শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনা বাড়লে অনলাইনে শিক্ষা চালু রাখতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘করোনা কখনও কমছেকখনও বাড়ছে। শীতে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়লে অনলাইনে শিক্ষা চালু রাখতে হবে। এর জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা ব্যবস্থা করব।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ এবং ২০২২ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের দিনটা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলাফল ঘোষণা পাশাপাশি নতুন বছরের নতুন বই দেয়া হচ্ছে। বই হাতে পাওয়ার আনন্দ আলাদানতুন বই মলাট লাগানো ও তাতে নাম লেখাএটা অন্য রকম অনুভূতি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী যাতে পিছিয়ে না থাকেতাদের উপযোগী করেও বই প্রস্তুত করে দিচ্ছি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নিজেদের ভাষায় বই তৈরি করে দিচ্ছি। এ পর্যন্ত আমরা তাদের ৫টি ভাষা পেয়েছি। সে ভাষায় বই করে দিয়েছি।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে করোনায় ভার্চুয়াল শিক্ষা চালু রেখেছে। সবার হাতে বই দিয়ে ঘরে বসে শিক্ষাকার্যক্রম চালানোর সুযোগ চালু করা হয়েছে। চার কোটির বেশি শিক্ষার্থীর হাতে ৩৪ কোটিরও বেশি বই ১ জানুয়ারি ২০২২ সালের মধ্যে দেয়া হবে। ২০১০ থেকে আমরা এ কার্যক্রম করে আসছি। একটা বিশাল অঙ্কের বই আমরা দিয়েছি।

তিনি বলেন, “অনলাইনে শিক্ষাটা চালু রাখতে হবে। করোনা কখনও কমছেকখনও বাড়ছে। শীতে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়লে যেন অনলাইনে শিক্ষাটা চালু রাখা যায়। এর জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা ব্যবস্থা করব। সংসদ টিভি সব সময় তারা ব্যবহার করতে পারবে। আমার ঘরে আমার স্কুল’, এ কার্যক্রমে সবার সহযোগিতা করতে হবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘টিকা প্রথমে শিক্ষকদের দিয়েছিএখন শিক্ষার্থীদের দিচ্ছি। সব শিক্ষার্থী যেন টিকা দেয়সে দিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে।

এ সময় অভিভাবক ও শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালি পড়ালেই হবে না। শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিতে অভিভাবকেরা খেয়াল রাখবেন। শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও দুই লাখ শিক্ষককে ট্রেনিং দেয়া হয়েছে। অমনোযোগী হলেও মারধর নয়কেয়ার করতে হবে। এটাও একধরনের প্রতিবন্ধিতা। এ দিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে।

শহরে বাচ্চাদের নানা সংকট তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাচ্চারা টিভি মোবাইল ফোন নিয়ে সময় কাটায়। শহরে এককভাবে থাকতে গিয়ে বাচ্চাদের চাহিদায় নজর দিতে পারে না। বাচ্চারা চায় তাদের সাথীবাবা-মাকে সাথী হতে হবে। মানসিকভাবে বেড়ে ওঠার শিক্ষা দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাদরাসা শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়েছি। কারিগরি ভোকেশনাল ট্রেনিং দিচ্ছি। কোনো কাজকে ছোট করে দেখা উচিত নয়। নিজের কাজ নিজে করাসেই শিক্ষাটাও দিতে হবে। কৃষকের ছেলে বড় হয়ে তার বাবাকেই বেশি সম্মান দেয়া উচিত। শিক্ষা নিয়ে বড় হয়েও বাবার সঙ্গে মাঠে নেমে কাজ করা উচিত।

তিনি বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী নাগরিক তৈরি করতে হবে। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সমাজকে এমনভাবে গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা আমারযাতে কেউ কাউকে কাজের জন্য হুকুম দিতে না পারে। নিজের কাজ নিজে করে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিপ্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন। সুত্রঃ সিটি নিউজ ঢাকা

