শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘দেশকে পাকিস্তান বানানোর অপচেষ্টাই ১৫ই আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ’

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সামস পরশ বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশকে পূনরায় পাকিস্তান বানানোর অপচেষ্টায় ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ।

শুক্রবার (২০ আগস্ট) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ই আগস্ট মর্মন্তুদ হত্যাকাণ্ডের সকল শহীদ-স্মরণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

যুবলীগ চেয়ারম্যান পরশ বলেন, ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি মিছিলে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালায়। যুদ্ধে ব্যবহৃত গ্রেনেড শান্তি মিছিলে ব্যবহার পৃথিবীর ইতিহাসে একটি ঘৃণিত কাজ। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। সে দিন আওয়ামী লীগের প্রায় ২৫ জন নেতাকর্মী নিহত এবং অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়।

সেদিন ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা কেন হয়েছিল? কারণ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করা, যেন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার না হয়, যাতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আর কোন দিন ক্ষমতায় না আসতে পারে, যেন এদেশটি আইএসআই নিয়ন্ত্রিত পাকিস্তানি ভাবধারায় তাবেদারি রাষ্ট্রে পরিণত হয়। বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে হত্যা করা ছিল তাদের মূল পরিকল্পনা। যাতে করে খালেদা জিয়া তার কুলাঙ্গার সন্তান তারেক জিয়া ও তার গংরা বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারে। যাতে করে বিএনপি জামাত আজীবন ক্ষমতায় থেকে বিদেশি প্রভুদের অধীনে থাকতে পারে। বঙ্গবন্ধ কন্যা যদি বেঁচে থাকে সেটা কোন দিনও সম্ভব হবেনা, আওয়ামী লীগ থাকতে কোন দিনও সম্ভব নয়। কারণ আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন। আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দিয়েছে।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ফলশ্রুতিতে আমরা কি দেখলাম? আমরা দেখলাম বাংলাদেশকে বর্হিবিশ্বে একটি জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত পেয়েছিল। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অধঃপতনের একমাত্র কারণ এই গ্রেনেড হামলা। এর পরিণতি বিএনপি-জামাত কোনো রাজনৈতিক দল নয়, একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।

বিএনপি-জামাত ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর কি ভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে, কিভাবে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে তা আপনারা সবাই জানেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে ইতিহাসের ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী হয়েছিলাম। সেদিন হারিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সকল সদস্যকে। কি দোষ করেছিলাম আমি? কি দোষ করেছিল শেখ রাসেল, শুকান্ত বাবু, ১০ বছরের আরিফ সেরনিয়াবাত, বেবী সেরনিয়াবাত? আজকের প্রজন্ম কিন্তু এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজে। আসলে ১৫ই আগস্ট ছিল সুপরিকল্পিত একটি হত্যাকাণ্ড, ১৫ই আগস্ট ছিল বাঙালির স্বাধিকারকে অস্বীকার করা এবং এর প্রতিশোধ নেওয়া। ১৫ই আগস্ট ছিল বাঙালির পরিচয় বা জাতিসত্তার ওপর আঘাত করা। ১৫ই আগস্ট শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা নয়, তাঁর পরিবারকে হত্যা করে পুনরায় পাকিস্তান বানানোর একটা চেষ্টা।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে এবং এর পিছনের কুশিলবদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠন করা এই প্রজন্মের অন্যতম দাবি। কারা সেই ষড়যন্ত্রকারী ? যেন তা নতুন প্রজন্ম জানতে পারে। যারা স্বাধীনতা বিরোধী, যারা ’৭১ সালের বাঙালির বিজয় মেনে নিতে পারেনি, মূলত তরাই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী। বঙ্গবন্ধুর হত্যার সুবিধাভোগীরাই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বক্তব্যে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা রয়েছে।৭৫ পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমানের কার্যকলাপে তা প্রমাণ পাওয়া যায়।

যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গত দুই বছরে যুবলীগের অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে। প্রথমত জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে যুবলীগের একটি পরিছন্ন কমিটি উপহার দিয়েছেন। যুবলীগ একটি পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে যুবলীগ সুনামের সাথে ঢাকাসহ সারাদেশে পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলায় যুবলীগ যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, রাজনীতি হচ্ছে মানুষের জন্য। মানব সেবাই রাজনীতির মূল অনুষঙ্গ। শোকাবহ এই আগস্ট মাসে যুবলীগের নেতাকর্মীরা করোনার এই মহাসংকটে মানব সেবায় আত্মনিয়োগ করেছে। আর অন্য দিকে বিএনপি জামাত করছে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র। দেশের জনগণকে নিরাপদ রাখতে যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সদা সজাগ থাকতে হবে। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডে খুনি জিয়া জড়িত। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা কারণে খুনি জিয়ার মরনোত্তর বিচার করতে হবে। আমরা যুবলীগ জিয়ার বিচার দাবি করছি।

ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন এর সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন-বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. মামুনুর রশীদ, তাজ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন খসরু, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি) সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মোস্তাফিজ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. হারিছ মিয়া শেখ সাগর, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি) বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, সহ-সম্পাদক আবদুর রহমান জীবন, মো. মনিরুজ্জামান পিন্টু, কার্যনির্বাহী সদস্য ইঞ্জি. মো. মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, এড. সওকত হায়াতসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।।

সুত্র: বার্তা২৪.কম

জনপ্রিয়

‘দেশকে পাকিস্তান বানানোর অপচেষ্টাই ১৫ই আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ’

