শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেমের টানে আমেরিকার যুবক গাজীপুরে

প্রেমের টানে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে গাজীপুরে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের যুবক রাইয়ান কফম্যান। গত ২৯ মে তিনি বাংলাদেশে আসেন। এরপর পরিবারের সম্মতিতে গাজীপুরের মেয়ে সাইদা ইসলামের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন।

রাইয়ান যুক্তরাষ্ট্রের মিজুরি স্টেটের ক্যানসাস সিটির নাগরিক। তিনি তার এলাকার একটি প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কারখানায় অপারেটর পদে কাজ করেন। লেখাপড়া করেছেন মাধ্যমিক স্কুল পর্যন্ত। তার মা-বাবা ছাড়াও এক বড় ভাই রয়েছেন। তারা সেখানে প্রত্যেকেই আলাদাভাবে বসবাস করেন।

কনে সাইদা ইসলাম (২৬) গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকার মোশারফ হোসেন মাস্টারের নাতনি ও মৃত সিকন্দার আলীর মেয়ে।

কনের নানা মোশারফ হোসেন মাস্টার বলেন, আমার জামাইয়ের নাম সিকন্দার আলী। সে ঢাকার দনিয়া এলাকায় বসবাস করত। ২০১৯ সালে সে মারা যায়। জামাইয়ের মৃত্যুর পর আমার মেয়ে দুই নাতনিকে নিয়ে ঢাকা থেকে গাজীপুরে চলে আসে। এখন তারা আমার এখানেই বসবাস করছে। বাবা মারা যাওয়ার এক বছর পর (২০২০ সালে) স্নাতক পাস করে সাইদা।

কনে সাইদা ইসলাম বলেন, ২০২১ সালের এপ্রিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রথম পরিচয় হয় রাইয়ান কফম্যানের সঙ্গে। এ সময় আমরা নিজেদের ফোন নম্বর, ফেসবুক আইডি ও ঠিকানা বিনিময় করি। এরপর থেকে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। ফোন ও ভিডিও কলে কথা বলতে বলতে আমাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ট হয় এবং দুজন দুজনকে ভালোবেসে ফেলি। এভাবে প্রায় এক বছর ফেসবুকে প্রেম করি।

তিনি আরও বলেন, এরপর দুজনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিই। রাইয়ান বিয়ে করার জন্য খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরে তার ও আমার পরিবারের সম্মতিতে এ বছরের ২৯ মে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসে। এ দিনই আমাদের প্রথম দেখা হয়। সুত্রঃ ঢাকাপোস্ট

জনপ্রিয়

প্রেমের টানে আমেরিকার যুবক গাজীপুরে

প্রকাশের সময়: ০৮:৪৫:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২

প্রেমের টানে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে গাজীপুরে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের যুবক রাইয়ান কফম্যান। গত ২৯ মে তিনি বাংলাদেশে আসেন। এরপর পরিবারের সম্মতিতে গাজীপুরের মেয়ে সাইদা ইসলামের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন।

রাইয়ান যুক্তরাষ্ট্রের মিজুরি স্টেটের ক্যানসাস সিটির নাগরিক। তিনি তার এলাকার একটি প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কারখানায় অপারেটর পদে কাজ করেন। লেখাপড়া করেছেন মাধ্যমিক স্কুল পর্যন্ত। তার মা-বাবা ছাড়াও এক বড় ভাই রয়েছেন। তারা সেখানে প্রত্যেকেই আলাদাভাবে বসবাস করেন।

কনে সাইদা ইসলাম (২৬) গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকার মোশারফ হোসেন মাস্টারের নাতনি ও মৃত সিকন্দার আলীর মেয়ে।

কনের নানা মোশারফ হোসেন মাস্টার বলেন, আমার জামাইয়ের নাম সিকন্দার আলী। সে ঢাকার দনিয়া এলাকায় বসবাস করত। ২০১৯ সালে সে মারা যায়। জামাইয়ের মৃত্যুর পর আমার মেয়ে দুই নাতনিকে নিয়ে ঢাকা থেকে গাজীপুরে চলে আসে। এখন তারা আমার এখানেই বসবাস করছে। বাবা মারা যাওয়ার এক বছর পর (২০২০ সালে) স্নাতক পাস করে সাইদা।

কনে সাইদা ইসলাম বলেন, ২০২১ সালের এপ্রিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রথম পরিচয় হয় রাইয়ান কফম্যানের সঙ্গে। এ সময় আমরা নিজেদের ফোন নম্বর, ফেসবুক আইডি ও ঠিকানা বিনিময় করি। এরপর থেকে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। ফোন ও ভিডিও কলে কথা বলতে বলতে আমাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ট হয় এবং দুজন দুজনকে ভালোবেসে ফেলি। এভাবে প্রায় এক বছর ফেসবুকে প্রেম করি।

তিনি আরও বলেন, এরপর দুজনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিই। রাইয়ান বিয়ে করার জন্য খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরে তার ও আমার পরিবারের সম্মতিতে এ বছরের ২৯ মে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসে। এ দিনই আমাদের প্রথম দেখা হয়। সুত্রঃ ঢাকাপোস্ট