জনপ্রিয়

করোনা বাড়লে অনলাইনে শিক্ষা চালু রাখতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময়: ০৫:৩১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘করোনা কখনও কমছেকখনও বাড়ছে। শীতে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়লে অনলাইনে শিক্ষা চালু রাখতে হবে। এর জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা ব্যবস্থা করব।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ এবং ২০২২ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের দিনটা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলাফল ঘোষণা পাশাপাশি নতুন বছরের নতুন বই দেয়া হচ্ছে। বই হাতে পাওয়ার আনন্দ আলাদানতুন বই মলাট লাগানো ও তাতে নাম লেখাএটা অন্য রকম অনুভূতি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী যাতে পিছিয়ে না থাকেতাদের উপযোগী করেও বই প্রস্তুত করে দিচ্ছি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নিজেদের ভাষায় বই তৈরি করে দিচ্ছি। এ পর্যন্ত আমরা তাদের ৫টি ভাষা পেয়েছি। সে ভাষায় বই করে দিয়েছি।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে করোনায় ভার্চুয়াল শিক্ষা চালু রেখেছে। সবার হাতে বই দিয়ে ঘরে বসে শিক্ষাকার্যক্রম চালানোর সুযোগ চালু করা হয়েছে। চার কোটির বেশি শিক্ষার্থীর হাতে ৩৪ কোটিরও বেশি বই ১ জানুয়ারি ২০২২ সালের মধ্যে দেয়া হবে। ২০১০ থেকে আমরা এ কার্যক্রম করে আসছি। একটা বিশাল অঙ্কের বই আমরা দিয়েছি।

তিনি বলেন, “অনলাইনে শিক্ষাটা চালু রাখতে হবে। করোনা কখনও কমছেকখনও বাড়ছে। শীতে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়লে যেন অনলাইনে শিক্ষাটা চালু রাখা যায়। এর জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা ব্যবস্থা করব। সংসদ টিভি সব সময় তারা ব্যবহার করতে পারবে। আমার ঘরে আমার স্কুল’, এ কার্যক্রমে সবার সহযোগিতা করতে হবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘টিকা প্রথমে শিক্ষকদের দিয়েছিএখন শিক্ষার্থীদের দিচ্ছি। সব শিক্ষার্থী যেন টিকা দেয়সে দিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে।

এ সময় অভিভাবক ও শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালি পড়ালেই হবে না। শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিতে অভিভাবকেরা খেয়াল রাখবেন। শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও দুই লাখ শিক্ষককে ট্রেনিং দেয়া হয়েছে। অমনোযোগী হলেও মারধর নয়কেয়ার করতে হবে। এটাও একধরনের প্রতিবন্ধিতা। এ দিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে।

শহরে বাচ্চাদের নানা সংকট তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাচ্চারা টিভি মোবাইল ফোন নিয়ে সময় কাটায়। শহরে এককভাবে থাকতে গিয়ে বাচ্চাদের চাহিদায় নজর দিতে পারে না। বাচ্চারা চায় তাদের সাথীবাবা-মাকে সাথী হতে হবে। মানসিকভাবে বেড়ে ওঠার শিক্ষা দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাদরাসা শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়েছি। কারিগরি ভোকেশনাল ট্রেনিং দিচ্ছি। কোনো কাজকে ছোট করে দেখা উচিত নয়। নিজের কাজ নিজে করাসেই শিক্ষাটাও দিতে হবে। কৃষকের ছেলে বড় হয়ে তার বাবাকেই বেশি সম্মান দেয়া উচিত। শিক্ষা নিয়ে বড় হয়েও বাবার সঙ্গে মাঠে নেমে কাজ করা উচিত।

তিনি বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী নাগরিক তৈরি করতে হবে। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সমাজকে এমনভাবে গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা আমারযাতে কেউ কাউকে কাজের জন্য হুকুম দিতে না পারে। নিজের কাজ নিজে করে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিপ্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন। সুত্রঃ সিটি নিউজ ঢাকা