নতুন বৈশিষ্টের করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষ। ভাইরাসের নতুন ধরন আগের ভাইরাসের চেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে। যুক্তরাজ্য থেকে নতুন বৈশিষ্টের ভাইরাস ছড়িয়েছে ৭১টি দেশে, আর দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া ভাইরাস ছড়িয়েছে ৩১টি দেশে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। প্রতিবদনে নতুন বৈশিষ্টের ভাইরাস নিয়ে সংকটের কথাও বলেছে তারা।স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অল্প সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসের এই ধরন। ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭১টি দেশে শনাক্ত হয়েছে এই ভাইরাস।

গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নতুন বৈশিষ্টের ভাইরাস নিয়ে সতর্কতার কথা বলেন। তিনি জানান, আগের ভাইরাসের চেয়ে আরও বেশি মৃত্যু হচ্ছে এই ভাইরাসে।

তবে স্বাস্থ্য সংস্থা বিষয়টি নিয়ে এখনই নিশ্চিত নয়। তারা বলেছে, এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া নতুন বৈশিষ্টের ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩১ টি দেশ। আক্রান্ত হওয়া দেশের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। এরই মধ্যে শনাক্ত হয়েছে নতুন বৈশিষ্টের ভাইরাস। এই ভাইরাসেও প্রতিদিন যাচ্ছে বহু প্রাণ।

বিশ্বের অনেক দেশেই এখন ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে। অন্যান্য দেশেও শুরু হয়েছে প্রয়োগের প্রক্রিয়া। দাবি করা হচ্ছে, উৎপাদিত ভ্যাকসিন নতুন বৈশিষ্টের ভাইরাস পরাস্ত করতেও সক্ষম; তবে বিশ্লেষকরা এ নিয়ে বিভিন্ন মত দিয়েছেন।