প্রকাশের সময়: ১০:০৭:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অগাস্ট ২০২১

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সামস পরশ বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশকে পূনরায় পাকিস্তান বানানোর অপচেষ্টায় ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ।

শুক্রবার (২০ আগস্ট) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ই আগস্ট মর্মন্তুদ হত্যাকাণ্ডের সকল শহীদ-স্মরণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

যুবলীগ চেয়ারম্যান পরশ বলেন, ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি মিছিলে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালায়। যুদ্ধে ব্যবহৃত গ্রেনেড শান্তি মিছিলে ব্যবহার পৃথিবীর ইতিহাসে একটি ঘৃণিত কাজ। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। সে দিন আওয়ামী লীগের প্রায় ২৫ জন নেতাকর্মী নিহত এবং অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়।

সেদিন ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা কেন হয়েছিল? কারণ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করা, যেন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার না হয়, যাতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আর কোন দিন ক্ষমতায় না আসতে পারে, যেন এদেশটি আইএসআই নিয়ন্ত্রিত পাকিস্তানি ভাবধারায় তাবেদারি রাষ্ট্রে পরিণত হয়। বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে হত্যা করা ছিল তাদের মূল পরিকল্পনা। যাতে করে খালেদা জিয়া তার কুলাঙ্গার সন্তান তারেক জিয়া ও তার গংরা বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারে। যাতে করে বিএনপি জামাত আজীবন ক্ষমতায় থেকে বিদেশি প্রভুদের অধীনে থাকতে পারে। বঙ্গবন্ধ কন্যা যদি বেঁচে থাকে সেটা কোন দিনও সম্ভব হবেনা, আওয়ামী লীগ থাকতে কোন দিনও সম্ভব নয়। কারণ আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন। আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দিয়েছে।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ফলশ্রুতিতে আমরা কি দেখলাম? আমরা দেখলাম বাংলাদেশকে বর্হিবিশ্বে একটি জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত পেয়েছিল। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অধঃপতনের একমাত্র কারণ এই গ্রেনেড হামলা। এর পরিণতি বিএনপি-জামাত কোনো রাজনৈতিক দল নয়, একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।

বিএনপি-জামাত ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর কি ভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে, কিভাবে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে তা আপনারা সবাই জানেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে ইতিহাসের ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী হয়েছিলাম। সেদিন হারিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সকল সদস্যকে। কি দোষ করেছিলাম আমি? কি দোষ করেছিল শেখ রাসেল, শুকান্ত বাবু, ১০ বছরের আরিফ সেরনিয়াবাত, বেবী সেরনিয়াবাত? আজকের প্রজন্ম কিন্তু এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজে। আসলে ১৫ই আগস্ট ছিল সুপরিকল্পিত একটি হত্যাকাণ্ড, ১৫ই আগস্ট ছিল বাঙালির স্বাধিকারকে অস্বীকার করা এবং এর প্রতিশোধ নেওয়া। ১৫ই আগস্ট ছিল বাঙালির পরিচয় বা জাতিসত্তার ওপর আঘাত করা। ১৫ই আগস্ট শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা নয়, তাঁর পরিবারকে হত্যা করে পুনরায় পাকিস্তান বানানোর একটা চেষ্টা।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে এবং এর পিছনের কুশিলবদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠন করা এই প্রজন্মের অন্যতম দাবি। কারা সেই ষড়যন্ত্রকারী ? যেন তা নতুন প্রজন্ম জানতে পারে। যারা স্বাধীনতা বিরোধী, যারা ’৭১ সালের বাঙালির বিজয় মেনে নিতে পারেনি, মূলত তরাই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী। বঙ্গবন্ধুর হত্যার সুবিধাভোগীরাই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বক্তব্যে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা রয়েছে।৭৫ পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমানের কার্যকলাপে তা প্রমাণ পাওয়া যায়।

যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গত দুই বছরে যুবলীগের অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে। প্রথমত জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে যুবলীগের একটি পরিছন্ন কমিটি উপহার দিয়েছেন। যুবলীগ একটি পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে যুবলীগ সুনামের সাথে ঢাকাসহ সারাদেশে পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলায় যুবলীগ যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, রাজনীতি হচ্ছে মানুষের জন্য। মানব সেবাই রাজনীতির মূল অনুষঙ্গ। শোকাবহ এই আগস্ট মাসে যুবলীগের নেতাকর্মীরা করোনার এই মহাসংকটে মানব সেবায় আত্মনিয়োগ করেছে। আর অন্য দিকে বিএনপি জামাত করছে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র। দেশের জনগণকে নিরাপদ রাখতে যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সদা সজাগ থাকতে হবে। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডে খুনি জিয়া জড়িত। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা কারণে খুনি জিয়ার মরনোত্তর বিচার করতে হবে। আমরা যুবলীগ জিয়ার বিচার দাবি করছি।

ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন এর সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন-বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. মামুনুর রশীদ, তাজ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন খসরু, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি) সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মোস্তাফিজ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. হারিছ মিয়া শেখ সাগর, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি) বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, সহ-সম্পাদক আবদুর রহমান জীবন, মো. মনিরুজ্জামান পিন্টু, কার্যনির্বাহী সদস্য ইঞ্জি. মো. মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, এড. সওকত হায়াতসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।।

সুত্র: বার্তা২৪.কম