শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চলতি বছরে সড়কে প্রাণ গেছে  ৫ হাজার ৩৭০ জনের, প্রতিদিন গড় মৃত্যু ১৫  

চলতি বছর বাংলাদেশে সড়কপথ দুর্ঘটনায় ৫ হাজার ৩৭০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হন ৭০ হাজার ২২২ জন।  এতে প্রতিদিন গড় মৃত্যু ১৫ জন ও ১৯৬ জন। এছাড়া ৭১২ টি নৌপথ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৮৮ জন এবং আহত  হয়েছেন ৪৬৬ জন। রেলপথ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৮ জন এবং নিহত হয়েছেন ১৩৮ জন।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সেভ দ্য রোড নামের একটি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনের মহাসচিব শান্তা ফারজানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ বিষয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী  মিলনায়তনে শুক্রবার  সকাল ১০ টায় আকাশ-সড়ক-রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনামুক্ত রাখার লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি। লিখিত প্রতিবেদন পাঠ করেন সংগঠনের মহাসচিব শান্তা ফারজানা। সভাপতিত্ব করেন সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম।

প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় শ্রমিক লীগ সাভার আঞ্চলিক শাখার সভাপতি শওকত হোসেন, পাথরঘাটা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীন, সেভ দ্য রোড-এর ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আনজুমান আরা শিল্পী, অনলাইন প্রেস ইউনিটির ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব রানা, সুনামগঞ্জ সভাপতি আহমদ আল কবির চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য ওয়াজেদ রানা, নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মোখলেসুর রহমান তোতা, সজিব কায়েস, সড়কপথ দুর্ঘটনায় আহত সুলতানা রাত্রী, ঢাকা ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা, অ্যাডভোকেট. ফখরুল ইসলাম, গাইবান্ধা শাখার সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

এসময় লিখিত বক্তব্যে সেভ দ্য রোড মহাসচিব শান্তা ফারজানা  উল্লেখ্য করেন, ৭ হাজার ৫১২ টি সড়কপথ দুর্ঘটনায় আমরা যে স্বজন-প্রিয়জনদেরকে হারিয়েছি চলতি বছরে; তাদের জন্য দোয়া-প্রার্থনা ও শ্রদ্ধাঞ্জলীর পাশাপাশি সরকার-বীমা ও মালিক শ্রেণির কাছে সেভ দ্য রোড-এর পক্ষ থেকে একটা দাবি বরাবরের মত আজো জানাচ্ছে সেভ দ্য রোড। আর তা হলো- পথ দুর্ঘটনায় আহতদেরকে ৩ লক্ষ ও নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যাতে করে অপূরণীয় এই ক্ষতি কিছুটা হলেও সামলে নিতে পারে স্বজন-প্রিয়জন হারানো পরিবারটি; একই সাথে ঘুরে দাঁড়াতে পারে আহত ব্যক্তিটি ও তার পরিবার।

শান্তা ফারজানা  আরও বলেন, এ বছরের পথ দুঘটনায় নিহত ৫ হাজার ৩৭০ জনের মধ্যে আমরা ৪২ জন চালক, ৪ জন চালকের সহযোগি, ৪৭২ জন নারী, ১৭৭ জন শিশু,  ১৭৭ জন শিক্ষার্থী, ০৭ জন সাংবাদিক, ১১ জন চিকিৎসক, ১৮ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সদস্য, ২৭ জন রাজনৈতিক নেতাও হারিয়েছি। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত যে গড় তথ্য পেয়েছে; তাতে উঠে এসেছে যে, প্রতিদিন সড়কপথ দুর্ঘটনায় নিহত হন ১৫ জন। পুরো বছরে সড়কপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ৭ হাজার ৫১২ আর ক্ষতি হয়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা।

গণমাধ্যম থেকে তথ্য নিয়ে দেখেছি- সংগঠিত দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৩৩ শতাংশ বাস, ৩৭.৫৫ শতাংশ মোটরসাইকেল ১২.২৫ শতাংশ ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ডভ্যান, লরি, ৫.৮২ শতাংশ কার-মাইক্রো, ৩.১২ শতাংশ অটোরিক্সা, ২.৭৮ শতাংশ নছিমন-করিমন ও ৫.৪৮ শতাংশ ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইক এসব দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল। সংগঠিত দুর্ঘটনার ৪৪ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৩০ শতাংশ পথচারীকে গাড়ি চাপা দেয়ার ঘটনা, ২০ শতাংশ সড়কপথের বেহাল দশার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনায় ও ৬ শতাংশ অনান্য অজ্ঞাত কারনে দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। পথ দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। আহতদের প্রতি সমবেদনা এবং তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।

