দোকানপাট ও শপিংমল খোলার খবরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা কর্মস্থল ঢাকাসহ অন্যান্য জায়গায় ফিরতে শুরু করেছেন। তবে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ঢাকামুখী যাত্রীর তেমন চাপ লক্ষ করা যায়নি।
রোববার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ঘাট থেকে কয়েকটি জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক, ছোট গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্সে ৬০-৭০ জন যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়া ৪ নং ফেরিঘাট পন্টুনে নোঙর করে শাপলা শালুক নামের ফেরিটি।
দূরপাল্লার বাস ও গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ঢাকামুখী সাধারণ যাত্রীদের। বাধ্য হয়েই তারা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, সিএনজিতে করে ঢাকাসহ অন্যান্য জায়গায় যাচ্ছেন। পাটুরিয়া থেকে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারে নবীনগর (জনপ্রতি) ৩০০ টাকা, গাবতলী ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে ভাড়া নেয়া হচ্ছে। গাদাগাদি করে ছুটছেন তারা। ঘাট এলাকায় যাত্রীদের মাঝে সামাজিক দূরত্ব কিংবা স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই লক্ষ করা যায়নি।
ঢাকামুখী যাত্রী আজিম হোসেন জানান, তিনি ঢাকায় একটি শপিংমলে চাকরি করেন। লকডাউনের খবরে তিনি ১৩ এপ্রিল ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ায় গ্রামের বাড়ি চলে যান। রোববার থেকে দেশের সব শপিংমল খোলার খবরে ঢাকায় যাচ্ছেন। বাস বন্ধ থাকায় ৫০০ টাকা দিয়ে প্রাইভেটকারে করে ঢাকায় যাচ্ছেন।
আরেক যাত্রী আক্তার হোসেন বলেন, ‘আমি এবং আমার ভাই ঢাকার মিরপুর-১ নম্বরে ভ্যানে কইরা শার্ট ও প্যান্ট বিক্রির ব্যবসা করি। হুনছি আইজ থ্যাইক্যা সব কিছুই সরকার খুইল্যা দিছে। তাই দুই ভাই রওনা হইছি ঢাকায় যাওনের লিগা। ২-৩ গুণ টাকা বেশি খরচ কইরাই ঢাকায় যাইতাছে সবাই। সামনে ঈদ এহন যদি না যাই তাইলে ব্যবসা হইব না। যদি আবার লকডাউন দেয় তাই ৮০০ টাকা দিয়া হোন্ডায় দুই ভাই গাবতলী যামু।
একাধিক প্রাইভেটকার চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাটুরিয়া থেকে গাবতলী পর্যন্ত প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে ভাড়া বাবদ নেয়া হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। তাদের দাবি তারা প্রতিটি গাড়িতে যাত্রীই নিতে পারে মাত্র চার থেকে পাঁচজন।
বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেন, ’করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ মেনে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন- অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি ও জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারে তিনটি ফেরি এ নৌপথে চলাচল করছে।
দোকানপাট ও শপিংমল খোলার খবরে ফেরিতে করে ঢাকামুখী কিছু যাত্রী পারাপার হচ্ছে। তবে মাদারীপুর ও মুন্সিগঞ্জ ঘাটের মতো যাত্রীর ভিড় পাটুরিয়ায় পড়েনি বলে জানান তিনি।
করেসপন্ডেন্ট, জাগো২৪.নেট, আসাদ জামান, মানিকগঞ্জ 























