। পাখিদের যে কোন সমস্যা হলে আমাদের কর্মীরা তার খামারি দেখভাল করেন। তার খামারিতে প্রায় ১২ প্রজাতি বিদেশি পাখি রয়েছে। সে একজন ছাত্র হয়ে পাখি পালনে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে, এটা একটা ভাল উদ্যোগ।
তিনি আরও বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর হাকিমপুর উপজেলায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই মেলাই রকির বিদেশি পাখির খামারকে প্রথম করে, প্রথম পুরষ্কারটি তার হাতে তুলে দেওয়া হয়।