চলতি বছরে সড়কে প্রাণ গেছে  ৫ হাজার ৩৭০ জনের, প্রতিদিন গড় মৃত্যু ১৫  

প্রকাশের সময়: ০৫:১৪:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২১

চলতি বছর বাংলাদেশে সড়কপথ দুর্ঘটনায় ৫ হাজার ৩৭০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হন ৭০ হাজার ২২২ জন।  এতে প্রতিদিন গড় মৃত্যু ১৫ জন ও ১৯৬ জন। এছাড়া ৭১২ টি নৌপথ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৮৮ জন এবং আহত  হয়েছেন ৪৬৬ জন। রেলপথ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৮ জন এবং নিহত হয়েছেন ১৩৮ জন।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সেভ দ্য রোড নামের একটি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনের মহাসচিব শান্তা ফারজানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ বিষয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী  মিলনায়তনে শুক্রবার  সকাল ১০ টায় আকাশ-সড়ক-রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনামুক্ত রাখার লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি। লিখিত প্রতিবেদন পাঠ করেন সংগঠনের মহাসচিব শান্তা ফারজানা। সভাপতিত্ব করেন সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম।

প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় শ্রমিক লীগ সাভার আঞ্চলিক শাখার সভাপতি শওকত হোসেন, পাথরঘাটা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীন, সেভ দ্য রোড-এর ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আনজুমান আরা শিল্পী, অনলাইন প্রেস ইউনিটির ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব রানা, সুনামগঞ্জ সভাপতি আহমদ আল কবির চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য ওয়াজেদ রানা, নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মোখলেসুর রহমান তোতা, সজিব কায়েস, সড়কপথ দুর্ঘটনায় আহত সুলতানা রাত্রী, ঢাকা ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা, অ্যাডভোকেট. ফখরুল ইসলাম, গাইবান্ধা শাখার সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

এসময় লিখিত বক্তব্যে সেভ দ্য রোড মহাসচিব শান্তা ফারজানা  উল্লেখ্য করেন, ৭ হাজার ৫১২ টি সড়কপথ দুর্ঘটনায় আমরা যে স্বজন-প্রিয়জনদেরকে হারিয়েছি চলতি বছরে; তাদের জন্য দোয়া-প্রার্থনা ও শ্রদ্ধাঞ্জলীর পাশাপাশি সরকার-বীমা ও মালিক শ্রেণির কাছে সেভ দ্য রোড-এর পক্ষ থেকে একটা দাবি বরাবরের মত আজো জানাচ্ছে সেভ দ্য রোড। আর তা হলো- পথ দুর্ঘটনায় আহতদেরকে ৩ লক্ষ ও নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যাতে করে অপূরণীয় এই ক্ষতি কিছুটা হলেও সামলে নিতে পারে স্বজন-প্রিয়জন হারানো পরিবারটি; একই সাথে ঘুরে দাঁড়াতে পারে আহত ব্যক্তিটি ও তার পরিবার।

শান্তা ফারজানা  আরও বলেন, এ বছরের পথ দুঘটনায় নিহত ৫ হাজার ৩৭০ জনের মধ্যে আমরা ৪২ জন চালক, ৪ জন চালকের সহযোগি, ৪৭২ জন নারী, ১৭৭ জন শিশু,  ১৭৭ জন শিক্ষার্থী, ০৭ জন সাংবাদিক, ১১ জন চিকিৎসক, ১৮ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সদস্য, ২৭ জন রাজনৈতিক নেতাও হারিয়েছি। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত যে গড় তথ্য পেয়েছে; তাতে উঠে এসেছে যে, প্রতিদিন সড়কপথ দুর্ঘটনায় নিহত হন ১৫ জন। পুরো বছরে সড়কপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ৭ হাজার ৫১২ আর ক্ষতি হয়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা।

গণমাধ্যম থেকে তথ্য নিয়ে দেখেছি- সংগঠিত দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৩৩ শতাংশ বাস, ৩৭.৫৫ শতাংশ মোটরসাইকেল ১২.২৫ শতাংশ ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ডভ্যান, লরি, ৫.৮২ শতাংশ কার-মাইক্রো, ৩.১২ শতাংশ অটোরিক্সা, ২.৭৮ শতাংশ নছিমন-করিমন ও ৫.৪৮ শতাংশ ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইক এসব দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল। সংগঠিত দুর্ঘটনার ৪৪ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৩০ শতাংশ পথচারীকে গাড়ি চাপা দেয়ার ঘটনা, ২০ শতাংশ সড়কপথের বেহাল দশার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনায় ও ৬ শতাংশ অনান্য অজ্ঞাত কারনে দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। পথ দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। আহতদের প্রতি সমবেদনা এবং তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।